Type Here to Get Search Results !

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'কে বাঁচায় কে বাঁচে!|| MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| "কে বাঁচায় কে বাঁচে!|| MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
   উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'কে বাঁচায় কে বাঁচে!|| MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। 

Table of Content (toc)

HS Bengali Suggestion| MCQ, Short, Descriptive Question and Answer.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়|  বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer.  

Today Gk All Exams: এর পক্ষ সকলকে অসংখ ধ্যনবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তোমাদের ভালোলাগলে অবশ্যই Subscribe করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব দের কাছে শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট URL হলো- www.todaygkallexams.com 

Dear students: তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের সাজেশান খোঁজার চেষ্টা করছো তাদেরকে বলবো তোমরা সঠিক ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছো। আমরা এখানে উচমাধমিকের অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের 'কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা, থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি যা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'কে বাঁচায় কে বাঁচে! গল্প| MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ  প্রশ্ন ও উত্তর।

১. “...আজ চোখে পড়ল প্রথম।”—আজ মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম চোখে পড়ল—ক) তার চাকর বাজার করছে (খ) খবরের কাগজে মন্বন্তরের রিপোর্ট ছাপা হয়েছে (গ) তার এলাকায় ফুটপাত বেসিনেই (য) অনাহারের ফলে মৃত একজন মানুষ

২. “বাড়িটাও তার শহরের...।”—মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের(ক) কেন্দ্রস্থলে (খ) একপ্রান্তে (গ) বাইরে  (ঘ) এক নিরিবিলি অঞ্চলে

৩.... চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবোধ।”—মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে কষ্ট বোধ হওয়ার কারণ—ক) সে আঘাত পেয়েছে (খ) তার খাওয়া হয়নি (গ) তার মনে আঘাত লেগেছে (ঘ) তার খাওয়া বেশি হয়ে গেছে

৪. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পের প্রেক্ষাপট হল – (ক) ১৯৪৩-এর মন্বন্তর (খ) ভারত ছাড়ো আন্দোলন (গ) ৭৬-এর মন্বন্তর (ঘ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

৫. “সংসারে তার নাকি মন নেই।”—এখানে যার কথা বলা হয়েছে, সে হল- (ক) মৃত্যুঞ্জয় (খ)   নিখিলের স্ত্রী (গ)  নিখিল (ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী

৬. “অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”—মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিলের পছন্দ করার কারণ—(ক) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত বন্ধুবৎসল (খ) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত নিরীহ ও ভালোমানুষ (গ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস (ঘ) মৃত্যুঞ্জয় অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে জানে তার এলাকায় ফুটপাথ বেশি নেই

৭. “মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হলে মন্দ ছিল না।”—নিখিল এমনটি ভাবে, যখন—ক) মৃত্যুঞ্জয় আপন শক্তিপ্রয়োগে তৎপর হয়ে ওঠে (খ) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে সে কাবু হয়ে পড়ে (গ) সকলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশংসা করে (ঘ) সে দেখে, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অফিসের সকলে নির্ভর করে

৮. “মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল...।”—নিখিল অনুমান করল—(ক) তার শরীর ভালো নেই (খ) বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে (গ) তার মন ভালো নেই (ঘ) তার উপর সে রাগ করে আছে

৯. “আনমনে অর্ধ-ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়।”—তার এই আর্তনাদের কারণ(ক) সে মৃত মানুষকে দেখে ভয় পেয়েছে (খ) সে অনাহারে মৃত মানুষটিকে দেখে দুঃখ পেয়েছে (গ) সে মৃত মানুষটিকে দেখে চিনতে পেরেছে (ঘ) মানুষটির মৃত্যু তাকে অন্য কোনো বিপদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে

১০. “...মৃত্যুঞ্জয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে।”—নিখিলের এ কথা মনে হল, যখন- (ক) মৃত্যুঞ্জয় তার কোনো কথারই ঠিক উত্তর দিল না (খ) মৃত্যুঞ্জয়কে সে কয়েকটি প্রশ্ন করে যথাযথ উত্তর পেল না।(গ) মৃত্যুদৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিল (ঘ) মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল

১১. “সেটা আশ্চর্য নয়।”—এখানে যে বিষয়টিকে নিখিলের আশ্চর্য বলে মনে হয়নি, তা হল—(ক) অনাহারে মানুষের মারা যাওয়া (খ) অনাহারে মৃত মানুষকে পথের পাশে পড়ে থাকতে দেখা (গ) মৃত মানুষকে দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়া (ঘ) সমাজের দুর্দশা নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়া

১২. “...এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?” –বক্তা এখানে অপরাধ মনে করেন- ক) নিজের বেঁচে থাকাকে (খ) নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়াকে (গ) যথাযথ রিলিফ ওয়ার্ক না হওয়াকে (ঘ) নিজের উদাসীন থাকাকে

১৩. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে মাইনে বেশি পায়—ক)৩০ টাকা (খ) ৪০ টাকা (গ) ৫০ টাকা (ঘ) ৬০ টাকা

১৪. নিখিল দেখেছিল যে মৃত্যুঞ্জয় শার্সিতে আটকানো মৌমাছির মতো—ক) উড়ে বেড়াচ্ছে (খ) মধু খাচ্ছে (গ) গুনগুন করছে (ঘ)  মাথা খুঁড়ছে

১৫. মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায়—ক) ট্রেনে (খ) ট্রামে (গ) বাসে (ঘ) হেঁটে

১৬. “কী হল হে তোমার?”—মৃত্যুঞ্জয়কে এই প্রশ্ন করেছিল—ক) অফিসের বস (খ) নিখিল (গ) লঙ্গরখানার মালিক (ঘ) নিখিলের দাদা

১৭. “...শার্সিতে আটকানো ___মতো সে মাথা খুঁড়ছে...।”ক)মশার (খ) পতঙ্গের (গ) পাখির (ঘ) মৌমাছির

১৮. “নিখিল সন্তর্পণে প্রশ্ন করল।”—প্রশ্নটি ছিল(ক) তোমার কী হল? (খ) কী হল তোমার? (গ)  কী হল হে তোমার? (ঘ) কী হয়েছে তোমার?

১৯. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল—ক) আনন্দবাজার পত্রিকায় (খ) বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (গ) কল্লোল পত্রিকায় (ঘ) ভৈরব পত্রিকায়

২০. “নিখিল রোগা, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু।” ক) আলসে প্রকৃতির লোক (খ) সাহসী প্রকৃতির লোক (গ) ভীরু প্রকৃতির লোক (ঘ) চালাক প্রকৃতির লোক

২১. “ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।”—কার প্রয়োজন হয় না? (ক) নিখিলের (খ) টুনুর মার (গ) মৃত্যুঞ্জয়ের (ঘ) টুনুর

২২. “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।” কারণ—(ক) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল (খ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে গিয়েছিল () প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল (ঘ) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্ছিল 

২৩. মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল—(ক) অফিস থেকে ফেরার পথে (খ) অফিস যাওয়ার পথে (গ) সকালে প্রাতঃভ্রমণে (ঘ) বাজার করতে যাওয়ার সময়

২৪. মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিলের দাম্পত্যজীবন যথাক্রমে  (ক) ছয় ও আট বছরের (খ) চার ও পাঁচ বছরের (গ) আট ও নয় বছরের (ঘ) ছয় ও সাত বছরের

২৫. বাড়ি থেকে কতটা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয় ট্রামে চড়ত? (ক) ১০০ মিটার (খ) ১০০ গজ (গ) দু-পা (ঘ) ১০০ পা

২৬. “একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে।”—মৃত্যুঞ্জয় কলঘরে গিয়েছিল—(ক) জল খাওয়ার জন্য (খ) চোখে-মুখে জল দেওয়ার জন্য (গ) বমি করার জন্য (ঘ) বাথরুম করার জন্য

২৭. “পাশের কুঠরি থেকে নিখিল যখন খবর নিতে এল,”মৃত্যুঞ্জয় তখনক) বমি করছিল (খ) টিফিন খাচ্ছিল (গ) জল খাচ্ছিল (ঘ) চুপ করে বসেছিল

২৮. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পেত। কারণ—ক) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরি বেশিদিনের (খ) মৃত্যুঞ্জয় ওপরওয়ালার প্রিয়পাত্র ছিল (গ) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে বাড়তি দায়িত্ব পালন করত (ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের বয়স বেশি ছিল

২৯. “অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”— ‘সে’ কে?  ক) তার অফিসের বস (খ) নিখিল (গ) টুনুর মা (ঘ) টুনু 

৩০. “আনমনে অর্ধ-ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়।”—কী কথা বলে?  ক) সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল (খ) কেউ কথা রাখল না (গ) মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল! (ঘ) কী স্বার্থপর আমি

৩১. মৃত্যুঞ্জয়ের সংসারের বাজার ও কেনাকাটা করে  ক) সে নিজে (খ) চাকর (গ) ছোটোভাই (ঘ) চাকর ও ছোটোভাই 

৩২. মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের  ক) বমি হয় (খ) ঘুম পায় (গ) রাগ হয় (ঘ) শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়

৩৩. আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কী দেখল? ক) ফুটপাথে মৃত্যু (খ) অনাহারে মৃত্যু (গ) বস্তিবাসীর মৃত্যু (ঘ) পাগলের মৃত্যু

৩৪. নিখিল জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায়? (ক) বই পড়ে আর একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলে (খ) সংসারধর্ম পালন করে (গ) সামাজিক কাজকর্ম করে (ঘ) অসুস্থ স্ত্রীর সেবাযত্ন করে

৩৫. “যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক” না হওয়ার কারণ—(ক) টাকার অভাব (খ) লোকের অভাব (গ) সদিচ্ছার অভাব (ঘ) পরিকল্পনার অভাব।

HS Bengali Suggestion| MCQ, Short, Descriptive Question and Answer.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর।

[শব্দসীমা কমবেশি ২০টি] প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান - ১.

১. “ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।” —–কেন?

Ans:  বাড়ি থেকে অল্প হাঁটলেই মৃত্যুঞ্জয় অফিসের ট্রাম পায়। নামেও অফিসের  সামনে। তার পাড়ায় ফুটপাথ কম; তাকে বাজারহাটেও যেতে হয় না। তাই ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না।

২. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা কে করত?

Ans: বাড়ির বাজার ও কেনাকাটার কাজ মৃত্যুঞ্জয় নিজে কখনও করত না। সেই কাজ করত বাড়ির চাকর ও তার ছোটোভাই।

৩. “নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই।”—কীসের দর্শন?

Ans:  উদ্ধৃত অংশে ফুটপাথের উপর দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে, এমন একটি দৃশ্য দর্শনের কথা বলা হয়েছে।

৪. মৃত্যুঞ্জয় কোথায় প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল?

Ans: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল।

৫. নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় সেই ব্যাপারে কীভাবে জেনেছিল?

Ans: নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় শুধু খবরের কাগজ পড়ে আর লোকের মুখে শুনেই সেই ব্যাপারে জেনেছিল।

৬. মৃত্যুঞ্ঝয়দের বাড়ি কেমন জায়গায় অবস্থিত ছিল?

Ans:  মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ছিল শহরের এক নিরিবিলি পাড়ায়, যেখানে ফুটপাথও বেশি ছিল না।

৭. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কীভাবে অফিসে যেত?

Ans: মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে রাস্তায় গিয়ে ট্রামে উঠত এবং ট্রাম থেকে প্রায় অফিসের দরজায় নামত।

৮. মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্ঝয়ের শরীরে মনে কী হয়?

Ans: মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কষ্টবোধও চলতে থাকে।

৯.. অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন অফিসে পৌঁছে মৃত্যুঞ্জয় কী করেছিল?

Ans: অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত মৃত্যুঞ্জয় অফিসে পৌঁছে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা খাবারের সমস্তটাই বমি করে দিয়েছিল।

১০. “তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী?

Ans: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে একদিন অনাহার-মৃত্যু দেখার পর অফিসে গিয়ে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছিল।

১১. নিখিল অবসরজীবনটা কীভাবে কাটাতে চায়?

Ans: নিখিল বই পড়ে এবং নিজস্ব একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে তার অবসরজীবনটা কাটাতে চায় ।

১২. নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কত টাকা বেশি মাইনে পায় এবং কেন?

Ans: নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় একটি বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পায়।

১৩. নিখিলের চেহারা এবং প্রকৃতি কেমন ছিল?

Ans:  নিখিলের চেহারা ছিল রোগা। প্রকৃতিগত দিক থেকে সে ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং একটু অলস।

১৪. “সংসারে তার নাকি মন নেই।” – তার মন কীসে ছিল ?

Ans: নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের দু-বছর আগে বিয়ে করলেও সংসারে তার মন ছিল না বরং তার মন বইপত্র এবং চিন্তাজগতেই ডুবে থাকত।

১৫. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার কেমন ছিল?

Ans: আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিল পছন্দ করত। মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে তাকে ভালোও বাসত। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিল ছিল সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল।

১৬. মৃত্যুঞ্জয় দুর্বলচিত্ত ভাবপ্রবণ আদর্শবাদী হলেও কীভাবে সে নিখিলের কাছে ‘অবজ্ঞেয়’ হত?

Ans: দুটো খোঁচা দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরকার সব অন্ধকার বেরিয়ে আসত এবং সে নিখিলের কাছে অবজ্ঞেয় হত।

১৭. “মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে...।”—কখন ভাবে?

Ans:  নিখিল মাঝেমধ্যে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক শক্তির কাছে কাবু হয়ে পড়ে, তখনই সে মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে ভাবে।

১৮. “মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে...।”—কী ভাবে?

Ans: মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে তখন নিখিল ভাবে যে, সে যদি নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হত, তাহলে খারাপ হত না।

১৯. “মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল...।”—নিখিল কী অনুমান করতে পারল?

Ans: নিখিল অনুমান করতে পারল যে, মৃত্যুঞ্জয় বড়ো একটা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেই সংকটের অর্থহীন কঠোরতায় সে শার্সিতে আটকে পড়া মৌমাছির মতো মাথা খুঁড়ছে।

২০. “মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!” – এই কথাটা মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কীভাবে বলেছিল?

Ans:  প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি মৃত্যুঞ্জয় অন্যমনস্কভাবে, অস্ফুটবাক্যে আর্তনাদের মতো করে নিখিলকে বলেছিল।

২১. “আরও কয়েকটা প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হল...।”—কী মনে হয়েছিল নিখিলের ?

Ans: মৃত্যুঞ্জয়কে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হয়েছিল যে, মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরটা যেন সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।

২২. “সেটা আশ্চর্য নয়।” –কোনটা আশ্চর্য নয়?

Ans: ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর মতো সাধারণ এবং সহজবোধ্য ব্যাপারটা যে মৃত্যুঞ্জয় ধারণায় আনতে পারছে না, নিখিলের কাছে তা আশ্চর্য নয়।

২৩. নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি কোন্ কোন্ নেতিবাচক মনোভাব মৃদুভাবে পোষণ করত?

Ans: নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং ঈর্ষা—এই দুই নেতিবাচক মনোভাব মৃদুভাবে পোষণ করত।

২৪. ‘আদর্শবাদ’-এর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে কী বলা হয়েছে?

Ans: ‘আদর্শবাদ’ হল মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরোনো এবং সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য—গল্পটিতে আদর্শবাদ সম্বন্ধে এমন কথাই বলা হয়েছে।

২৫. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে লেখক কীসের সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা ‘শ্লথ, নিস্তেজ নয়’?

Ans: কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে লেখক মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা ‘শ্লথ, নিস্তেজ নয়।'

২৬. “মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে”—মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ কী ছিল? অথবা, নিখিল কেন মৃত্যুঞ্জয়কে ‘হয়তো মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালোও বাসে’?

Ans: মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ, শান্ত, সহজসরল এবং সৎ হওয়ার পাশাপাশি মানবসভ্যতার প্রাচীনতম পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করত।

২৭. বাড়ি থেকে বেরিয়ে কত পা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয়কে ট্রামে উঠতে হত?

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে ট্রামে উঠতে হত।

২৮. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কী কী খেয়ে এসেছিল?

Ans:  মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে ভাজা, ডাল, তরকারি, মাছ, দই আর ভাত খেয়ে এসেছিল।

২৯. মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মোটেও শ্লথ বা নিস্তেজ ছিল না, শক্তির একটা উৎস ছিল তার মধ্যে।

৩০. “...এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?”—অপরাধটি কী ছিল ?

Ans:  মৃত্যুঞ্জয় পেটভরে খেয়ে বেঁচে আছে, আর একটা লোক না খেতে পেয়ে মরে গেল। এই ভাবনা মৃত্যুঞ্জয়ের মনে অপরাধবোধ জাগিয়ে তুলেছে বলেই সে এমন উক্তি করেছে।

৩১. “...আজ চোখে পড়ল প্রথম।”—কার চোখে কী প্রথম ধরা পড়ল?

Ans: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখে প্রথম ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য ধরা পড়ল।

৩২. “কী হল হে তোমার?”—কে, কাকে এ কথা বলেছিল ?

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের বমি করা ও শরীর খারাপ দেখে সহকর্মী নিখিল তাকে এ কথা বলেছিল।

৩৩. “শত ধিক্ আমাকে।”—কেন এমন কথা বলা হয়েছে?

Ans: মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল কারণ দেশের লোকের অনাহারজনিত মৃত্যুর কথা জেনেশুনেও সে চারবেলা পেটপুরে খেয়েছে।

৩৪. ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?

Ans:  ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পটি ১৩৫০ বঙ্গাব্দে প্রথম সারদাকুমার দাস সম্পাদিত ভৈরব পত্রিকার প্রথম শারদসংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

৩৫. “এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল...।”—কার কথা বলা হয়েছে?

Ans:  এখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের কথা বলা হয়েছে।

৩৬. “বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’পা হেঁটেই সে ট্রামে ওঠে,”—যার কথা বলা হয়েছে সে ট্রাম থেকে কোথায় নামে?

Ans: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে উদ্দিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় ট্রাম থেকে অফিসের দরজার কাছে গিয়ে নামে।

৩৭. “বাড়িটাও তার শহরের এমন এক নিরিবিলি অঞ্চলে যে...।”—এর ফলে তার কী সুবিধা বা অসুবিধা হয়েছিল ?

Ans: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের নিরিবিলি এবং ফুটপাথহীন অঞ্চলে হওয়ায় এর আগে ফুটপাথের অনাহার- মৃত্যু তার চোখে পড়েনি।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'কে বাঁচায় কে বাঁচে! গল্প| MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রচোনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর। 

[শব্দসীমা কমবেশি ১৫০]

প্রশ্ন ১ “সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল— অনাহারে মৃত্যু।”—এই দেখার ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল? ৫

উত্তর প্রেক্ষাপট: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে একদিন ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। মন্বন্তরের সময়ে এরকম মৃত্যু নিয়মিত ঘটলেও তা ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।

শারীরিক প্রতিক্রিয়া : আবেগপ্রবণ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় তাই করুণ এই দৃশ্যটি দেখার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রচণ্ড মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে। রীতিমতো কাহিল অবস্থায় অফিসে পৌঁছে সে অফিসের বাথরুমে বাড়ি থেকে খেয়ে-আসা খাবার বমি করে বের করে দেয়।

মানসিক প্রতিক্রিয়া: পাশের কুঠুরি থেকে খবর নিতে আসে তার সহকর্মী- বন্ধু নিখিল। নিখিল দেখে মৃত্যুঞ্জয় ভাবলেশহীন চাহনিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে, সামনে টেবিলের ওপর শূন্য কাচের গ্লাস রাখা। তাকে দেখে নিখিলের মনে হয় যে, নিশ্চয়ই কোনো-এক বড়ো সমস্যায় পড়েছে মৃত্যুঞ্জয়। সেই সমস্যার নিরর্থক, অন্যায্য কঠোরতায় শার্সিতে আটকে-পড়া মৌমাছির মতো মৃত্যুঞ্জয় মাথা খুঁড়ছে। লেখক নিখিলের এই দেখার মধ্য দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার একটা স্বচ্ছ ধারণা সুন্দরভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। এককথায় মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল হতাশার, যন্ত্রণার এবং অস্থিরতার।


প্রশ্ন ২. “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।”—বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? ১+৪ 

উত্তর। বক্তা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটির বক্তা হল মৃত্যুঞ্জয়।

● উদ্দিষ্ট ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’-র বিশ্লেষণ: পঞ্চাশের মন্বন্তরকালে হঠাৎই একদিন ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয় অপরাধবোধে দীর্ণ হয়ে পড়ে। তার প্রিয় বন্ধু নিখিলের এতে মন খারাপ হয়। তবুও সে ভাবে যে, সব মানুষের সকল সহানুভূতি একত্রিত করে অনাহারীদের খিদের আগুনে ঢাললেও তা নিভবে না, উলটে তা ইন্ধনই পাবে। তার মতে, ভিক্ষাদানের মতো পাপকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে সৎকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয় বলেই মানুষের অন্নের দাবি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এরপর মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় যখন তার মাইনের সব টাকা নিখিলের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলে দান করে দেয়, তখন আর নিখিল স্থির থাকতে পারে না। পরিবারের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের দায়িত্বের কথা স্মরণ  করিয়ে দিতে সে মৃত্যুঞ্জয়কে জানায় যে, মন্বন্তরকালে ভূরিভোজ অন্যায় হলেও উপোস করে মৃত্যুবরণ করাও একেবারেই উচিত নয়। 

তাই বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু খাদ্যের প্রয়োজন, ততটুকুই সে গ্রহণ করে। নিখিল আরও জানায় যে, যতদিন অবধি আত্মরক্ষার উপযোগী ন্যূনতম খাদ্য সে জোগাড় করতে পারবে, ততদিন অবধি সে সেই খাদ্য গ্রহণ করবে। দেশের সমস্ত লোক মরে গেলেও সে অন্যকে সেই আত্মরক্ষার উপযোগী খাবার দিতে পারবে না। সমাজধর্মের দিক থেকেই বলা যায় যে, দশজনকে হত্যা করার চেয়ে নিজে উপোস করে মৃত্যুবরণ করা আরও বেশি অপরাধ। নিখিলের এই ভাবনাকেই মৃত্যুঞ্জয় ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে অভিহিত করেছে।

প্রশ্ন  “মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।”—মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? ৫

উত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করার কারণ: ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ও শারীরিক কষ্টের কারণ হয়েছে। নিখিলের কাছে এই ঘটনা সাধারণ ও সহজবোধ্য বলে মনে হলেও মৃত্যুঞ্জয়ের তা মনে হয়নি। সে এতদিন এই ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে ভূরিভোজ করে নিশ্চিন্তে দিন  কাটিয়েছে। নিজের এই উদাসীনতার জন্য সে বেদনাহত এবং অনুতপ্ত। সে নিজেকে অপরাধী বলে মনে করে। ওই অপরাধের কী প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে, সেই ভাবনা তাকে আলোড়িত করে। এই নির্লজ্জ অমানবিক আচরণের জন্য নিজেকে ধিক্কার জানাতেও মৃত্যুঞ্জয় পিছপা হয় না। মানসিকভাবে বিষণ্ন মৃত্যুঞ্জয়ের অনুতাপে চোখ ছলছল করে।

নিখিলের ভাবনা: মৃত্যুঞ্জয়ের ছলছল চোখ দেখে নিখিল চুপ করে থাকে। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের দরদের ছোঁয়ায় তারও মন খারাপ হয়। তার মনে হয় দুর্ভিক্ষের দেশে সমস্ত দরদ, সব সহানুভূতি উজাড় করে ঢেলে দিলেও অপরিসীম ক্ষুধার আগুন নিভবে না বরং তা ক্ষুধার আগুনকে ইন্ধন জোগাবে। নিখিলের মতে ভিক্ষে দেওয়া অস্বাভাবিক পাপ কাজ, কিন্তু তাকে পুণ্যকাজের পর্যায়ে উন্নীত করার ফলে মানুষের জীবনধারণের অন্নের প্রতি ন্যায্য দাবি জন্মায় না। ভিক্ষে দিয়ে দেশব্যাপী ক্ষুধার অন্ন জোগানো যায় না। এই রূঢ় বাস্তবকে আধ্যাত্মিক নীতি করে মধুর প্রলেপ দেওয়া আসলে অনিয়মের নামান্তর। চিতার আগুনে কোটি কোটি মৃতদেহ পোড়ানো হলেও পৃথিবীতে যত জ্যান্ত মানুষ আছে, তাদের পুড়িয়ে ছাই করার ক্ষমতা চিতার আগুনের আছে। আসলে মানুষের সীমাহীন খিদে সেই আগুনে জ্বালানি রূপেই কাজ করে।

প্রশ্ন ৪. “ভুরিভোজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।”—বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? ১+৪

উত্তর। বক্তা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে উল্লিখিত মন্তব্যটির বক্তা মৃত্যুঞ্জয়ের বন্ধু ও সহকর্মী নিখিল।

● বক্তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: দুর্ভিক্ষের কারণে ফুটপাতে মানুষের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। সে তার মাইনের সমস্ত টাকাটাই নিখিলের মাধ্যমে ত্রাণ-তহবিলে দিয়ে দিতে চায়। কিন্তু নিখিল এই বাস্তববোধহীন ভাবা বেগের বিরোধী। মাইনের টাকায় যার নিজেরই সংসার চলে না, তার এই জনসেবার আকুলতা নিখিলের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়। তার মনে হয় যে, এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না। যে রিলিফ চলেছে তা আসলে “একজনের বদলে আরেক জনকে খাওয়ানো।” একই সঙ্গে আত্মপ্রবঞ্চনাও মানতে পারে না নিখিল। বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতেই হবে। 

নিখিল বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছে “দেশের সমস্ত লোক মরে গেলেও যদি সেইটুকু সংগ্রহ করার ক্ষমতা আমার থাকে, কাউকে না দিয়ে নিজেই আমি তা খাব।” মৃত্যুঞ্জয়ের ভাবাবেগের বিপরীতে নিখিলের  ভাবনা ও বক্তব্যকে অনেক বেশি বাস্তববাদী মনে হয়। নিখিল মন থেকেই বিশ্বাস করে যে, নীতিধর্মের দিক থেকে না হলেও সমাজধর্মের দিক থেকে দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ। এভাবেই নিখিলের বাস্তববুদ্ধির পরিচয় গল্পে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

WBCHSE Class 12th Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প]  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

WBCHSE HS Bengali Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | HS Bengali Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প]  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প]  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প]  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প]  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । HS Bengali Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion. 

HS Bengali Question and Answer Suggestions  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর|

HS Bengali Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর| 

WB Class 12 Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! [গল্প] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.