Type Here to Get Search Results !

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'ভারতবর্ষ' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||"ভারতবর্ষ" গল্প || MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
   উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|'ভারতবর্ষ' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।    

Table of Content (toc)

HS Bengali Suggestion| MCQ, Short, Descriptive Questions and  Answers.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর (গল্প) থেকে। MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। HS Bengali Suggestions.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|'ভারতবর্ষ' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| 'ভারতবর্ষ' সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর (গল্প)| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes– 'ভারতবর্ষ'  সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর (গল্প) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer.  

Today Gk All Exams: এর পক্ষ সকলকে অসংখ ধ্যনবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তোমাদের ভালোলাগলে অবশ্যই Subscribe করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব দের কাছে শেয়ার করবেন।বন্ধুরা  মনে রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট URL হলো-www.todaygkallexams.com 

Dear students: তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের সাজেশান খোঁজার চেষ্টা করছো তাদেরকে বলবো তোমরা সঠিক ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছো। আমরা এখানে উচমাধমিকের অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের 'ভারতবর্ষ' সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর (গল্প) লেখা, থেকে বহু বিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি যা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'ভারতবর্ষ' গল্প| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| 'ভারতবর্ষ' গল্প| MCQ প্রশ্ন ত্ত উত্তর।

১. বাজারে চায়ের দোকান ছিল—(ক) একটা (খ) দুটো (গ) তিনটে (ঘ) চারটে

২. বাজারের উত্তরদিকে ছিল—(ক) গ্রাম (খ) ইটভাটা (গ) বাঁশবন (ঘ) মাঠ

৩. বাজারে জমাটিভাব থাকে - (ক) সন্ধ্যা সাতটা অবধি (খ) রাত আটটা অবধি (গ) রাত ন-টা অবধি (ঘ) রাত দশটা অবধি

৪. শীতের বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে—(ক) ডাওর (খ) ডাক (গ) ফাঁপি (ঘ) পউষে বাদলা 

৫. “এমনিতেই খুব জাঁকানো”—যার কথা বলা হয়েছে—(ক) রাঢ়বাংলার গরম (খ) রাঢ়বাংলার বর্ষা (গ) রাঢ়বাংলার শীত (ঘ) রাঢ়বাংলার কুয়াশা

৬. রাঢ় বাংলার শীতে ধারালো বৃষ্টিপাতকে ছোটোলোকে বলে— (ক) শীতবৃষ্টি (খ) ডাওর (গ) বৃষ্টির ধারাপাত (ঘ) পউষে বাদলা 

৭. বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তারা বলে” (ক) পউষে বাদলা খ) ডাওর (গ) ফাঁপি (ঘ) ঝড়-বৃষ্টি

৮. থুথুড়ে বুড়ির গায়ে জড়ানো ছিল—(ক) কাপড় (খ) কাঁথা (গ) তুলোর কম্বল (ঘ) কাশ্মীরি শাল

9. চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে প্রতীক্ষা করছিল- (ক) গরম চায়ের (খ) রোদ ঝলমল একটা দিনের (গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের (ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের

১০. চায়ের দোকানের আড্ডাবাজরা বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল- (ক) ঘোড়ার (খ) টাট্টুর (গ) হরিণের (ঘ) খরগোশের

১১. ডাকের মতে পৌষমাসে শনিবার বৃষ্টি শুরু হলে তা থাকবে- (ক) একদিন (খ) তিনদিন (গ) পাঁচদিন (ঘ) সাতদিন

১২. ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী পৌষমাসে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে—(ক) একদিন (খ) তিনদিন (গ) পাঁচদিন (ঘ) সাতদিন

১৩. ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বুধবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে—(ক) একদিন খ) তিনদিন (গ) পাঁচদিন ঘ) সাতদিন

১৪. চায়ের দোকানে হঠাৎ আসা বুড়ির হাতে ছিল—(ক) মোটা লাঠি (খ) বেঁটে লাঠি (গ) ন্যাকড়ার থলে (ঘ) তুলোর কম্বল

১৫. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল- (ক) সোমবার (খ) মঙ্গলবার (গ) বুধবার (ঘ) বৃহস্পতিবার

১৬. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বৃক্ষবাসিনী বুড়ি কোথায় আশ্রয় নিলে ভালো করত বলে কয়েকজন গ্রামবাসী মনে করেছিল?— (ক) বটতলায় (খ) চায়ের দোকানে (গ) বারোয়ারিতলায় (ঘ) আড়তে

১৭.  ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে—(ক) একদিন (খ) তিনদিন (গ) পাঁচদিন ঘ) সাতদিন

১৮. বাজারে মুদিখানার সংখ্যা—(ক) এক (খ) দুই (গ) তিন (ঘ) চার

১৯. বাজারে হাস্কিং মেশিনের পিছনে কী ছিল?— (ক) মন্দির (খ) ইটভাটা (গ) জলের কল (ঘ) স্কুল

২০. ‘রাঢ়বাংলা' বলতে বোঝায়- ক) গঙ্গার পূর্ববর্তী অঞ্চল চায়ের দোকানে (খ) গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল (গ) দামোদরের দক্ষিণ অঞ্চল (ঘ) অজয় নদের উত্তর অঞ্চল

২১. আমেদাবাদ শহরটি যে রাজ্যে অবস্থিত—(ক) পশ্চিমবঙ্গ (খ) গুজরাট (গ) রাজস্থান ঘ) মহারাষ্ট্র

২২. “... শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন-দিন।”—এটি হল একটি—(ক) বচন (খ) গান (গ)  উক্তি (ঘ) ছড়া

২৩. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ যুক্ত ছিলেন—(ক) তরজার সঙ্গে (খ) আলকাপের সঙ্গে (গ) রামযাত্রার সঙ্গে (ঘ) থিয়েটারের সঙ্গে

২৪. যে গ্রন্থটি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখা নয়—(ক) অলীক মানুষ (খ) রণভূমি (গ) উত্তর জাহ্নবী (ঘ) চোখের বালি

২৫. হাস্কিং মেশিন থেকে কী বের হয়?—(ক) তেল (খ) রস (গ) চাল (ঘ) গম

২৬. ‘সাবেককাল’ বলতে বোঝায়—(ক) আদ্যিকাল (খ) মধ্যকাল (গ) আধুনিক কাল (ঘ) অতি আধুনিক কাল

২৭. 'ভারতবর্ষ' গল্পটি যে ঋতুর পটভূমিতে রচিত, তা হল-(ক) গ্রীষ্ম (খ) বসন্ত (গ) হেমন্ত ঘ) শীত

২৮. “... একঘেয়েমি দূর করতেই নানান কথা আসে।”—তাদের মধ্যে একটি হল—(ক) বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী (খ) টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী (গ) কলকাতার অভিনেতা-অভিনেত্রী (ঘ) বোম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী

২৯....সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার।—বাজারটি গড়ে উঠেছে—(ক) পিচের রাস্তা যেখানে শেষ হয়েছে খ) বড়ো সড়কটি যেখানে একটি ছোটো সড়কের সঙ্গে মিশেছে (গ) পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে (ঘ) ইটপাতা রাস্তার ধারে

৩০. “মাঝে-মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে ...।”—কারণ—(ক) গ্রামটিতে ভাঙা মন্দিরের ছড়াছড়ি।(খ) গ্রামে বিদ্যুৎ নেই (গ) গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ইটের স্তূপ (ঘ) গ্রামে সভ্য মানুষের বসবাস খুবই কম

৩১. “চারপাশের গ্রাম থেকে লোকেরা আসে।”—লোকেরা আসে—(ক) তাই রাত নটা অবধি জোর জমাটিভাব থাকে (খ) তাই জায়গাটিতে মেলা বসে যায় (গ) তাই লোকেরা সবাই সবাইকে চেনে (ঘ) তাই বাজারে বেচাকেনা হয় খুব

৩২. “আবার সব চুপচাপ।”—সেই স্তব্ধতার অন্তর্গত—(ক)শেয়ালের ডাক (খ) প্যাঁচার ডাক (গ) শকুনের ডাক (ঘ) ঝিঁঝির ডাক

৩৩. “... লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”—লোকের মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কারণ—(ক) অকালবর্ষণে বাড়িঘর ডুবে যাবে।(খ) প্রচণ্ড শীতে ছেলেপিলেরা ঠান্ডায় কাঁপবে (গ) অকাল দুর্যোগে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে (ঘ) গরমের দাবদাহে চাষের খেত ফুটিফাটা হবে

৩৪. মুণ্ডুপাত করতে থাকল আল্লা-ভগবানের।—আল্লা-ভগবানের মুণ্ডুপাত করতে থাকার কারণ—(ক) পউষে বাদলা হয়েছিল (খ) অকাল দুর্যোগের ফলে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে (গ) কৃষকরা ফাঁপির কবলে পড়েছিল (ঘ) (খ) ও (গ) দুটিই ঠিক

৩৫. মাথার ওপর আর কোনো শালা নেই রে—কেউ নাই।—কথাটি বলেছিল—(ক) গ্রামের কোনো যুবক চাষি (খ) গ্রামের মোড়লেরা  (গ) এক ভবঘুরে (ঘ) গ্রামের এক গণ্যমান্য চাষি 

৩৬. . তখন যা খুশি করা যায়।”—যা খুশি করা যায়, তখন, যখন কিনা—(ক)  মাথার ঠিক থাকে না (খ) মাথার যখন ব্যথা থাকে না (গ) মাথা ঘামানোর কিছু থাকে না (ঘ) মাথার উপর কেউ থাকে না

৩৭. “সবাই চলে আসে”—সবাই আসে, কারণ—(ক) একলা ঘরে বসে থাকার জো নেই (খ) গ্রামের ঘরে বসে কারও সময় কাটে না (গ) সবাইকেই এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় (ঘ) বাজারে ভালোমন্দ খাবার পাওয়া যায়

৩৮. ...ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে।”—কেন-না— (ক) লোকের হাতে পয়সা নেই (খ) অকাল দুর্যোগে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে পয়সা পাবেই (গ) আজ না-হোক, কাল পয়সা পাবেই (ঘ) চাওয়ালা খুব দিলদরিয়া লোক ছিল এই শুখা মরশুমে

৩৯. “...সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”—সবাই অবাক হল কারণ—(ক) এই প্রবল ঝড়ে চায়ের দোকানটা কীভাবে টিকে রইল (খ) বাউরিরা নতুন বাড়ি বানাল কী করে । (গ) এই দুর্যোগে কীভাবে ভিখিরি বুড়িটা হেঁটে চায়ের দোকানে এল (ঘ) এই অকালবর্ষণে জমির ধানগুলো অক্ষত রইল কীভাবে

৪০. “সে-কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?”—কথাটি হল—(ক) সে কোথা থেকে এসেছে (খ) সে কোথায় যাবে (গ) তার সঙ্গে আর কে আছে (ঘ) সে কেন এখানে এসেছে

৪১. “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!”—লোকেদের এমন কথা বলে চিৎকার করে ওঠার কারণ—(ক) হঠাৎ একটা ট্রাক এসে পড়েছিল (খ) বুড়িটা হাত-পা সেঁকার জন্য আগুনের খুব কাছে চলে গিয়েছিল (গ) তাড়াহুড়োয় চা খেতে গিয়ে বুড়িটির বিষম লেগেছিল ঘ) দুর্যোগের মধ্যে বুড়ি আবার রাস্তায় গিয়ে নেমেছিল

৪২. “..বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।”—এখানে বুড়ির যে অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে, তা হল- (ক) লোকের টিটকিরি সহ্য করা (খ) না খেয়ে থাকা (গ) গাছতলায় থাকা (ঘ) ফুটপাথে থাকা

৪৩. “কেউ কেউ বলল ...।”—কেউ কেউ কী বলল?— (ক) বৃষ্টির মধ্যে বুড়ির রাস্তায় নামা উচিত হয়নি (খ) বুড়ি বারোয়ারিতলায় গেলেই ভালো করত (গ) বুড়ির নিশ্চয় কোনো কুমতলব আছে (ঘ) বুড়ির পুঁটলিতে অনেক টাকাপয়সা আছে

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| ভারতবর্ষ গল্প| সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১.‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল? [শব্দসীমা কমবেশি ২০]

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা।

২. বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত?

Ans:→ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু-একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত।

৩. বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শোনা যেত?

Ans:→ নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শোনা যেত।

৪. বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

Ans:→ বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ- সংযোগ ছিল না।

৫. বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল?

Ans:→ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল, সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল।

৬. বাজারে কোন্ কোন্ দোকান ছিল?

Ans:→ বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটে পোশাকের দোকান, একটা মনোহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল।

৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে?

Ans:→ গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে।

৮. রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন?

Ans: রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালো প্রকৃতির, বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালো।

৯. “তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”—লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?

Ans:→ পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।

১০. “চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে” —কীসের প্রতীক্ষা করছিল ?

Ans:→ চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রোদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।

১১. “চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে”—কার মুণ্ডুপাত করছিল ?

Ans:→ চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল।

১২. শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয়?

 Ans: শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয়।

১৩. পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত?

Ans: পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলোকের কাছে ‘পউষে বাদলা’ অভিধায় এবং ছোটোলোকের কাছে ‘ডাওর’ নামে পরিচিত।

১৪. ‘ফাঁপি’ কাকে বলে?

Ans:→ শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য, তথাকথিত ‘ছোটোলোকের’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে ‘ফাঁপি’ বলে।

১৫. চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল ?

Ans: চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘বোমবাইয়ের’ অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল।

১৬. “এইটুকুই যা সুখ তখন।”—কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে?

Ans:→ পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের ‘সুখ'।

১৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার, কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি। তার ক্ষয়ে যাওয়া, ছোট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল।

১৮. বৃদ্ধার পরনে কী ছিল?

Ans:→ বৃদ্ধা নোংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানো ছিল তুলোর চিটচিটে একটা কম্বল।

১৯. বৃদ্ধার হাতে কী ছিল?

 Ans: বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি।

২০. বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল?

 Ans: বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছোটো, ক্ষয়াটে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত।

2১. “..সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”—কী সবাইকে অবাক করেছিল? অথবা, “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”—সবাই অবাক হয়েছিল কেন?

Ans: থুথুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে থেকে চায়ের দোকানে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল—সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল।

২২. চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কী করেছিল ?

Ans:→ চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কোনো কথা না বলে দোকানে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।

২৩. “তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল”—কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে চায়ের দোকানে বসে থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কোথা থেকে এসেছে।

২৪. “তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল...”—কখন?

Ans:→ চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধাটি কোনো কথা না বলে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল।

২৫. “ওরা হেসে উঠল...।” – ওদের হেসে ওঠার কারণ কী?

Ans:→ চায়ের দোকানে আসা বৃদ্ধাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে, তাতে তাদের কাজ কী? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল।

২৬. “বুড়ি খেপে গেল।”—কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ?

Ans:→ চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে বলেছিল “ভারি তেজি দেখছি!এই বাদলায় তেজি টাট্টুর মতন বেরিয়ে পড়েছে।” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।

২৭. “একজন ঠান্ডা মাথায় বলল...”— কী বলেছিল?

Ans:→ একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে, বুড়ি কোথায় থাকে, তারা জিজ্ঞাসা করছে।

২৮. বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল ?

Ans: বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল।

২৯, “লোকেরা চেঁচিয়ে উঠল...”― চেঁচিয়ে উঠল কী বলে ?

Ans:→ “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!”—এ কথা বলেই লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।

৩০. “লোকেরা চেঁচিয়ে উঠল...” —কখন লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল?

Ans: বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে, তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল—তখনই লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।

৩১. “বুড়ি ঘুরে বলল...”—কী বলেছিল?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা লোকদের বলেছিল, “তোরা মর্, তোদের শতগুষ্টি মরুক।”

৩২. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল, সেই বটতলাটা সে- সময়ে কেমন ছিল?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল।

৩৩. “বোঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।”—বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?

Ans:→ বটগাছতলায় বটের গুঁড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে।

৩৪. “কেউ কেউ বলল” -কেউ কেউ কী বলল ?

Ans: কেউ কেউ বলেছিল যে, বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারোয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালো করত। দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে।

৩৫. বুড়িকে যখন ভালোভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন চা-দোকানের লোকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল?

Ans: চা-দোকানের লোকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে, তার নিবাস তাদের মাথায়।

৩৬. বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল ?

Ans:→ কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল।

৩৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে কোন্ কোন বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে ‘বড়ো মেজাজি এবং ‘ভারি তেজি’—এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।

৩৮. ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন্ কোন্ বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?

Ans:→ ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার, সোমবার, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায়।

৩৯. ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে কী বলা আছে?

Ans:‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে, শনিবার শুরু হলে সাত দিন, মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে। অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে।

৪০. “অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার।”—অন্যদিন বলতে কোন্ কোন দিনের কথা বলা হয়েছে?

Ans:→ অন্যদিন বলতে রবি, সোম, বৃহস্পতি ও শুক্র—এই চার দিনের কথা বলা হয়েছে।

৪১. “... কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন...”—কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।

82. কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন ...” —কী দেখা গেল?

Ans:→ পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল।

৪৩. “...সবাই আবিষ্কার করল...”—কখন সবাই আবিষ্কার করল?

Ans:→ পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল, সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল।

৪৪. “... সবাই আবিষ্কার করল ...”—কী আবিষ্কার করল ?

Ans: সবাই আবিষ্কার করল যে, বটগাছের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে।

৪৫. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল?

Ans:→ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে।

৪৬. ‘ডাওর’ কাকে বলে?

Ans:→ রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায়। গ্রাম- বাংলার তথাকথিত ছোটোলোকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ডাওর'।

৪৭. “রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালো।”—‘রাঢ়বাংলা' বলতে কোন্ স্থানকে বোঝানো হয়েছে?

Ans:→ ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বোঝায়।

৪৮. কোথায় ‘গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার’?

Ans:→ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই ‘ছোট্ট বাজার'টি গড়ে উঠেছে।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| ভারতবর্ষ গল্প| রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর।

প্রশ্ন ১ “কতক্ষণ সে এই মারমুখী জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত কে জানে”—‘সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে? জনতা মারমুখী হয়ে উঠেছিল কেন? [শব্দসীমা কমবেশি ১৫০১+৪

উত্তর ‘সে’ র পরিচয়: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশে ‘সে’ বলতে নীল উর্দি-পরা, এলাকার চৌকিদারের কথা বলা হয়েছে।

● জনতার মারমুখী হয়ে ওঠার কারণ: পৌষমাসের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে চায়ের দোকানে আগত বৃদ্ধার মৃতদেহ কয়েকদিন পরে বটগাছের খোদলের কাছে দেখতে পাওয়া যায়। এবং তা নিয়ে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের সূচনা হয়। হিন্দুরা চ্যাংদোলা করে মৃতদেহটি নদীর চরে ফেলে এলেও মুসলিমরা সেটি গ্রামে ফিরিয়ে আনে মুসলিম মতে সৎকার করার জন্য। কারণ, গ্রামের মোল্লাসাহেব জানিয়েছেন যে, মামলার কাজে শহরের বাস ধরতে যাওয়ার সময় তিনি বুড়িকে কলমা পড়তে শুনেছেন। হিন্দুদের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ আসে। 

ভটচাজমশাই জানান যে মোল্লাজির সঙ্গেই একই বাস ধরতে যাওয়ার সময় তিনি বুড়িকে শ্রীহরি বলতে শুনেছেন। এইভাবেই নকড়ি নাপিত বনাম ফজলু সেখ, নিবারণ বাগদি বনাম করিম ফরাজি, হিন্দু বনাম মুসলমান দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়ে ওঠে। তর্কাতর্কি, উত্তেজনার পরে বাঁশের চ্যাংদোলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। চারপাশের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রাম থেকে ছুটে আসে সশস্ত্র মানুষেরা। বুড়ির মৃতদেহের পাশে অস্ত্রহাতে জনতা দাঁড়িয়ে যায়। উভয়পক্ষ ‘নারায়েতকবির’, ‘আল্লাহু আকবর' আর ‘জয় মা কালী’ চিৎকার করে মৃতদেহের অধিকারের জন্য পরস্পরের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠে।


প্রশ্ন ২ “শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল।”— কার কথা বলা হয়েছে? সে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল কেন? ১+৪ 

উত্তর। উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে শীতেরদিনে ‘ফাঁপি’র প্রতিকূল আবহাওয়ায় গ্রামে চলে আসা বৃদ্ধা—যার মৃতদেহকে ঘিরে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল—সেই বৃদ্ধার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আবছা হয়ে যাওয়ার কারণ: গ্রামের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা নদীর চড়ায় ফেলে আসা বৃদ্ধার মৃতদেহকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে এবং তাকে মুসলমান দাবি করে কবরস্থ করার উদ্যোগ নেয়। এই নিয়ে হিন্দু এবং মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষের উপক্রম হয়। মোল্লা সাহেবের নেতৃত্বে একপক্ষ থেকে চিৎকার ওঠে “আল্লাহু আকবর”,  অন্যপক্ষ থেকে ভট্টচামশাইয়ের নেতৃত্বে গর্জন শোনা যায়—“জয় মা কালী।

”এই সময়েই দেখা যায় এক অদ্ভুত দৃশ্য। বুড়ির মৃতদেহটি নড়ছে এবংআস্তে আস্তে তা উঠে বসার চেষ্টা করছে। বুড়ি উঠে দাঁড়ায়, ভিড়কে দেখে এবং বিকৃত মুখে হেসে ওঠে। তারপর ধীরে ধীরে রাস্তা ধরে সে এগিয়ে যায়। যুযুধান মানুষেরা সরে গিয়ে তাকে পথ করে দেয়। দূরের দিকে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে-যাওয়া বৃদ্ধা যেন ভারতবর্ষের অন্তরাত্মার প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে বিদ্বেষ বা উগ্রতার কোনো জায়গা নেই।


প্রশ্ন ৩ “তারপর দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য”—অদ্ভুত দৃশ্যটি কী? কোন্ ঘটনার পর তা দেখা গেল ? ১+৪ 

উত্তর অদ্ভুত দৃশ্যের পরিচয়: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ ছোটোগল্প থেকে সংকলিত উদ্ধৃতিটিতে যে ‘অদ্ভুত’ দৃশ্যের কথা বলা হয়েছে, তা হল—যার মৃতদেহের অধিকার নিয়ে হিন্দু-মুসলমান দু-পক্ষ দাঙ্গার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, সেই আপাত-মৃত বৃদ্ধাটি হঠাৎ মাথা নাড়ায় এবং নড়তে নড়তে উঠে বসার চেষ্টা করে। ক্রমশ সে উঠে বসে এবং দাঁড়িয়েও পড়ে।

বুড়িকে নিয়ে টানাপোড়েন: বৃদ্ধা ভিখারিনি প্রাণ হারিয়েছে বলে মনে করে কয়েকজন হিন্দু গ্রামবাসী তাকে শুকনো নদীর চড়ায় ফেলে আসে। কিন্তু সেদিনই বিকেলে দেখা যায় যে, কয়েকজন মুসলমান  আরবি মন্ত্র পড়তে পড়তে বুড়িকে কবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাজারে নিয়ে আসছে। 

হিন্দু-মুসলিম বচসা: বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে  মোল্লাসাহেবের নেতৃত্বে মুসলমানরা এবং ভটচাজমশাইয়ের নেতৃত্বে হিন্দুসম্প্রদায় প্রবল বচসায় জড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনার প্রসার বাজারের  দোকানপাট একে একে বন্ধ হতে শুরু করে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে দুই সম্প্রদায়ের বহু মানুষ অস্ত্রশস্ত্র-সহ অকুস্থলে জড়ো হতে শুরু করে। বুড়ির মাচার দু-পাশে জড়ো-হওয়া দু-দলের জনতা অসহায় চৌকিদারের উপস্থিতিতে পরস্পরের উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক উক্তি করতে থাকে। মোল্লাসাহেব ‘নারায়েতকবির’, ‘আল্লাহুআকবর’ ইত্যাদি ধর্মীয় স্লোগান তুলে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে থাকেন। অন্যদিকে ভটচাজমশাই মাঝে-মাঝেই চিৎকার করে মা কালীর নামে জয়ধ্বনি দিতে লাগলেন।

আইনরক্ষকের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা: এরকম দাঙ্গা-পরিস্থিতির মাঝখানেও কর্তব্য-সচেতন বিপন্ন আইনরক্ষক চৌকিদার তার লাঠিটি উঁচিয়ে দু-পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। কোনো পক্ষ এক কদম এগোনোর চেষ্টা করলেই সে লাঠি ঠুকে ‘সাবধান’ বা ‘খবরদার’ বলে গর্জন করতে থাকে। বালির বাঁধ কিন্তু তার প্রচেষ্টা যখন বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ার মুখে, ঠিক তখনই দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে উঠে দাঁড়িয়ে বুড়ি সেই উত্তেজনায় জল ঢেলে দেয়।


প্রশ্ন ৪ “আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে?”—কোন্ প্রশ্নের উত্তরে বক্তা এ কথা বলেছেন ? গল্পানুসারে বক্তার স্বরূপ উদ্ঘাটন করো। ১+8

উত্তর প্রসঙ্গ: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বুড়ির ‘মৃতদেহ যখন নড়ে ওঠে এবং উঠে দাঁড়ায় তখন সমবেত জনতা তার কাছে জানতে চায় যে, সে হিন্দু না মুসলমান। এই প্রশ্নের উত্তরেই বৃদ্ধা উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছে। 

● বক্তার স্বরূপ উদ্ঘাটন: ভিখিরি এবং ভবঘুরে হিসেবে গল্পে বৃদ্ধার আবির্ভাব ঘটেছিল। প্রথম থেকেই তার মেজাজ ছিল অত্যন্ত চড়া। প্রায় কারও কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে বৃদ্ধা গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল বটগাছের খোঁদলে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া তাকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু কয়েকদিন পরে বৃষ্টি থামলে তাকে নিঃসাড় অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরে বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকার করার দাবিকে ঘিরে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়। 

আর তখনই কাহিনির নাটকীয় মোড় ঘুরিয়ে বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ায়। যে জনতা পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র উঁচু করেছিল তারা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, পক্ষান্তরে বুড়ি সেই ভিড়ের দিকে তাকিয়ে বিকৃত মুখে হেসে ওঠে। সকলেই যখন তাঁর মৃত্যু না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তখনও বৃদ্ধা তীক্ষ্ণকণ্ঠে বলে—“তোরা মর্। তোরা মর্ মুখপোড়ারা!” সে হিন্দু না মুসলমান—এ প্রশ্নের উত্তরেও সে বলে “চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা? দেখতে পাচ্ছিস নে?” আসলে হিন্দু বা মুসলমান ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মনুষ্যত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে বৃদ্ধা। ভিড়কে দু-পাশে সরে যেতে বাধ্য করে যেভাবে সে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেছে তা চিরজীবী মনুষ্যত্বেরই জয় ঘোষণা করে।

WBCHSE Class 12th Bengali Suggestion| উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –"ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  

WBCHSE HS Bengali Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প] প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর। "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প] HS Bengali Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প] – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]   MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –"ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  |"ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  HS Bengali Suggestion


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]– প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion. 

HS Bengali Question and Answer Suggestions | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –"ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প] উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর|

HS Bengali Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর| 

WB Class 12 Bengali Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প]  MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – "ভারতবর্ষ" সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ-এর [গল্প] MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.