Type Here to Get Search Results !

ঘূর্ণিঝড় কী?| সৃষ্টির কারণ | সতর্কতা ব্যবস্থা | Cyclones India| Cyclone.

ঘূর্ণিঝড় কী?| সৃষ্টির  কারণ | সতর্কতা ব্যবস্থা |Cyclones India| Cyclone.

ঘূর্ণিঝড় কী?| সৃষ্টির  কারণ | সতর্কতা ব্যবস্থা |Cyclones India| Cyclone.

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা আবশ্যক ও একটি নির্দিষ্ট গভীরতা (কমপক্ষে ৫০ মিটার) পর্যন্ত ....

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

আম্ফান ঘূর্ণিঝড়: ২০ মে ২০২০ এদিন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন উপকূলে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলােমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্মান’ আছড়ে পড়ে। কখনাে কখনাে ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলােমিটারও হয়। এই ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়।তাইল্যান্ড এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে। 

‘আম্ফান’ কথার অর্থ আকাশ। ঘূর্ণিঝড়ের চোখ আর লেজ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই এর আসল ভয়াবহতা টের পাওয়া যায়। ঝড়ের চোখের বিস্তার ছিল ৪০ কিলােমিটার। ১৯৯৯ সালের ওড়িশা  ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটি ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড়নার্গিস আর ২০০৯ সালের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়া ‘আয়লার ক্ষয়ক্ষতিকে ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে রেকর্ডকরা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড়।


1. ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ|Causes of Cyclones | Cyclone

পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনাে স্বল্প পরিসর স্থান হঠাৎ খুব উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেই স্থানের বায়ু উয় ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং সেখানে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়, তখন চারদিক থেকে শীতল ও ভারী বায়ু সেই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবল বেগে ঘূর্ণাকারে ছুটে আসে। এইরূপ নিম্নচাপ বিশিষ্ট ঝড়কে ঘূর্ণবাত (Cyclone) বলা হয়।

সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা: 

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা আবশ্যক ও একটি নির্দিষ্ট গভীরতা (কমপক্ষে ৫০ মিটার) পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। এজন্য সাধারণত কৰ্কট ও মকরক্রান্তি রেখার কাছাকাছি সব সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে বা, গ্রীষ্মকালের শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। অন্য কোথাও হয় না।


নিরক্ষরেখা থেকে দূরত্ব : 

নিরক্ষীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে গেলে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়। এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য মেরু অঞ্চল থেকে শীতল বায়ু উত্তর গােলার্ধে দক্ষিণে নিরক্ষরেখার দিকে ও দক্ষিণ গােলার্ধেউত্তর দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু পৃথিবীর

ঘূর্ণনের প্রভাবে সৃষ্ট করিওলিস শক্তির কারণে এই বায়ু সােজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গােলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গােলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। এজন্য উত্তর গােলার্ধে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ও দক্ষিণ গােলার্ধে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতে থাকে। নিরক্ষরেখার ওপর এই শক্তির প্রভাব শূন্য। তাই এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূলে থাকলেও করিওলিস শক্তি’ ন্যূনতম থাকায়, নিরক্ষরেখার ০ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যে কোনাে ঘূর্ণিঝড় হতে দেখা যায় না।


বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা : 

বায়ুমণ্ডলের নিম্ন ও মধ্যস্তরে বেশি আর্দ্রতা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।


বিরাজমান বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি: 

ঘূর্ণিঝড় কখনাে স্বতস্ফুর্তভাবে সৃষ্টি হতে পারে না। সমুদ্রে আগে থেকে বিরাজমান বিশ্ব কোনাে পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, ঘূর্ণিঝড় সাধারণত সেটিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। এছাড়া, পশ্চিমমুখী নিম্ন বায়ুচাপ সম্পন্ন  পূবালী স্রোত,আবহাওয়ার উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর গতি ও দিকের স্বল্প পরিবর্তন ও দুত শীতলী করণের ফলে নির্গত তাপ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সহায়ক। ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন অঞ্চল হিসাবে ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রগুলিকে ৭টি বেসিন বা,অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।এবং প্রতিটি অঞ্চলে  ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও হুঁশিয়ারি দেয়ার জন্য 'বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে দেশের বিভিন্ন আবহাওয়া বিভাগ কাজ করছে।


বৈশিষ্ট্য : এই ঘূর্ণবাত উত্তর গােলার্ধে বামদিকে অর্থাৎ, ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (Anti-clockwise direc- tion) এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ডানদিকে অর্থাৎ, ঘড়ির কাটার দিকে (Clock-wise direction) ঘূর্ণায়মান অবস্থায় কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়। @ এই ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে।


বেসিন বা অঞ্চল: আবহাওয়া বিভাগ:
উত্তর আতলান্তিক মহাসাগর

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার

উত্তর পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার ও সেন্ট্রাল প্যাসিফিক হারিকেন সেন্টার
উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর জাপান আবহাওয়া সংস্থা।
উত্তর ভারত মহাসাগর। প্যানেল দেশ :বাংলাদেশ, ভারত, পাক-
ই-স্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও তাইল্যান্ড
আবহাওয়া বিভাগ।
দক্ষিণ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার
দক্ষিণ পূর্ব ভারত মহাসাগর ব্যুরাে অফ মেটেওরােলজি (অস্ট্রেলিয়া)
দক্ষিণ পশ্চিম ভারত মহাসাগর মিটিও ফ্রান্স

2. ভারতের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ অঞ্চল|Cyclone prone areas of India

ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধ্বসের মতাে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভারত অত্যন্ত ঝুঁকি প্রবণ দেশ। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, ভারতে ১৩টি উপকূলীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘূর্ণিঝড় প্রবণ। পূর্ব উপকূলের ৪ টি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আজ্জা প্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি।


3. ভারতে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা ব্যবস্থা|Cyclone warning system in India 

ভারত আবহাওয়া অধিদফতর (India Meteo- rological Department) হল ভারতের।নােডাল এজেন্সি, যারা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয় ‘এরিয়া সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টারস (ACWC) ও আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের  পূর্বাভাস দেয় সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার (CWC) ACWC & CWC TOC তাদের রিপোের্ট ন্যাশনাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার’এ (NCWC) পাঠায়।

ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে আপনারা কি কি করবেন?

১.ঝড়ের জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নাও।

২.ঝড়ের জন্য সবাইকে সতর্ক করাে।

৩.সমস্ত দরকারি কাগজপত্র আগে থেকে গুছিয়ে প্লাস্টিক কাগজে ঢুকিয়ে রাখাে, যাতে দরকার পড়লে তাড়াতাড়ি কাগজগুলি নিয়ে যাওয়া যায়।

৪.নদী বাঁধ থেকে দুরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করাে।

৫.বেশি করে খাবার জল, শুকনাে খাবার, ORS, ওষুধ ওবাচ্চাদের খাবার হাতের কাছে রাখাে।

৬.গবাদিপশু আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দাও।

৭.নীচু যায়গায় থেকো না।উঁচু যায়গায় আশ্রয় নাও।পাকা বড়িতে আশ্রয় নিতে পারলে ভালাে হয়।

৮.ঝড়ের পর খাবার জলের সমস্যা হতে পারে, তাই খাবার জল বেশি করে মজুত করে রাখাে।

৯.টর্চ, মােবাইল আগে থেকে চার্জ দিয়ে নাও।

১০.গুজব উপেক্ষা কর, শান্ত থাকো।

১১.রেডিওর সংবাদে নজর রাখাে।

১২.নদী বা সমুদ্রে কেউ যেও না।

১৩.ঝড়ের সময় বিদ্যুতের সংযােগ বন্ধ রাখাে।

১৪. এই করােনার আবহে মাস্ক পরতে ও ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে ভুলানো।

‘আম্ফান’ কথার অর্থ আকাশ। ঘূর্ণিঝড়ের চোখ আর লেজ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই এর আসল ভয়াবহতা টের পাওয়া যায়। ঝড়ের চোখের বিস্তার ছিল ৪০ কিলােমিটার। ১৯৯৯ সালের ওড়িশা  ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটি ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড়নার্গিস আর ২০০৯ সালের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়া ‘আয়লার ক্ষয়ক্ষতিকে ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে রেকর্ডকরা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড়।

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.