Type Here to Get Search Results !

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
   উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।   

Table of Content (toc)

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| MCQ, Short, Descriptive Questions and  Answers.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) থেকে। MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। HS Bengali Suggestions.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes– ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা |‘রূপনারানের কূলে' কবিতা|| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

WB Class 12 Bengali Suggestion| উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer.  


Today Gk All Exams: এর পক্ষ সকলকে অসংখ ধ্যনবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তোমাদের ভালোলাগলে অবশ্যই Subscribe করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব দের কাছে শেয়ার করবেন।বন্ধুরা  মনে রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট URL হলো-www.todaygkallexams.com 

Dear students: তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের সাজেশান খোঁজার চেষ্টা করছো তাদেরকে বলবো তোমরা সঠিক ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছো। আমরা এখানে উচমাধমিকের অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) লেখা, থেকে বহু বিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি যা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা- বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন [MCQ] ও উত্তর

নির্দেশ ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১.

১. ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি হল – (ক) প্রান্তিক (খ) জন্মদিনে (গ) শেষ লেখা (ঘ) শেষ সপ্তক

২. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি মূল কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?(ক) ১১ (খ) ১৩ (গ) ১২ (ঘ) ১৪

৩. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি রচিত হয়—(ক) ২৮ ও ২৯ মে, ১৯৪১ (খ) ৩০ ও ৩১ মে, ১৯৪১ (গ) ১৬ ও ১৭ মে, ১৯৪১ (ঘ) ১৩ ও ১৪ মে, ১৯৪১

৪. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- (ক) জোড়াসাঁকোতে (খ)  শান্তিনিকেতনে (গ) শিলাইদহে (ঘ) মংপুতে

৫. কবি রবীন্দ্রনাথ জেগে উঠেছেন- (ক) গোদাবরীর কূলে (খ) কাবেরীর কূলে (গ) রূপনারানের কূলে ঘ) দামোদরের কূলে

৬. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় রূপনারান হল- (ক) বাংলার একটি নদী (খ) রূপময় জগৎ-সংসার (গ) কল্পলোক (ঘ) বৈতরণী

৭. ‘রূপনারানের কূলে জেগে’ ওঠা বলতে এই কবিতায় বোঝানো হয়েছে- (ক) দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠা (খ) অচৈতন্য অবস্থা থেকে জ্ঞান লাভ করা (গ) বাস্তব জীবনবোধে উন্নীত হওয়া (ঘ)  মানসিকভাবে সচেতন হওয়া

৮. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি অনুধাবন করলেন(ক) আকাশে মেঘ কেটে গেছে (খ) সূর্যালোকে চারদিক ঝলমল করছে (গ) নিদ্রাজগৎ আর বাস্তবজগতের প্রভেদ নেই (ঘ) স্বপ্নের জগৎ আর বাস্তবের বিস্তর তফাত

৯. “রূপ-নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম,/জানিলাম...”—কবি কী জানলেন? (ক) এ জগৎ স্বপ্নময় (খ) এ জগৎ মায়াময় (গ) এ জগৎ স্বপ্ন নয় (ঘ) এ জগৎ মায়ামুক্ত

১০. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় যে অক্ষরের কথা বলা হয়েছে তা—(ক) সোনার (খ)  রক্তের (গ) জলের (ঘ) শিক্ষার

১১. কবি রবীন্দ্রনাথ নিজের রূপ দেখেছিলেন—(ক) দর্পণে (খ) হৃদয়ে (গ) রক্তের অক্ষরে (ঘ) পল্লিগ্রামে

১২. “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম”—কী দেখলেন? (ক) আপনার স্বপ্ন (খ) আপনার জগৎ (গ) আপনার বেদনা (ঘ) আপনার রূপ

১৩. ‘রক্তের অক্ষরে দেখিলাম’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন—(ক) জীবন রঙিন হয়ে দেখা দিল (খ) সুখস্মৃতিগুলি বর্ণময় হয়ে উঠল (গ) আঘাত-সংঘাতের যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কবি দেখলেন (ঘ) সংগ্রামী জীবনের মধ্য দিয়ে কবি অনুভব করলেন

১৪. ‘দেখিলাম আপনার রূপ’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন—(ক) নিজের অপূর্ব সুন্দর রূপের সৌন্দর্য কবি অবলোকন করেছেন (খ)  নিজের জীবনদর্শনের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পেরেছেন (গ) প্রকৃতির সঙ্গে নিজের রূপের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছেন (ঘ) শাশ্বত সৌন্দর্যচেতনা উপলব্ধি করতে পেরেছেন

১৫. “দেখিলাম আপনার রূপ”— কীসে দেখলেন? (ক) জীবনের মধ্যে (খ) সত্যের মধ্যে (গ) স্বপ্নের মধ্যে (ঘ) রক্তের অক্ষরে

১৬. “চিনিলাম আপনারে”—কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন? (ক) দুঃখে শোকে (খ) সুখে-আনন্দে (গ) বেদনায়-আঘাতে (ঘ) আঘাতে আঘাতে/ বেদনায় বেদনায়

১৭. কবি রবীন্দ্রনাথের কাছে সত্যের স্বরূপ হল— (ক) দুর্বোধ্য (খ) অজ্ঞেয় (গ) কঠিন (ঘ) ব্যাখ্যার অতীত

১৮. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি ভালোবাসলেন- (ক) জগৎকে (খ) আপনাকে (গ) সত্যকে  (ঘ) কঠিনকে 

১৯. “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।”—কবি কঠিনকে ভালোবেসেছেন, কারণ— (ক) সে বঞ্চনা করে না (খ) সে অপমান করে না (গ) সে আঘাত করে না। (ঘ) সে সুন্দর

২০. “জানিলাম এ জগৎ” (ক) মিথ্যা নয় (খ) নিদ্রা নয় (গ) স্বপ্ন নয় (ঘ) কঠিন নয়।

২১. 'রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবির মতে এ জীবন হল – (ক) দুঃখ ভোগ করার জন্য (খ)  দুঃখকে উপভোগ করার জন্য (গ) দুঃখকে অতিক্রম করার জন্য (ঘ) দুঃখের তপস্যা করার জন্য 

২২. “সে কখনো করে না”—(ক) ঘৃণা (খ) আঘাত (গ) বিশ্বাসঘাতকতা (ঘ) বঞ্চনা

২৩. “সে কখনো করে না বঞ্চনা।”—‘সে’ বলতে বোঝানো হয়েছে—(ক) কঠিনকে (খ)  মৃত্যুকে (গ) সত্যকে (ঘ) জীবনকে

২৪. “সত্য যে কঠিন,/কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,”–কারণ— (ক) আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন (খ) মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে হয় (গ) কঠিন সত্যকে না ভালোবেসে উপায় নেই (ঘ) সে কখনও বর্ণনা করে না

২৫. 'আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’ হল—(ক) জীবন (খ) ধর্ম (গ) কর্তব্য (ঘ) কর্ম

২৬. কবির আজীবন দুঃখের তপস্যা করার কারণ—(ক) শ্রেষ্ঠ কবি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা (খ) মানবজাতির দুঃখমোচন (গ) সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করা (ঘ) এ জীবন দুঃখময়

২৭. কবি রবীন্দ্রনাথ যা লাভ করার কথা বলেছেন, তা হল—(ক) সত্যনিষ্ঠা (খ) মূলধন (গ) সত্যের মূল্য (ঘ) সমাধান

২৮. কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন জীবনের সকল দেনা—(ক) মিটিয়ে দিতে () মৃত্যুতে শোধ করতে (গ) জমা রাখতে (ঘ) গ্রহণ করতে

২৯. মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়েছেন— (ক) জীবনের প্রশান্তি খুঁজতে (খ) জন্মান্তরে পৌঁছে যেতে (গ) সকল দেনা শোধ করতে (ঘ) নতুন অভিজ্ঞতা খুঁজে পেতে

৩০. “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম”- (ক) মৃত্যুর রূপ (খ) আপনার রূপ (গ) প্রকৃতির রূপ (ঘ) রূপনারানের রূপ

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর 

[শব্দসীমা কমবেশি ২০] প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-

১. ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

২. ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ করো।

Ans: শান্তিনিকেতনের উদয়নে অবস্থানকালে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে এবং ১৪ মে এই দু-দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটি রচনা করেন।

৩. “জেগে উঠিলাম”—কে, কোথায় জেগে উঠলেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং রূপনারানের তীরে জেগে উঠলেন।

৪. “জেগে উঠিলাম”—জেগে উঠে কবি কী উপলব্ধি করেছিলেন?

Ans:  বক্তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠে উপলব্ধি করলেন যে, ‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়'।

৫. “জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়।”—কখন কবি এ কথা জেনেছিলেন?

Ans: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন সায়াহ্নে যখন রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন, তখনই জেনেছিলেন যে এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

৬. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন?

Ans: রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন যে, এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

৭. “জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়।”—কবির চোখে এ জগৎ কেমন?

Ans: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ জেগে উঠে জেনেছিলেন, যে জগতে তিনি ছিলেন তা স্বপ্ন নয়, তা আঘাত-সংঘাতে ভরা কঠিন বাস্তব।

৮. “দেখিলাম আপনার রূপ,”—কবি কীভাবে এই রূপ দেখলেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রক্তের অক্ষরে নিজের এই রূপ দেখলেন।

. “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম” বলতে কীভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় ‘রক্তের অক্ষরে দেখিলাম’ বলতে কবি যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মৃত্যুর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।

১০. “চিনিলাম আপনারে”—কে ‘আপনারে' চিনেছিলেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং ‘আপনারে’ অর্থাৎ নিজেকে চিনেছিলেন।

১১. “চিনিলাম আপনারে”—এই চেনার স্বরূপ কী?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজেকে চেনার অর্থ আসলে সত্যের কঠিন অথচ যথাযথ স্বরূপকে চিনতে বা বুঝতে পারা।

১২. “চিনিলাম আপনারে”—কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন?

Ans: দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর এই বাস্তব পৃথিবীতে কবি আঘাতে-আঘাতে, বেদনায়- বেদনায় নিজেকে চিনলেন।

১৩. “সত্য যে কঠিন”—কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন? অথবা, ‘রূপনারানের কূলে' কবিতার কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন?

Ans: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে, সত্য সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে।

১৪. “সত্য যে কঠিন”—এ কথা বলেও সত্য সম্পর্কে কবির প্রতিক্রিয়া কী?

Ans: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন।

১৫. “সত্য যে কঠিন”—তবু কবি সত্যকে ভালোবাসেন কেন? 

Ans: সত্য কঠিন জেনেও কবি সত্যকে ভালোবাসেন, কারণ সত্য কখনও বঞ্চনা করে না।

১৬. 'রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি সত্যকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি সত্যকে 'কঠিন' বিশেষণে ভূষিত করেছেন।

১৭. “সত্য যে কঠিন”—বক্তা সত্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন?

Ans: বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন।

১৮. “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম”–কবি কেন 'কঠিন'-কে ভালোবাসলেন? অথবা, “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম”—কঠিনকে ভালোবাসার কারণ কী?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ‘কঠিন’-কে ভালোবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বঞ্চনা করে না।

১৯. “সে কখনো করে না বঞ্চনা।” –বক্তা কে?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় উল্লিখিত পঙ্ক্তিটির বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং।

২০. “সে কখনো করে না বঞ্চনা।”—এরূপ বলার কারণ কী?

Ans: সত্য যেহেতু মায়া বা স্বপ্ন নয়, তা কঠোর ও কঠিন বাস্তব, তাই তা কাউকে মোহাবিষ্ট বা স্বপ্নাবিষ্ট করে প্রবঞ্চনা করে না।

. “সে কখনো করে না বঞ্চনা।”—কে কখনও করে না বঞ্চনা?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন যে, কঠিন সত্য কখনও কবি তথা মানুষকে বঞ্চনা করে না।

২২. “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন”—কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা' মনে করেছেন কেন? অথবা, কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন?

Ans: জীবনধারণ করতে গিয়ে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিনিয়ত ব্যথা-বেদনা- আঘাত-দুঃখ-দুর্দশাকে বরণ করতে হয় বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।

২৩. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় ‘মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন? অথবা, “মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।”—মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়েই ‘মৃত্যুতে সকল দেনা’ শোধ করা সম্ভব হবে বলে কবি মনে করেছেন।

২৪. ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি কীসের মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন?

Ans: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন।

২৫. “...সকল দেনা শোধ করে দিতে।”—সকল দেনা' বলতে কী বোঝ?

Ans: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় ‘সকল দেনা' বলতে কোনো মানুষ তার সারা জীবনে যা যা অর্জন করে, সেসবের কথা বলেছেন।

২৬. “সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে”—সত্যের দারুণ মূল্য’ বলতে কী বোঝ?

Ans: ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ বলতে কবি অপ্রিয় ও কঠিন সত্যকে স্বীকার করার জন্য যে মনোবল ও নিরাসক্ত মনোভাবের প্রয়োজন, তার কথা বলেছেন।

২৭. 'সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে’ কী ঘটেছে কবিজীবনে?

Ans: সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবার জন্য সারাজীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করতে হয়েছে কবিকে।

২৮. 'সত্যের দারুণ মূল্য' লাভ করার জন্য কী করতে হয়?

Ans: ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ অর্থাৎ প্রকৃত মূল্য লাভ করার জন্য আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করতে হয়।।

. কবি ‘মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে চান কেন?

Ans: নিশ্চিন্তে মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চান বলেই কবি প্রকৃতি ও মানবসমাজের সকল দেনা শোধ করে দিতে চান।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা||‘রূপনারানের কূলে' কবিতা রচনাধর্মী [বড়ো] প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১ “রূপ-নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম”—কবির এই জেগে ওঠার তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তরতাৎপর্য:  রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’-তে জীবনের মধ্য থেকেই জীবনকে উপলব্ধির কথা বলেছেন। ‘রূপনারান’ শব্দটি এখানে কোনো বিশেষ নদীকে বোঝাতে নয়, এই প্রবহমান জীবনকালকে বোঝাতেই তা ব্যবহৃত হয়েছে।

কবির অনুভব: জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়ে কবি অনুভব করেছেন, এই জগৎ শুধুই স্বপ্ন নয়, বরং আঘাত ও বেদনার মধ্য দিয়ে জীবনের বিকাশই প্রকৃত সত্য। আঘাতে-বেদনায়, ‘রক্তের অক্ষরে’ অর্থাৎ অজস্র সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে এই সত্যকে উপলব্ধি করেছেন কবি। সে সত্য কঠিন, দ্বন্দ্বমুখর, কিন্তু সেই কঠিনকেই কবি ভালোবাসতে চেয়েছেন। কারণ কবির কথায়, “সেইখানেই প্রাণের গতি।” অন্য একটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— “সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত নাচাও যে ঝংকারে, আরাম হতে ছিন্ন করে সেই গভীরে লও গো মোরে অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান।”

সত্যের মূল্য : জীবন মানে কবির কাছে ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’। এই দুঃখের তপস্যার উদ্দেশ্য আসলে সত্যের মূল্য দিয়ে জীবনের সমস্ত দেনা শোধ করে দেওয়া। তারপরেই মৃত্যুতে নিজেকে নিশ্চিন্তে সমর্পণ করে দেওয়া সম্ভব। এইভাবেই রবীন্দ্রনাথ অলীক কল্পনা বা ভাবের জগৎ থেকে দুঃখ-আঘাত- সংঘাত মুখর বাস্তব পৃথিবীতেই মানবের মুক্তি প্রত্যক্ষ করেছেন। 

শেষের কথা: জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে কবি মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মানবসংসারেরতীরেই নিজের আশ্রয় খুঁজেছেন। ‘রূপনারানের কূলে’ জেগে ওঠা আসলে সেই সন্ধানেরই কাহিনি। 


প্রশ্ন ২। “জানিলাম এ জগৎ/ স্বপ্ন নয়।”—কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো।

উত্তর তাৎপর্য: শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’-তে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন।  ‘জন্মদিনে’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— “আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত ওঠে ধ্বনি আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি।”

জীবনের যথার্থতা: আলোচ্য কবিতাটিতেও কবির এই মাটির পৃথিবীতে থাকার ইচ্ছাই প্রকাশিত হয়েছে। স্বপ্ন ও কল্পনার মায়া-আবরণকে দূরে সরিয়ে রবীন্দ্রনাথ যে জগৎকে দেখেছেন তা আঘাত-সংঘাতমুখর, বেদনায় কাতর। সেখানে প্রতিদিনের ব্যক্তিগত জীবনের হতাশা, যন্ত্রণা, নানা সামাজিক এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদির মধ্য দিয়েই জীবনের যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায়। 

প্রকৃত সত্য: এই জীবন স্বপ্নের রঙে রঙিন নয়, রক্তের অক্ষরেই এর যথার্থ পরিচয়। তাই কবি উপলব্ধি করেছেন এ জীবনে ‘দুঃখের তপস্যা ই সত্য, কিন্তু তার মধ্য দিয়েই ঘটবে জীবনের বিকাশ। এই ‘সত্য’ হল জীবনের যথাযথ তাৎপর্য বুঝতে শেখা। মানুষের ধর্ম প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—“তাই বিরাটকে বলি রুদ্র, তিনি মুক্তির দিকে আকর্ষণ করেন দুঃখের পথে।” জীবন দুঃখময়, কিন্তু তার মধ্য দিয়েই মানুষের চেতনার বিকাশ ঘটে। তখনই মানুষ জীবনের প্রকৃত ধর্মকে অনুভব করতে পারে।

ইতিকথা: তাই স্বপ্নবিলাসিতায় নয়, দুঃখের তরঙ্গমুখরতার মাঝেই জীবনের ‘সত্য’-কে খুঁজে পাওয়া যায়।


প্রশ্ন ৩ “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম/আপনার রূপ,”—এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর » ভূমিকা: শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষ বেলায় পৌঁছে জীবন তথা নিজের প্রকৃত স্বরূপটি উপলব্ধি করতে চেয়েছেন। এই কবিতাটি রচনার কিছুদিন আগে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন সভ্যতার সংকট প্রবন্ধটি। এই প্রবন্ধেরই উপসংহারে তিনি লেখেন— “নরলোকে বাজে জয়ডঙ্ক, এল মহাজন্মের লগ্ন। আজি অমারাত্রির দুর্গতোরণ যত ধূলি তলে হয়ে গেল ভগ্ন।” 

জীবনের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি: ‘রূপনারানের কূলে’ অর্থাৎ ‘জীবনকালের শেষপ্রান্তে’ যখন উপনীত হন কবি, তখন তিনি স্বপ্নের মায়া থেকে সরে আসেন—আর তখনই জীবন ও জগতের যথার্থ স্বরূপ তাঁর চোখে ধরা পড়ে।

মূল সত্য: এ জীবন আঘাত-সংঘাতে পূর্ণ। দ্বন্দ্বময় বাস্তবজগতে অজস্র সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্য দিয়েই জীবনের যে বিকাশ—সেটাই সত্য। মায়া, ছলনা বা প্রবণনার ফাঁদ অতিক্রম করেই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে জীবনের যথার্থ স্বরূপ, এই রূপময় বিশ্বের প্রকৃত পরিচয়। জীবনের যে স্বাভাবিক গতি বা বিকাশ, তাকে কল্পনা বা স্বপ্নবিলাসের দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না। প্রকৃত সত্য কঠিন হলেও কবি তাকেই গ্রহণ করেছেন, কারণ সেখানে বঞ্চিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। 

মানবচেতনার স্বরূপ: ‘রক্তের অক্ষরে' অর্থাৎ যন্ত্রণার পথ ধরে এই গতিশীল অথচ কঠিন জীবনকেই কবি দেখতে চান। ‘আপনার রূপ’ বলতে কবি আসলে মানবাত্মার বা মানবচেতনা যথার্থ স্বরূপকেই বোঝাতে চেয়েছেন।


প্রশ্ন ৪ “চিনিলাম আপনারে” – কে, কখন, কীভাবে নিজেকে চিনেছেন? এর ফলে তাঁর মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখো। ৩+২

উত্তর আপন স্বরূপকে চেনা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন। 'রূপনারানের কূলে' অর্থাৎ জীবনকালের শেষপ্রান্তে জেগে উঠে কবি তাঁর কল্পনার জগতের সঙ্গে বাস্তব পৃথিবীর কোনো সাদৃশ্যই খুঁজে পাননি। “জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়”— বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে এটাই কবির উপলব্ধি। আঘাত-সংঘাতের মধ্য দিয়েই যে জীবনের বিকাশ, তা কবি স্পষ্ট উপলব্ধি করেছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক নানান সংঘাতের মধ্য দিয়েই যে সভ্যতার বিকাশ, জীবনের প্রতিক্ষেত্রের যে টানাপোড়েন ও রক্তক্ষরণ, কবি তাকে ‘সত্য' বলে উপলব্ধি করেছেন এবং এভাবেই তিনি নিজের স্বরূপ চিনতে পেরেছেন।

কবির প্রতিক্রিয়া: ‘রক্তের অক্ষরে’ কবি নিজেকে চিনতে পেরেছিলেন আঘাতে-বেদনায়। আর তখনই কবির উপলব্ধি হয়েছিল যে সত্যের প্রকৃত রূপ অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তাসত্ত্বেও তিনি সেই কঠিন সত্যকেই ভালোবেসেছেন এই বিশ্বাসে যে, প্রকৃত সত্য কখনও ছলনা করে না, তাই তার দ্বারা বঞ্চিতও হতে হয় না। তাই সত্য ও জীবনের যথার্থ রূপের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করার অঙ্গীকারই এখানে কবির মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।


প্রশ্ন ৫ “সত্য যে কঠিন”—এই উপলব্ধিতে কবি কীভাবে উপনীত হলেন তা ‘রূপনারানের কূলে' কবিতা অবলম্বনে লেখো। অথবা, 'রূপনারানের কূলে' অবলম্বনে কবির উপলব্ধি  নিজের ভাষায় লেখো।


উত্তর কথামুখ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন সায়াহ্নে এসে এক অনন্য জীবনদর্শনের মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই জীবনদর্শনের কথাই আলোচ্য ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে। 

সত্যের প্রকৃত মূল্য: স্বপ্নময় কাব্যের জগতের কবি এসে পৌঁছেছেন রুক্ষ গদ্যময় জীবনের পটভূমিতে। আলোচ্য কবিতায় কবি সত্যের মূল্যকে নতুনভাবে উপলব্ধি করেছেন। কবিরা যে কল্পনার দাসত্ব করেন, সেই স্বপ্ন-কল্পনার জগৎ সত্য নয়। সত্যের যথার্থ স্বরূপকে খুঁজে নিতে হয় আঘাত-সংঘাতমুখর জনসমাজের মধ্য থেকেই। সেখানে ‘রক্তের অক্ষরে’ অর্থাৎ সংঘর্ষ আর রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তিসত্তার নির্মাণ কবি লক্ষ করেন। 

জীবনের আসল রূপ: জীবনের গতি কখনও সরলরেখায় চলে না। দুঃখ, বেদনাবোধ আর অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে জীবন এগিয়ে চলে। সেখানে ‘আঘাতে আঘাতে/ বেদনায় বেদনায়' নিজেকে চেনা যায়। কল্পনার মায়ালোক ক্ষণিকের, তা সাময়িকভাবে আনন্দ দিতে পারে; কিন্তু এই মোহের আবরণ ছিঁড়ে গেলে বোঝা যায় জীবন আসলে কল্পনানির্ভর নয়।

বিশ্বসংসারের প্রকৃত রূপ: যখনই মানুষ কল্পনা বা স্বপ্নময়তাকে অতিক্রমকরতে পারে, তখনই রুপময় বিশ্বের প্রকৃত রূপ তার কাছে স্পষ্ট হয়। সেখানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বেদনা-রক্তাক্ততা যতই থাকুক, সেটাই জীবনের যথার্থ রূপ এবং এটাই সত্যেরও স্বরূপ। সত্য তাই কবির কাছে ‘কঠিন’ বলেই উপলব্ধ হয়।


প্রশ্ন ৯ “মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।”— কোন্ দেনা শোধের কথা বলা হয়েছে কবিতাটি অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর প্রাক্কথন: শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’-তে রবীন্দ্রনাথের আত্মোপলব্ধির প্রকাশ ঘটেছে। ‘রূপনারানের কূলে’ প্রকৃত জীবনবোধে জেগে ওঠায় কবির পরিণত উপলব্ধি এই যে, জগৎ স্বপ্ন নয়, ‘রক্তের অক্ষরে’ অর্থাৎ বাস্তবজগতের অজস্র সংঘাত- বেদনার মধ্য দিয়েই জীবনের প্রকৃত স্বরূপকে চেনা যায়। 

জীবনের দেনা শোধ: জীবনের সঙ্গে মানুষের এই পরিচয়ই ‘সত্য’ পরিচয়, এই পথই জীবনের ‘সত্য’-কে উপলব্ধি এবং আবিষ্কার করার একমাত্র উপায়। রানি চন্দকে এই কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন—“সত্য কঠিন—অনেক দুঃখ, দাবি নিয়ে আসে। স্বপ্নে তা তো থাকে নাচ কিন্তু তবুও আমরা সেই কঠিনকেই ভালোবাসি।” কবির কথায় এই কঠিনের জন্যই সবসময় দুঃসহ কাজ করতে আমরা তৈরি থাকি –“এমনি করে জীবনের দেনা শোধ করে চলি আমরা।” 

কবির বিশ্বাস: কবি বিশ্বাস করেন, প্রকৃতি ও মানবসমাজের কাছে প্রতিটি ব্যক্তিমানুষের যে ঋণ, তা এই জীবনেই শোধ করতে হয়। আঘাত ও বেদনাকে সহ্য করেও সত্যের দিকে এগিয়ে চলাই হল জীবনের যথার্থ ধর্ম। সত্যকে পাওয়ার জন্য মানুষের দুঃখের তপস্যায় বা কঠিন সাধনা আসলে সত্যের দারুণ মূল্যকে শোধ করে দেওয়ার জন্য। এই সত্যকে যেহেতু সবসময়ই উপলব্ধি করতে হয়, তাই মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চলে মানুষের এই কঠোর সাধনা, জীবনের যথার্থ স্বরূপকে চিনতে পারার কঠিনতম প্রয়াস। 

ইতিকথা: মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দেওয়ার অর্থ জীবনের কাছে সত্যের যে দাবি, তা সম্পূর্ণ করা। এভাবেই কল্পনা ও স্বপ্নের জগৎ ত্যাগ করে দ্বন্দ্বমুখর জীবনের প্রতিই কবি নিজের পক্ষপাত প্রকাশ করেছেন।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা |‘রূপনারানের কূলে' কবিতা|| MCQ, সংক্ষিপ্ত, এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes– ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

WBCHSE Class 12th Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  

WBCHSE HS Bengali Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর।  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) HS Bengali Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর |  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  HS Bengali Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)– প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion. 

HS Bengali Question and Answer Suggestions  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর|

HS Bengali Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর| 

WB Class 12 Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা)  MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর –  ‘রূপনারানের কূলে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর (কবিতা) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.