Type Here to Get Search Results !

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'ভাত' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'ভাত' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
   উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|'ভাত' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

Table of Content (toc)

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|'ভাত' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| 'ভাত' মহাশ্বেতা দেবীর (গল্প) থেকে। MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। HS Bengali Suggestions.

HS Bengali Suggestion| MCQ, Short, Descriptive Questions
and Answers.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| 'ভাত' মহাশ্বেতা দেবীর (গল্প)| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – 'ভাত' মহাশ্বেতা দেবীর (গল্প) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer.  

Today Gk All Exams: এর পক্ষ সকলকে অসংখ ধ্যনবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তোমাদের ভালোলাগলে অবশ্যই Subscribe করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব দের কাছে শেয়ার করবেন।বন্ধুরা  মনে রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট URL হলো-www.todaygkallexams.com 

Dear students: তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের সাজেশান খোঁজার চেষ্টা করছো তাদেরকে বলবো তোমরা সঠিক ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছো। আমরা এখানে উচমাধমিকের অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের 'ভাত' মহাশ্বেতা দেবীর (গল্প) লেখা, থেকে বহু বিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি যা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

"ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর গল্প উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestions.

[উচ্চমাধ্যমিক বাংলা] 'ভাত' গল্প MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। 

১. “সকালে লোকজন উচ্ছবকে সেখানেই ধরে ফেলে।”—জায়গাটি হল—(ক) রাস্তায় (খ) স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে (গ) পার্কে (ঘ) ট্রেনে

২. ট্রেন ধরে উচ্ছব প্রথমে কোথায় যাবে ভেবেছিল? (ক) সুন্দরবনে (খ) কালীঘাটে (গ) দেশ গাঁয়ে (ঘ) ক্যানিং-এ

৩. “উচ্ছবের মাথায় এখন বুদ্ধি স্থির,...”—উচ্ছব যে বুদ্ধিটি করেছিল, তা হল(ক) ভাতগুলোকে সে ছেলেমেয়েদের জন্য নিয়ে যাবে (খ) ভাতগুলো দূরে ফেলার নাম করে তা নিজেই খেয়ে নেবে  (গ) অনেক না খেতে পাওয়া লোকের সঙ্গে ভাগ করে ভাতগুলো খাবে (ঘ) ভাতগুলো নিয়ে সে গ্রামে ফিরে যাবে

৪. “ত্রস্ত বাসিনী প্রায় ছুটে আসে,”—তার এভাবে ছুটে আসার কারণ—(ক) উচ্ছব অশৌচ বাড়ির ভাত খাওয়ার উপক্রম করেছিল (খ) কুকুরেরা উচ্ছবকে ঘিরে ধরেছিল (গ) পুলিশ উচ্ছবকে তাড়া করে ধরতে চাইছিল (ঘ) খালি পেটে কাঠ কাটার যন্ত্রণায় উচ্ছব চিৎকার করে উঠেছিল।

৫. “বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।”—কারণ সে দেখল—(ক) পিছন থেকে বড়োপিসিমা তাকে ডাকছে (খ) একদল পুলিশ আসছে (গ) উৎসব হিংস্রভাবে তার দাঁত বের করেছে (ঘ) উৎসব বসে ভাত খাচ্ছে

৬. “সে স্বর্গসুখ পায় ভাতের স্পর্শে।” -ভাতের স্পর্শে উচ্ছবের স্বর্গসুখ লাভের কারণ—(ক) বহুদিন সে ভাত খেতে পায়নি (খ) এত ভালো চালের ভাত সে আগে কখনও খায়নি (গ) সে রুটির থেকেও ভাত খেতে বেশি ভালোবাসে (ঘ) প্রচুর খাটাখাটনির পর সে একমুঠো ভাত পেয়েছিল

৭. “সবৃস্ব রান্না পথে ঢেলে দিগে যা” –বলেন—(ক) বড়োপিসিমা (খ) বাসিনী (গ) উচ্ছব   (ঘ) সতীশবাবু

৮. “আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের।”—তার সেই বাদা খোঁজ না করতে পারার কারণটি হল—(ক) তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছিল। (খ) সত্যিই সেরকম কোনো বাদার অস্তিত্ব ছিল না (গ) বাড়ি ফেরার তাগিদে তার হাতে সময় ছিল না বাসিনী তাকে বাদায় যেতে নিষেধ করেছিল

৯. বুড়োকর্তার মৃতদেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়া হয়—(ক) রাত একটার পর রাত বারোটার পর (গ) রাত ন-ন্টার পর (ঘ) রাত দুটোর পর

১০. “রাস্তার দোকান থেকে চা আসতে থাকে।”—কারণ- (ক) বাড়িতে চায়ের ব্যবস্থা ছিল না (খ) বাড়িতে চা করার মতো কেউ ছিল না (গ) বাড়িতে উনুন জ্বলবে না (ঘ) বাড়িতে সবাই কাজে ব্যস্ত ছিল

১১. উচ্ছব ভোরের ট্রেন ধরে কোন্ স্টেশনে যাবে? (ক) শিয়ালদহ খ মগরাহাট (গ) ক্যানিং (ঘ) লক্ষ্মীকান্তপুর

১২. “মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়।”—কারণ—(ক) পিতলের ডেকচি চুরির অপরাধে (খ) বাবুর বাড়িতে চুরি করার মতলব আঁটার জন্য (গ) ভাতের জন্য খুনখারাপির অপরাধে (ঘ) বউ-ছেলেমেয়েকে খেতে না দেওয়ার অপরাধে

১৩. ‘ভাত’ গল্পে মুমূর্ষু বৃদ্ধের স্ত্রীকে ভালোমন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছিল— (ক) বাসিনী (খ) বামুন ঠাকুর (গ) বড়োবউ (ঘ) মেজোবউ

১৪. বড়োবউ যখন বুড়োকর্তার ঘরে গিয়েছিল, তখন সে ঘরে আর কে ছিল? ক) বড়োপিসিমা (খ) মেজোবউ (গ) বাসিনী (ঘ) নার্স

১৫. বড়ো বাড়ির কোন্ ছেলে বিলেতে থাকে? (ক) বড়ো ছেলে (খ) মেজো ছেলে (গ) সেজো ছেলে (ঘ) ছোটো ছেলে

১৬. 'ভাত' গল্পের বড়ো বাড়ির ছেলেরা সকাল ক-টার আগে ঘুম থেকে ওঠে না? (ক) আটটা (খ) ন-টা (গ) দশটা (ঘ) এগারোটা

১৭. 'ভাত' গল্পে বড়োপিসিমাদের কতগুলি দেবত্র বাড়ি ছিল? ক) পনেরোটা (খ) আঠারোটা (গ) বারোটা ঘ) যোলোটা

১৮. হোমযজ্ঞের জন্য তান্ত্রিক এনেছিলেন— (ক) মেজো ছেলে মেজোবউয়ের বাবা (গ) বড়ো ছেলের শ্বশুর (ঘ) ছোটোবউয়ের বাবা

১৯. 'ভাত' গল্পে যজ্ঞের জন্য কোথা থেকে বালি আনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল? (ক) নদী (খ) সমুদ্র (গ) শ্মশান (ঘ) কবরখানা

২০. নীচের কোন্ গ্রন্থটি মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নয়? (ক) অরণ্যের অধিকার (খ) হাজার চুরাশির মা গ সিধু-কানুর ডাকে (ঘ) টানাপোড়েন

২১. ‘ভাত’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল কোন্ পত্রিকায়? ক) কল্লোল (খ) আনন্দবাজার (গ) ম্যানিফেস্টো (ঘ) আজকাল

২২. “উনি হলেন দেবতার সেবিকা।”—উনি বলতে যাঁর কথা বলা হয়েছে ক) বড়োবউ (খ) বড়োপিসিমা গ) চন্নুনীর মা ঘ) মহাশ্বেতা দেবী

২৩. “উনি আমার পতিদেবতা।”—বক্তা হলেন—(ক) বড়োবউ (খ) বড়োপিসিমা গ) চন্নুনীর মা ঘ) এদের কেউ নয়

২৪. “বাদা থেকে চাল আসছে।”—‘বাদা’ শব্দের অর্থ হল—(ক) পাত্র (খ) রেশন (গ) দোকান ঘ) নিম্নভূমি

২৫. কোন্ গাছের কাঠ তান্ত্রিকের যজ্ঞে লাগেনি? (ক) অশ্বত্থ (খ) বট (গ) আম (ঘ) তেঁতুল

২৬. ‘ভাত’ গল্পে লোকটার চেহারা ছিল—(ক) দেহাতি (খ) বুনো-বুনো (গ) খুব লম্বা (ঘ) ভদ্র

২৭. “উনি হলেন দেবতার সেবিকা।”—বড়োপিসিমাকে ‘দেবতার সেবিকা’ বলার কারণ (ক) তিনি প্রতিদিনই দেবতার পুজো করতেন (খ) বাড়ির গৃহদেবতা শিবের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন (গ) মনে করা হয় শিবঠাকুরের সঙ্গে ওঁর বিয়ে হয়েছিল ঘ) তিনি একজন সেবিকার মতো দেবতাকে দেখাশোনা করতেন

২৮. “সেই ডেকে আনলে।”—এখানে বাসিনী ডেকে এনেছে—(ক) বাড়ির বুড়োকর্তাকে (খ) বুনো-বুনো চেহারার একটা লোককে (গ) বড়োপিসিমাকে ঘ) বাড়ির বড়োবউকে

২৯. “বড়ো বউ চুপ করে যায়।”—তার এই চুপ করে যাওয়ার কারণ—(ক) বড়োপিসিমার ঠেস দেওয়া কথাবার্তা (খ) বড়োপিসিমা চুপ করতে বলেছিলেন বলে ।(গ)  আর কোনো কথা খুঁজে পায় না বলে (ঘ) বড়োপিসিমার কথায় খুব রাগ হয়ে যায় বলে

৩০. “যজ্ঞি-হোম হচ্ছে।” —যজ্ঞি-হোমের জন্য আনা হয়েছিল ক) বেল, বেলকাঠ, ধুনো, বাতাসা (খ) আম, বেল, জাম, ক্যাওড়া গাছের কাঠ (গ) বেল, বট, অশ্বত্থ, আম গাছের কাঠ (ঘ) বেল, ক্যাওড়া, অশ্বত্থ, বট, তেঁতুল কাঠ

৩১. “চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে তার।”—বাদার লোকটির এমন অবস্থার কারণ- (ক) সে প্রচুর কাঠ কাটার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল খ) সে বাবুদের বাড়িতে নানা রকমের চালের ভাত রান্না হতে দেখেছিল (গ) সে বাবুদের বাড়ির বড়ো কর্তার ওপর রেগে গিয়েছিল ঘ) বড়োপিসিমা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল

৩২. ‘কনকপানি’ চালের ভাত খান—(ক) বড়োবাবু মেজোবাবু (গ) ছোটোবাবু (ঘ) পিসিমা

৩৩. বড়ো বাড়িতে মেজো আর ছোটো ছেলের জন্য বারোমাস কোন্ চাল রান্না হয়? (ক) ঝিঙেশাল (খ) রামশাল (গ) পদ্মজালি (ঘ) কনকপানি

৩৪. “সেই জন্যেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।”—কারণ—(ক) তারা ঘরজামাই থাকে (খ) তারা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না। ঘ) তারা বাড়ির কাজে ব্যস্ত তারা অসুস্থ

৩৫. “রেঁধে-বেড়ে শাশুড়িকে খাওয়ানো তার কাজ।”—যার কাজ সে হল- ক) বড়োবউ (খ) মেজোবউ (গ) বাসিনী (ঘ) ছোটোবউ

৩৬. রামশাল চালের ভাত কীসের সঙ্গে খাওয়া হত? (ক) ডাল-তরকারি (খ) সবজি (গ) মাছ (ঘ) মাংস

৩৭. নিরামিষ তরকারির সঙ্গে যে চালের ভাত খাওয়া হত, তা হল – (ক) কনকপানি (খ) পদ্মজালি (গ) রামশাল (ঘ) ঝিঙেশাল

৩৮. “খুবই অদ্ভুত কথা”—‘অদ্ভুত কথা’টি কী? (ক) উচ্ছব কয়েকদিন খায়নি  (খ) বড়োপিসিমার বিয়ে হয়নি (গ) সবাইকে হারিয়েও উচ্ছব ভাত খেতে চেয়েছে (ঘ) উচ্ছবকে বড়োবউয়ের পছন্দ হয়নি।

৩৯. বড়ো বাড়িতে মাছের সঙ্গে যে চালের ভাত রান্না হয়, তা হল—ক) ঝিঙেশাল (খ) কনকপানি গ) রামশাল (ঘ) পদ্মজালি

৪০. “ময়ূরছাড়া কার্তিক আসবে নাকি?”—কার কথাপ্রসঙ্গে এই উক্তি? (ক) বুড়োকর্তা (খ) উচ্ছব (গ) বড়ো ছেলে (ঘ) মেজো ছেলে

৪১. বুড়োকর্তার ক্যানসার হয়েছিল— (ক) লিভারে (খ) ফুসফুসে (গ) প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে (ঘ) গলায়

৪২...ভাত খাবে কাজ করবে।”—উক্তিটির বক্তা—(ক) বামুনঠাকুর (খ) বড়োপিসিমা (গ) বড়োবউ ঘ বাসিনী

৪৩. “...অমন বড়োলোক হয়েও ওরা মেয়ের বিয়ে দেয়নি।”—কারণ- ক) বুড়োকর্তাকে দেখাশোনার জন্য (খ) মেয়ের বিয়েতে অনিচ্ছার জন্য (গ) সংসার সামলানোর জন্য (ঘ) দেবতার সেবা করার জন্য

৪৪. “দূরদর্শী লোক ছিলেন।”—কে? (ক) বুড়োকর্তা (খ) বড়োপিসিমা (গ) হরিচরণ ঘ) মহানাম

৪৫. “...বুড়ো কর্তা সংসার নিয়ে নাটা-ঝামটা হচ্ছিল।”—কারণ(ক) বুড়োকর্তার বয়স হয়ে গিয়েছিল। (খ) বুড়োকর্তার শরীর ভেঙে পড়েছিল (গ) বুড়োকর্তার বউ মারা গিয়েছিল।(ঘ) বুড়োকর্তার অবস্থা পড়ে গিয়েছিল।

৪৬. “আমাদের বাসিনীর কে হয়। সেই ডেকে আনলে।”—বাসিনী উৎসবকে ডেকে এনেছিল কেন? (ক) ঝড়জলে লোকটির দেশ ভেসে গেছে খ) লোকটি খুব পরিশ্রমী ও সৎ গ) লোকটির খাওয়া জুটছে না লোকটি বাসিনীর গ্রামের লোক

৪৭. “ময়ূরছাড়া কার্তিক আসবে নাকি?”—উক্তিটির বক্তাক) বড়োপিসিমা খ) বাসিনী গ) বড়োবউ (ঘ) মেজোবউ 

৪৮. “...তাই বড়ো বউ জানতো না।”—কী জানত না? (ক) পিসিমার বিয়ে হয়নি (খ) উৎসব কাজ করতে এসেছে (গ) লিভারে যে ক্যানসার হয় (ঘ) বাড়িতে হোমযজ্ঞ হচ্ছে

৪৯. মেজোবউ রান্না করছিল—(ক) পুকুরপাড়ে (খ) মাঠের ধারে (গ) উনোনপাড়ে (ঘ) রাস্তার ধারে

৫০. বড়ো বাড়িতে কনকপানি চালের ভাত রান্না হয়—(ক) বামুন-চাকর-ঝিদের জন্যে খ) মেজো আর ছোটোর জন্য গ) বড়োবাবুর জন্য (ঘ নিরামিষ ডাল-তরকারির সঙ্গে খাবার জন্য

৫১. “কালো বিড়ালের লোম আনতে গেছে”— (ক) ভজন চাকর (খ) বড়োপিসিমা (গ) উচ্ছব (ঘ) বড়োবউ

৫২. উচ্ছবকে বড়োবাড়িতে কে নিয়ে এসেছিল? (ক) ভজন চাকর (খ) বাসিনী (গ) তান্ত্রিক (ঘ) ছোটোবউয়ের বাবা

৫৩. বাসিনীর মনিববাড়ির বড়োকর্তার বয়স হয়েছিল—(ক) বিরাশি বছর (খ) আশি বছর (গ) চুরাশি বছর (ঘ) তিরাশি বছর

৫৪. “বড়ো বউ কোনো কথা বলে না।”—কারণ—(ক) বড়োপিসিমার সব কথাই সত্যি ) বড়োপিসিমার সব কথাই বানানো গ) বড়োপিসিমার সব কথাই মিথ্যে (ঘ) বড়োপিসিমার সব কথাই হুল ফোটানো

৫৫. বামুন-চাকর-ঝিদের জন্য কোন্ চাল রান্না করা হয়? (ক) রামশাল (খ) কনকপানি (গ) পদ্মজালি (ঘ) মোটা-সাপ্‌টা 

৫৬. “বড়োবউ ভাবতে চেষ্টা করে”—কী ভাবতে চেষ্টা করে? (ক) তখন আর মাছ আসবে না (খ) কত কাজ বাকি আছে।(গ) তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না (ঘ) তখনও সসাগরা পৃথিবীতে থাকবে কি না এতে

"ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর গল্প উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestions.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর।

[শব্দসীমা কমবেশি ২০] প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-

১. “লোকটার চাহনি বড়ো বাড়ির বড়ো বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি।” – কার চাহনির কথা বলা হয়েছে?

Ans: আলোচ্য অংশে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পের প্রধান চরিত্র উৎসব নাইয়া ওরফে উচ্ছবের চাহনির কথা বলা হয়েছে।

২. বড়োবউয়ের উচ্ছবকে ভালো লাগেনি কেন?

Ans: উচ্ছবের বন্য চেহারা, উগ্র চাহনি এবং তার খাটো করে পরা নোংরা লুঙ্গি দেখে বড়োবউয়ের উচ্ছবকে ভালো লাগেনি।

৩. বামুন ঠাকুর বড়োবউকে কী বলেছিল?

Ans: বামুন ঠাকুর বড়োবউকে বলেছিল যে, উচ্ছব ভাত খাওয়ার বিনিময়ে বড়ো বাড়িতে কাজ করবে।

৪. বড়োপিসিমা বড়ো বাড়ির কে ছিলেন?

Ans: বড়োপিসিমা ছিলেন বাড়ির বুড়োকর্তার অবিবাহিত বৃদ্ধা বোন এবং বড়োবউমা-সহ বাড়ির অন্য বউমাদের পিসিশাশুড়ি।

৫. বুড়োকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা-ঝামটা’ হচ্ছিলেন কখন?

Ans: অল্পবয়সে স্ত্রী মারা যাওয়ায় বুড়োকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা-ঝামটা’ হচ্ছিলেন।

৬. বড়োপিসিমা সংসারের কোন্ কোন্ দায়িত্ব সামলাতেন?

Ans: বড়োপিসিমা বাড়ির রান্নাঘর, ভাড়াটে বাড়িতে মিস্তিরি লাগানো, দাদা অর্থাৎ বুড়োকর্তার সেবা করা—এসব দায়িত্ব সামলাতেন।

৭. “সে জন্যেই হোম-যজ্ঞি হচ্ছে।”—হোম-যজ্ঞির কারণ কী ?

Ans: বড়ো বাড়ির বুড়োকর্তা লিভার ক্যানসারে মৃত্যু আসন্ন, তাই তাঁকে বাঁচাতেই হোমযজ্ঞ হচ্ছিল।

৮. বুড়োকর্তার কী রোগ হয়েছিল?

Ans: বুড়োকর্তার লিভার ক্যানসার অর্থাৎ যকৃতে কর্কট রোগ হয়েছিল।

৯. মেজোবউ শাশুড়ির জন্য কী কী মাছ রান্না করছিল?

Ans:মেজোবউ শাশুড়ির জন্য ইলিশ, পাকাপোনা, চিতল, ট্যাংরা এবং বড়ো ভেটকি মাছ রান্না করছিল।

১০. বড়োবউ শ্বশুরের ঘরে কিছুক্ষণের জন্য ঢুকেছিল কেন?

Ans: শ্বশুরের দেখভালে নিযুক্ত নার্স চা খেতে বাইরে গেলে শ্বশুরকে দেখাশোনার জন্য বড়োবউ তাঁর ঘরে ঢুকেছিল।

১১. “সেই জন্যেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।”—কী জন্য কাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি?

Ans: বড়ো বাড়ির বড়ো, মেজো ও ছোটো ছেলে সকাল এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না বলেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।

১২. বড়ো বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার দরকার ছিল না কেন?

Ans: আঠারোটি দেবত্র বাড়ি এবং বাদা অঞ্চলের প্রচুর উর্বর জমির মালিক হওয়ার জন্য বড়ো বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার প্রয়োজন ছিল না।

১৩. বড়োবউ শ্বশুরের জন্য কী কী করত?

Ans: ঘরে পাতা দই ও ইসবগুল দিয়ে শরবত বানিয়ে দেওয়া, শ্বশুরের জন্য রুটি বা লুচি তৈরি করা, তাঁর বিছানা পাতা এবং তাঁর পা টেপার কাজ করত বড়োবউ।

১৪. বড়ো বাড়িতে তান্ত্রিক কে এনেছিলেন?

Ans: বড়ো বাড়িতে ছোটো বউয়ের বাবা তান্ত্রিক ডেকে এনেছিলেন।

১৫. যজ্ঞিহোমের জন্য কত পরিমাণ করে কাঠ লেগেছিল ?

Ans: যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ প্রভৃতি গাছের আধ মন করে কাঠে লেগেছিল।

অথবা, যজ্ঞের জন্য কী কী কাঠ আনা হয় ?

১৬. ভজন চাকর কী করছিল?

Ans: বড়ো বাড়ির ভজন চাকর যজ্ঞের জন্য কালো বিড়ালের লোম সংগ্রহ করতে গিয়েছিল।

১৭. তান্ত্রিক শ্মশান থেকে কী আনার ফরমাশ করেন?

Ans: তান্ত্রিক শ্মশান থেকে বালি আনার ফরমাশ করেন।

১৮. “দেখো না একতলায় গিয়ে।”—একতলায় গেলে কী দেখা যায় ?

Ans: বড়ো বাড়ির একতলায় গেলে দেখা যায় গোলায় গোলায়, স্তরে স্তরে বহু রকম চাল সাজানো রয়েছে।

১৯. হোমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক কী করছিলেন?

Ans: হোমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক বড়ো বাড়ির নীচের হলঘরে বসেছিলেন।

২০. বড়ো বাড়িতে কনকপানি এবং পদ্মজালি চাল রান্না হয় কী জন্য ?

Ans: বড়োবাবু কনকপানি চাল ছাড়া এবং মেজো ও ছোটোবাবু পদ্মজালি ছাড়া ভাত খায় না বলে, তাদের জন্য এই দু-রকমের চাল রান্না করা হত।

২১. ‘ভাত’ গল্পে মোটা-সাপ্‌টা চাল খেত কারা?

Ans: বড়ো বাড়ির বামুন এবং ঝি-চাকররা মোটা-সাপ্‌টা চাল খেত।

২২. “খুবই অদ্ভুত কথা। তাঁর বিয়ে হয়নি।”—কার বিয়ে হয়নি?

Ans: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে বড়োপিসিমার বিয়ে হয়নি।

২৩. বুড়োকর্তার বাড়িগুলির নাম কী ছিল ?

Ans: ‘ভাত’ গল্পে বুড়োকর্তার বাড়িগুলির নাম ছিল শিব, মহেশ্বর, ত্রিলোচন, উমাপতি ইত্যাদি।

২৪. “শ্বশুর তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।” শ্বশুর কার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান ছিল ?

Ans: ‘ভাত’ গল্পের বড়ো বাড়ির বড়োবউয়ের কাছে তার শ্বশুর ঠাকুরদেবতা সমান ছিল।

২৫. ‘ভাত’ গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কী?

Ans: ‘ভাত' গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ইতিহাসনির্ভর জীবনী ঝাঁসীর রাণী।

২৬. “সেগুলো সব এক মাপে কাটতে হবে।”—কীসের কথা বলা হয়েছে?

Ans: এখানে হোমযজ্ঞের উদ্দেশ্যে যে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বত্থ, বট ও তেঁতুল গাছের আধমন কাঠ কাটা হচ্ছিল, তার কথাই বলা হয়েছে।

২৭. “...বড়ো বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি।”——কী?

Ans: কাজে নতুন যোগ দেওয়া উচ্ছবের উগ্র চাহনি বড়োবউয়ের ভালো লাগেনি।

২৮. “কোথা থেকে আনলে?”—কে, কাকে, কার সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে?

Ans: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে বড়ো বাড়ির বড়োবউমা বড়োপিসিমাকে উচ্ছব সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে।

২৯. “বড়ো বাড়ির লোকরা বলে....”—কী বলে?

Ans: বড়ো বাড়ির লোকেরা বলে যে, বড়োপিসিমার ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এবং তাই তিনি দেবতার সেবিকা।

৩০. “সেই ডেকে আনলে।”—কে, কাকে ডেকে এনেছিল?

Ans: বাসিনী উৎসব তথা উচ্ছবকে ডেকে এনেছিল।

৩১. “সেই ডেকে আনলে।”—সে কেন ডেকে আনল বলে বক্তা জানিয়েছেন?

Ans: উচ্ছবের ঘর-সংসার এবং দেশ ঝড়জলে ভেসে গেছে বলেই বাসিনী তাকে ডেকে এনেছে বলে জানিয়েছেন বক্তা বড়োপিসিমা।

৩২. “বড়োপিসিমা শেষ খোঁচাটা মারেন।”—খোঁচাটা কী ছিল?

Ans: বড়োপিসিমা বড়োবউমাকে বলেন যে, তার শ্বশুর মরতে বসেছে বলেই হোমযজ্ঞ হচ্ছে এবং তার কাজের জন্যই একজন লোক প্রয়োজন।

৩৩. “মেজ বউ উনোন পাড়ে বসেছে।”—কী করতে মেজোবউ উনুন পাড়ে বসেছিল ?

Ans: শাশুড়ির বিধবা হওয়ার আশঙ্কায় তার জন্য নানারকম মাছ রান্না করার উদ্দেশ্যে মেজোবউ উনুনপাড়ে বসেছিল।

৩৪. “তার আসার কথা ওঠে না।”—কার, কেন আসার কথা ওঠে না?

Ans: বৃদ্ধ বুড়োকর্তার চরম অসুস্থতার জন্য তার সেজো ছেলের বাড়িতে আসার কথা ওঠে না, কারণ সে বিলেতে থাকে।

৩৫. “বোঝা গেল যখন, তখন আর কিছু করবার নেই।”—কী বোঝা গেল এবং কী করার কিছু ছিল না?

Ans: বড়ো বাড়ির কর্তামশায়ের লিভার ক্যানসার হওয়ার কথা বোঝা গিয়েছিল। এবং দেরিতে ধরা পড়ার জন্য ডাক্তারদের কিছু করার ছিল না।

৩৬. “...তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না।”—উক্তিটিতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

Ans: বড়োবউমার কাছে তার শ্বশুর ঠাকুর-দেবতার মতো ছিল, তাই বড়োবউমা তার শ্বশুরের মৃত্যুর পর চাঁদ-সূর্য উঠবে কি না এ কথা ভেবেছিল।

৩৭. “ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তো....।”—ডাক্তাররা কী বলে দিয়েছে?

Ans: ক্যানসারে আক্রান্ত বড়ো বাড়ির বৃদ্ধ গৃহকর্তার শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে—এ কথাই ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল।

৩৮. “ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তো....” – ডাক্তাররা বলে দিয়েছে। বলে কী করা হচ্ছিল?

Ans: ডাক্তাররা বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার শেষ সময় এসে গেছে বলে দিয়েছে। তাই তাঁকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে সে বাড়িতে হোমযজ্ঞ হচ্ছিল।

৩১. “বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।”—বাদায় থাকা লোকদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা সাধারণত থাকে না কেন?

Ans: বাদা অর্থাৎ নিম্নভূমিতে জলের অভাব না থাকায় প্রচুর ধানের ফলন হয়। তাই বাদায় থাকা লোকেদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা থাকে না বলে মনে করা হয়েছে।

৪০. “এসব কথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে।”—কোন্ কথা?

Ans: অবিবাহিতা বড়োপিসিমা বলেছিলেন যে, শিব তাঁর পতিদেবতা। তাই তাঁকে যেন মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়া না হয়। এখানে এই তথ্যের সত্যতা সম্বন্ধেই বলা হয়েছে।

৪১. “...তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।”—কে, কার কাছে ঠাকুর-দেবতা সমান?

Ans: বড়োবউয়ের কাছে তার শ্বশুরমশাই অর্থাৎ বুড়োকর্তা হলেন ঠাকুর-দেবতা তুল্য।

৪২. “আজ এই যজ্ঞি- হোম হচ্ছে।”—হোমযজ্ঞের জন্য কোন্ কোন্ উপকরণ প্রয়োজন?

Ans: হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠানে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বত্থ, বট, তেঁতুল—এই পাঁচপ্রকার গাছের আধ মন করে কাঠ, কালো বিড়ালের লোম, শ্মশানের বালি ইত্যাদি উপকরণের প্রয়োজন।

৪৩. কার নিয়মে সংসারের সব কিছুই চলে? 

Ans: বড়ো বাড়ির সংসারের সব কিছুই বড়োপিসিমার নিয়মে চলে।

৪৪. শ্বশুর বড়োবউয়ের কাছে কীসের মতো ছিল?

Ans: বড়োবউয়ের কাছে তার শ্বশুর ঠাকুরদেবতার মতো ছিল।

৪৫. “উনি হলেন দেবতার সেবিকা।”—কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে?

Ans: প্রশ্নোধৃত উক্তিটিতে বড়োপিসিমার কথা বলা হয়েছে।

৪৬. ঝিঙেশাল চাল এবং রামশাল চাল কী কী দিয়ে খায় ?

Ans: ঝিঙেশাল চালের ভাত নিরামিষ ডাল-তরকারি দিয়ে এবং রামশাল চালের ভাত মাছ দিয়ে খায়।

 "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর গল্প উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestions.  

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা 'ভাত' রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন ১। মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্প অবলম্বন করে ঝড়জল বন্যার রাতটির বর্ণনা দাও। 5 [শব্দসীমা কমবেশি ১৫০]

উত্তর। ঝড়জল-বন্যার রাতের বর্ণনা: প্রশ্নে উদ্ধৃত ঝড়জল বন্যার রাত উচ্ছবকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যাতেই অনেকদিন পর সপরিবারে উচ্ছব পেট পুরে ভাত খেয়েছিল। খেতে খেতে চন্নুনীর মা বলেছিল যে, দেবতার গতিক ভালো নয়। নৌকা নিয়ে যারা বেরিয়েছিল, তাদের নৌকা-  সহ ডুবে মরে যাওয়ার আশঙ্কাও সে প্রকাশ করেছিল। এরপরই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। ঝড়-বৃষ্টিতে উচ্ছবদের কাঁচা বাড়ির মাঝখুঁটিটি ‘মাতাল আনন্দে টলছিল’ ধনুষ্টংকার রোগীর মতো। তাই উচ্ছব সর্বশক্তি দিয়ে ঘরের মাঝখানের খুঁটিটা মাটির দিকে চেপে ধরে ছিল। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল মা বসুন্ধরা যেন সেই খুঁটি রাখতে চাইছেন না, ঠেলে বের করে দিতে চাইছেন। তাই ভয়ে ভগবানের নাম নিতে থাকে সে। 

অন্যদিকে, ছেলেমেয়েকে জাপটে ধরে তার বউ ঠান্ডায় এবং ভয়ে কাঁপতে থাকে। এ সময়েই হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানিতে উচ্ছব দেখতে পায় মাতাল মাতলা নদীর সফেন জল বাতাসের তোড়ে দ্রুত ছুটে আসছে। পরে একসময় জল নেমে গেলেও উচ্ছবের ঘরের সব কিছু এবং তার  পরিবারকে উচ্ছব আর খুঁজে পায়নি, সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় সেই জল। বানের জলে ভেসে যাওয়া উচ্ছব গাছে বেধে কোনোক্রমে প্রাণে বাঁচে। এভাবে ঝড়জল-বন্যার সেই রাত উচ্ছবের জীবনে সর্বনাশ ডেকে এনেছিল।


প্রশ্ন ২। “লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে তা কাঁদব না এতটুকু?”— বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর। প্রেক্ষাপট: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পে উচ্ছব নাইয়া ছিল গ্রামের এক ভূমিহীন কৃষক। সে কাজ করত সতীশ মিস্তিরির জমিতে। বন্যার জলে বাড়িঘর ও সংসার ভেসে যাওয়া উচ্ছবের মাঝেমাঝেই মনে পড়ে যায় তার কৃষকজীবনের স্মৃতি। প্রাথমিক দিশেহারা অবস্থায় সে শুধুই তার স্ত্রী আর সন্তানদের খুঁজেছিল, কিন্তু পরে যখন তার অস্থিরতা কমে, তখনই উচ্ছবের খিদের যন্ত্রণা তীব্রতর হয়ে ওঠে। কর্মজীবনের কথা, ফসল ফলানোর স্মৃতি, তখনকার উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তার স্মৃতি তার মনের মধ্যে ভিড় করে আসে। মাথার ভেতরটা তার দপদপ করতে, কোনো কথা গুছিয়ে ভাবতে পারে না সে। 

কিছু ভাবতে গেলেই তার মনে হয় ধানের গোছা হওয়ার আগেই ধানগাছের সবুজ রং চলে যাচ্ছে; কার্তিক মাসেই ধান খড়ে পরিণত হয়ে গেল—এসব দেখে মাথায় হাত পড়ে উচ্ছবের। সে দেখল যে সতীশ মিস্তিরির হরকুল, পাটনাই এবং মোটা—এই তিনপ্রকার ধানেই মড়ক লেগেছে। সতীশ মিস্তিরির জমিতেই তো বছরের ক-মাস কাজ করে উচ্ছব। তাই উচ্ছব সতীশের খেতে হওয়া ধানের দশা দেখে কাঁদতে থাকে। সাধনবাবু উচ্ছবকে মনিবের ধান নষ্ট হওয়ায় তার কাঁদার কারণ জিজ্ঞেস করে। উচ্ছব তার উত্তরেই সাধনবাবুকে বলে যে, লক্ষ্মীর আবাহনের আগেই তার বিসর্জন হয়ে যাচ্ছে বলে সে কাঁদছে, কারণ গ্রামের মানুষদের কাছে ফসলই লক্ষ্মী।


প্রশ্ন ৩। “যা আর নেই, যা ঝড়-জল-মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল।”—দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? ৩+২ 

উত্তর । দুর্যোগের বর্ণনা: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পে আমরা দেখি, দুর্যোগের দিন সন্ধ্যাবেলায় চন্নুনীর মা খেতে খেতে বলছিল যে, দেবতার তিক ভালো নয়। তারপরে রাত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল দুর্যোগে উচ্ছবদের কাঁচা বাড়ির মাঝখানের খুঁটিটি ‘মাতাল আনন্দে টলছিল’ ধনুষ্টংকার রোগীর মতো। তাই ঘরের মাঝখানের খুঁটিটা উচ্ছব মাটির দিকে সর্বশক্তি দিয়ে চেপে ধরেছিল এবং ভয়ে ভগবানের নাম নিচ্ছিল। অন্যদিকে, ছেলেমেয়েদের জাপটে ধরে তার বউ ঠান্ডায় আর ভয়ে কাঁপছিল। এসময় হঠাৎ বিদ্যুতের আলোর ঝলকানিতে উচ্ছব দেখে, মাতাল মাতলা নদীর সফেন জল বাতাসের তোড়ে দ্রুত ছুটে আসছে। নিমেষের মধ্যে সেই বানের জল উচ্ছবের বউ- ছেলেমেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গাছে বেঁধে কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় উচ্ছব।

উচ্ছবের উপরে দুর্যোগের প্রভাব: দুর্যোগের আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে উচ্ছবের বুদ্ধি লোপ পায়। বউ-ছেলেমেয়ে-সহ সবকিছু ফিরে পাবার আশায় শুনসান বাড়ি ছেড়ে তাই সে নড়ে না। লঙ্গরখানায় দেওয়া খিচুড়ি তাই তার খাওয়া হয় না। কয়েকদিন পর সরকার শুকনো চাল দিলে দীর্ঘদিন যাবৎ উপোসি উচ্ছব তা চিবিয়েই কয়েকদিন কাটায়। এ সময় মাঝে-মাঝেই তার মনে পড়ে সেই দুর্যোগের রাতটার কথা। তার মনে হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভাত না খেয়ে সে ভূত হয়ে যাচ্ছে, ভাত খেলেই সে পুনরায় মানুষ হবে এবং বউ-ছেলেমেয়ের দুঃখে কাঁদতে পারবে। তাই কয়েকদিন পেট পুরে ভাত খেতে সে কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।


প্রশ্ন ৪। “গরিবের গতর এরা শস্তা দেখে।”—কে, কাদের সম্পর্কে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর। বক্তা এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছব নাইয়ার গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনী তার মনিব অর্থাৎ শহরের বড়ো বাড়ির লোকদের সম্পর্কে উক্ত মন্তব্যটি করেছে।

প্রেক্ষাপট: পরিবার হারানোর পর গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনিব বাড়িতে উচ্ছব কাজ খুঁজতে আসে। গ্রামের বাদা অঞ্চল থেকে অভুক্ত উচ্ছব শহরের বড়ো বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল—কাজের বদলে খেতে পাবে বলে। লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত বড়োকর্তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য তান্ত্রিক ডেকে হোমযজ্ঞের আয়োজন হলে উচ্ছবের উপরে দায়িত্ব পড়ে সেই যজ্ঞের কাঠ কাটার। আড়াই মন কাঠ কাটার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ক্ষুধার্ত উচ্ছবের কাছে প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি ছিল যজ্ঞ শুরু হওয়ার আগেই খাওয়াদাওয়া পর্ব মিটে যাবে। কিন্তু পরে তান্ত্রিকের নতুন বিধান আসে যে, হোম শেষ হওয়ার আগে খাওয়া যাবে না। 

কিন্তু ফুটন্ত ভাতের গন্ধ উচ্ছবকে উতলা করে তোলে। উচ্ছব খিদের জ্বালায় বাসিনীর কাছে শুকনো চাল চায়। এই সময়ে বাসিনী শাক ধুতে উঠোনে আসে। কিন্তু বাসিনী তাকে একটি ঠোঙা দিয়ে বলে যে, ছাতুটুকু খেয়ে দ্রুত সে যেন রাস্তার কল থেকে জল খেয়ে আসে। বাড়ির মালিকদের হৃদয়হীনতা বাসিনী ভালোভাবেই জানত। পরিশ্রমের মূল্য দিতে যে তাদের প্রবল অনীহা তা সে কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিল। তাই মনিববাড়িকে সে ‘পিশাচের বাড়ি’ বলে সম্বোধন করে এবং উল্লিখিত মন্তব্যটি করে।


প্রশ্ন ৫। “সেই সন্ধেয় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।” ‘সে’ কে? কোন্ সন্ধেয় সে পেট ভরে খেয়েছিল? সেই দিনটায় কী ঘটেছিল? ১+১+৩

উত্তর। উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: মহাশ্বেতা দেবী-র ‘ভাত’ গল্পের উল্লিখিত অংশে সে বলতে উচ্ছব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে।

উদ্দিষ্ট সন্ধ্যা: গল্পে বর্ণিত দুর্যোগের রাতে অর্থাৎ মাতলার বন্যায় যে রাতে উচ্ছব তার পরিবারকে হারিয়েছিল সেদিনই সন্ধেয় উচ্ছব অনেকদিন পরে পেট ভরে খেয়েছিল।

ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি: হিঞে সিদ্ধ, গুগলি সিদ্ধ, নুন আর লঙ্কা পোড়া দিয়ে উচ্ছব তার অনেকদিন অপেক্ষার আহার গ্রহণ করে। খেতে খেতে তার স্ত্রী, অর্থাৎ চন্নুনীর মা দুর্যোগের প্রসঙ্গে বলে—“দেবতার গতির ভালো নয়কো।” যারা নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়েছে তাদের জন্যও সে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে। এরই মধ্যে দুর্যোগ যেন তার ঘরের মধ্যে চলে আসে। উচ্ছব প্রাণপণে ঘরের মাঝখুঁটিটা মাটির দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করে, আর ভগবানকে ডেকে চলে। বিদ্যুতের চকিত আলোয় দেখা যায় মাতলার সফেন জল ঘরের ভিতর ছুটে আসছে। তারপরে সর্বনাশকে আর আটকানো যায়নি। বন্যার জলে ভেসে গেল তার স্ত্রী-সন্তানেরা। যখন জলে নেমে গেল, উচ্ছব তখন সর্বহারা। তার সংসার “মাটিতে লুটোপুটি গেল।” উচ্ছব গাছে আটকে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু মানসিক স্থিরতা হারিয়ে কিছুদিন পাগলের মতো তার স্ত্রী-সন্তানদের খুঁজে চলে।


প্রশ্ন ৬। মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পে উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর। দুর্ভাগ্যপীড়িত: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র উৎসব নাইয়া নিম্নবর্গীয় সমাজব্যবস্থার একজন প্রতিনিধি। ভাগ্যের ফেরে মাতলার বন্যায় বউ-ছেলেমেয়েকে হারায় সে। ভেসে যায় তার মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ উৎসবের জীবন থেকে সব কিছু কেড়ে নিলেও কেড়ে নিতে পারেনি তার আদিম প্রবৃত্তিকে, যে প্রবৃত্তির নাম খিদে। তাই প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই তার মধ্যে জেগে ওঠে ভাতের জন্য হাহাকার।

মমতা ও ভালোবাসাপ্রিয়: হাভাতে উৎসবের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আগে পর্যন্ত তার মধ্যেও কোমলতার স্পর্শ ছিল। তাই সতীশ মিস্তিরির তিন ধানে মড়ক লাগলে ধানের প্রতি পরম মমতায় কেঁদে ভাসায় এই গরিব ভাগচাষি। ভেসে যাওয়া ঘরের চালের নীচ থেকে পরিচিত স্বর শোনার আশায় নাওয়াখাওয়া ভুলে বসে থাকে উৎসব। অসম্ভব জেনেও পাগলের মতো বলতে থাকে, “রা কাড় অ চন্নুনীর মা!”

মানবিকতা: পরম আকাঙ্ক্ষিত ভাতের স্পর্শে ‘প্রেত’ উচ্ছবের ভিতর থেকে জেগে ওঠে ‘মানুষ’ উৎসব। তাই বড়ো বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ডেকচির ভাত খেতে খেতে সে মনে মনে সেই ভাত তুলে দেয় বউ-ছেলেমেয়ের মুখে... “চন্নুনী রে ! তুইও খা, চন্নুনীর মা খাও, ছোটো খোকা খা, আমার মধ্যে বসে তোরাও খা!”

সর্বহারা বঞ্চিত: আসলে উৎসবের মতো বঞ্চিত, প্রান্তিক মানুষদের সমাজজীবনে ব্যক্তিনামেরও কোনো মূল্য নেই। তাই আমরা দেখি তার নিরুৎসব জীবনে সে আর উৎসব থাকেনি, তার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্ছব নাইয়া।


প্রশ্ন ৭।  “দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতোই হিংস্র ভঙ্গি করে।”— কে, কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো। ২+৩ 

উত্তর। এরূপ আচরণকারী এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পের মুখ্য চরিত্র উচ্ছব নাইয়া তার গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনীর প্রতি এরকম আচরণ করেছিল।

● আচরণের কারণ: বুড়োকর্তার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পরে বড়োপিসিমা নির্দেশ দেন বাড়ির সব রান্না ফেলে দিয়ে আসার জন্য। আর মুহূর্তের মধ্যেই মরিয়া উচ্ছব স্থির করে নেয় সে কী করবে। সে সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে শহরের বড়ো বাড়িতে  কাজ করতে এসেছিল। কিন্তু বুড়োকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হোমযজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না—এই যুক্তিতে সে তার চরম আকাঙ্ক্ষিত খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এর মধ্যে সে নানারকম চালের এবং খাবারের গল্প শুনেছে ও দেখেছে। ফুটন্ত ভাতের গন্ধে সে উতলা হয়েছে কিন্তু ভাত জোটেনি তার। তাই বাসিনী ভাত ফেলতে গেলে লক্ষ্যে স্থির উচ্ছব ভাতের বড়ো ডেকচিটা নিজেই নেয় এবং দূরে ফেলে দিয়ে আসার কথা বলে। 

যে বাদার ভাতের জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা, সেই ভাত এখন তার হাতের মুঠোয়। ডেকচি নিয়ে উচ্ছব প্রথমে দ্রুত হেঁটে, ওপরে দৌড়ে স্টেশনে পৌঁছোয়। এই সময়েই যখন বাসিনী তাকে সেই ‘অশুচ বাড়ির ভাত’ খেতে নিষেধ করে, তা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে উচ্ছবের পক্ষে। সে ফিরে দাঁড়ায় এবং কামটের মতো হিংস্র চোখে বাসিনীর দিকে তাকায়। তার দাঁত বের করা মুখভঙ্গি কামটের মতোই হিংস্র লাগে বাসিনীর। আসলে খিদের মতো আদিম প্রবৃত্তি মানুষকে পশুর মতোই করে তোলে। তাই অভুক্ত উচ্ছব উদ্বৃত্ত ভাত খাওয়ার জন্য পশুর মতোই মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন ৮। “তুমি কী বুঝবে সতীশবাবু!”—সতীশবাবু কী বুঝবে না? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল? ৩+২

উত্তর। উদ্দিষ্ট বিষয়: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটোগল্পে উচ্ছব নাইয়া মন্তব্য করেছে যে, সতীশবাবু ভাত না খেতে পারার জ্বালা বুঝতে পারবে না। সতীশবাবু অবস্থাপন্ন গৃহস্থ। উচ্ছবদের মতো নদীর পাড়ে তার বাড়ি নয় আর মেটে ঘরেও সে থাকে না। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে তার পাকা বাড়ি তাই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি ধান, চালও সে পাকা ঘরে রেখেছে। ফলে চোর- ডাকাতের পক্ষেও তা চুরি করা সম্ভব নয়। দেশজুড়ে যখন দুর্যোগ চলছিল, লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল, তখনও সতীশবাবুর ঘরে রোজ রান্না হয়েছে। তাই ঘরবাড়ি এবং স্ত্রী-পুত্র হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া উচ্ছবদের মতো হতদরিদ্র মানুষের ক্ষুধার জ্বালা সতীশবাবুর মতো নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা লোকেরা কিছুতেই বুঝতে পারবে না।

সতীশবাবুর আচরণ: মাতাল মাতলা নদীর আগ্রাসী ঢেউয়ে উচ্ছব ভিটেমাটি, স্ত্রী-সন্তানদের হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। খিদের জ্বালায় সতীশবাবুর কাছে উচ্ছব একদিন ভাতের প্রার্থনা করে। উচ্ছবকে খেতে দিলে পঙ্গপালের মতো দলে দলে অভুক্ত মানুষ তার কাছে এসে জড়ো হবে এই বলে সতীশবাবু তাকে খাবার না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। সতীশবাবু উচ্ছবকে জানায় যে, কাভগবানের মারের হাত থেকে সে উচ্ছবকে বাঁচাতে পারবে না। সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে একরকম অমানবিক আচরণই করেছিল।

WBCHSE Class 12th Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  

WBCHSE HS Bengali Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প] প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর। "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প] HS Bengali Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প] – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]   MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  HS Bengali Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]– প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion. 

HS Bengali Question and Answer Suggestions  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প] উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর|

HS Bengali Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প]  MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর| 

WB Class 12 Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর[গল্প] MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভাত" মহাশ্বেতা দেবীর [গল্প] MCQ প্রশ্ন ও উত্তর। HS Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.