Type Here to Get Search Results !

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'শিকার কবিতা' | MCQ, সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| “শিকার" কবিতা' | MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
    উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'শিকার কবিতা' | MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।    

Table of Content (toc)

HS Shikar Bengali Suggestion| MCQ, Short, Descriptive Question and Answer.

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| 'শিকার' (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ| বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।“শিকার" কবিতা'

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| 'শিকার' (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ| HS Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – 'শিকার' (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ও গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা করবে। 

 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Question and Answer.  

Today Gk All Exams: এর পক্ষ সকলকে অসংখ ধ্যনবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তোমাদের ভালোলাগলে অবশ্যই Subscribe করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব দের কাছে শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট URL হলো- www.todaygkallexams.com 

Dear students: তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের সাজেশান খোঁজার চেষ্টা করছো তাদেরকে বলবো তোমরা সঠিক ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছো। আমরা এখানে উচমাধমিকের অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের 'শিকার' (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ লেখা, থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি যা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'শিকার কবিতা' | MCQ, সংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা 'শিকার কবিতা' MCQ  প্রশ্ন ও উত্তর।

১. সারারাত হরিণ নিজেকে কার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল? (ক) শিকারির (খ) চিতাবাঘিনির (গ) হৃদয়হীনের (ঘ) রাতের হিংস্র পশুদের

২. সারারাত হরিণটি ঘুরেছিল—(ক) শাল-পিয়ালের বনে (খ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে (গ) মেহগনি-অর্জুনের বনে

৩. ‘সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে’ কীসের মতো অন্ধকার ছিল? (ক) মেহগনির মতো (খ) অশ্বত্থের মতো (গ) অর্জুনের মতো ঘ) সুন্দরীর মতো

৪. চিতাবাঘিনির তাড়া খাওয়া হরিণটি ছিল—(ক) সজীব সতেজ (খ) সতেজ বাদামি (গ) সুন্দর বাদামি। (ঘ) সুন্দর সতেজ

৫. সুন্দর বাদামি হরিণ যার জন্য অপেক্ষা করেছিল—(ক) অন্ধকারের জন্য (খ) সবুজ ঘাসের জন্য ঝরনার জলের জন্য (ঘ) ভোরের জন্য

৬. “সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।”—কারণ—(ক) রাত তার ভালো লাগছিল না (খ) সে তার সঙ্গীদের খুঁজে পাচ্ছিল না (গ) রাতে খাবারের খোঁজ করা অসম্ভব (ঘ) চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচার জন্য

৭. “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;”—কে?- (ক) ঘাসফড়িং (খ) চিতাবাঘিনি (গ) শিকারি (ঘ) হরিণ

৮. “এসেছে সে. ভোরের আলোয় নেমে;”—এর কারণ কী?- (ক) জল খাওয়া (খ) বিশ্রাম নেওয়া (গ) ঘাস খাওয়া (ঘ) খেলা করা

৯. ‘শিকার’ কবিতায় কচি বাতাবিলেবুর মতো ছিল—(ক) ভোরের সুবাস খ) সবুজ সুগন্ধি (গ) ঘাস হরিণের হৃদয় (ঘ) ময়ূরের ডানার রং

১০. সবুজ সুগন্ধি ঘাসকে কবি যার সঙ্গে তুলনা করেছেন—(ক) নতুন ধান (খ) শরতের সকাল কচি  (গ) বাতাবিলেবু ঘ) রূপসি মেয়ে 

১১. হরিণ কী ‘ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে’?(ক) দুর্বাঘাস (খ) বাতাবিলেবুর পাতা (গ) সুগন্ধি ঘাস (ঘ) পেয়ারা পাতা

১২. হরিণটি ভোরের আলোয় যেখানে নেমেছিল- (ক) ঝরনার জলে (খ) নদীর জলে (গ) অন্ধকারের সমুদ্রে ঘ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে

১৩. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল...” -কে?- (ক) চিতাবাঘিনি (খ) শিকারি (গ) বাদামি হরিণ ঘ) একটি সিংহ

১৪. নদীর জলে নামা হরিণের শরীর ছিল—(ক) ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল (খ) বিহ্বল ক্লান্ত ঘুমহীন (গ) ঘুমহীন বিহ্বল ক্লান্ত (ঘ) ক্লান্ত ঘুমহীন বিহ্বল

১৫. নদীর ঢেউয়ে হরিণটি নেমেছিল—(ক) তুয়া মেটানোর জন্য (খ) আত্মরক্ষার জন্য (গ) স্রোতের মতো আবেশ পাওয়ার জন্য (ঘ) হরিণীর খোঁজে

১৬. “একটা আবেশ দেওয়ার জন্য;” —এই আবেশের সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে?  (ক) স্রোতের (খ) বৃষ্টির (গ) জলপ্রপাতের (ঘ) ঝড়ের

১৭. হরিণটি যে উল্লাস খুঁজে নিতে চেয়েছিল সবুজ-নীল ডানার মতো তা ছিল—(ক) বিবর্ণ ইচ্ছার মতো (খ) ভোরের রৌদ্রের মতো (গ) সূর্যের সোনার বর্শার মতো (ঘ) ময়ূরের

১৮. “এই নীল আকাশের নীচে সূর্যের বর্শার মতো জেগে উঠে... (ক) আলোর (খ) রঙের (গ) সোনার (ঘ) তীক্ষ্ণ

১৯. হরিণটি জেগে উঠতে চেয়েছিল—(ক) তীক্ষ্ণ ধনুকের মতো (খ) সূর্যের রশ্মির মতো (গ) ময়ূরের ডানার মতো (ঘ) সূর্যের সোনার বর্শার মতো

২০. 'হরিণীর পর হরিণীকে’ হরিণটি চমকে দিতে চেয়েছিল-(ক) সাধে সাহসে সৌন্দর্যে (খ) সাহসে সাধে সৌন্দর্যে (গ) সৌন্দর্যে সাধে সাহসে (ঘ) সাধে সৌন্দর্যে সাহসে

২১. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—কীসের শব্দ? (ক) চিতাবাঘিনির গর্জনের (খ) হৃদয়ের বিদীর্ণ ইচ্ছার (গ) সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খাওয়ার (ঘ) বন্দুকের

২২. “নদীর জল - মতো লাল।" (ক) মোরগফুলের পাপড়ির (খ) জবাফুলের পাপড়ির (গ) মচকাফুলের পাপড়ির (ঘ) নারীর পায়ের আলতার

২৩. “নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।” —নদীর জল লাল হওয়ার কারণ?  (ক) নদীর জলে দূষণ ঘটেছে (খ) হরিণের রক্ত জলে মিশেছে(গ) নদীর পাশে আগুন জ্বালানো হয়েছে (ঘ) দূর থেকে তেমনই দেখতে লাগছে

২৪. হরিণশিকারের ফলে নদীর জল কেমন লাল হয়েছিল?  (ক) মচকাফুলের পাপড়ির মতো খ) কুঙ্কুমের মতো (গ) মোরগফুলের মতো (ঘ) সোনার বর্শার মতো

২৫. “আগুন জ্বলল আবার”--কখন আবার আগুন জ্বলল? (ক) হরিণ শিকারের পর (খ) ভোরবেলায় (গ) চিতাবাঘিনি হত্যার পর (ঘ) দুপুরে

২৬. ‘শিকার’ কবিতায় দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলেছিল যে কারণে- (ক) হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য (খ) কৃষকদের উৎসবের জন্য (গ) নক্ষত্রের আলোর কারণে (ঘ) দেশোয়ালিদের পরবের জন্য

২৭. “আগুন জ্বলল আবার—” -এর আগে কেন আগুন জ্বলেছিল?  (ক) অন্ধকার দূর করার জন্য (খ) শরীর গরম রাখার জন্য (গ) হরিণের মাংস তৈরির জন্য (ঘ) চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচার জন্য

২৮. ঘাসের বিছানা ছিল (ক) নক্ষত্রের নীচে (খ) মেহগনির বনে (গ) পাড়াগাঁতে (ঘ) নদীর ধারে

২৯. ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ যা হয়েছিল—(ক) চকোরের জ্যোৎস্না পান (খ) অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প। (গ) নবান্নের আয়োজন (ঘ) অনন্ত ঘুম

৩০. ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ কী গল্প হত?   (ক) পুরোনো রূপকথার গল্প (খ) পুরোনো শিশিরভেজা গল্প (গ) রৌদ্রভেজা গল্প (ঘ) পুরোনো বৃষ্টিভেজা গল্প

৩১. টেরিকাটা মানুষেরা খায় (ক) বিড়ি (খ) আঙুর (গ) পেয়ারা (ঘ) সিগারেট

৩২. যে মানুষগুলোকে ঘাসের বিছানায় দেখা গিয়েছিল তারা ছিল—(ক) রক্তচক্ষু (খ) সজ্জন স্বভাবের (গ) উন্মাদ (ঘ) টেরিকাটা

৩৩. “টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা; কোথায় অবস্থান করছিল?  (ক) টেন্টে (খ) বাঁশের মাচায় (গ) ঘাসের বিছানায় (ঘ) শতরঞ্চিতে

৩৪. “টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা;-এরা হল (ক) পুলিশ (খ) ডাকাত (গ) সৈন্য (ঘ) শিকারি

৩৫. ‘শিকার’ কবিতাটিতে কোন্ ঋতুর বর্ণনা পাই আমরা? (ক) শরৎ (খ )হেমন্ত (গ) শীত (ঘ) বসন্ত

৩৬. ‘শিকার’ কবিতায় শিকারটি সংঘটিত হয়েছিল— (ক) ভোরবেলায় (খ্র) বিকেলবেলায় (গ) সন্ধ্যাবেলায় (ঘ) রাতের বেলায়

৩৭. ভোরবেলা হরিণটি কী খাচ্ছিল?  (ক) ঘাস (খ) সুগন্ধি ঘাস (গ) নরম ঘাস (ঘ) কোমল ঘাস

৩৮. “ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো/একটা আবেশ দেওয়ার জন্য” হরিণটি কী করল?  (ক) নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল (খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামল (গ) অর্জুন বনের ছায়ায় বসে রইল (ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের উত্তাপ নিল।

. ‘উর লাল’ রংটি ছিল (ক) ভোরের সূর্যের (খ) অস্তগামী সূর্যের (গ) হরিণের মাংসের (ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের 


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'শিকার কবিতা' সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর


১. জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত হরিণটি কীসের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল।

২. সুন্দর বাদামি হরিণ চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে কোন্ কোন্ বনে ঘুরেছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাত সুন্দরী বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল।

৩. “...চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে...” চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে কে, কীসের জন্য অপেক্ষা করছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করেছিল।

8.“...চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে...”- চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর পর সে কেন নদীর জলে নামল ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিণটি নদীর জলে নেমেছিল তার ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরে স্রোতের আবেশ দেওয়ার জন্য।

৫. “...চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে...”— চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচলেও হরিণটি কি বেঁচে থাকতে পেরেছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচলেও শিকারির গুলি শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচতে দেয়নি।

৬. “...মেহগনির মতো অন্ধকারে...”—‘মেহগনির মতো অন্ধকারে বলতে কী বোঝ ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘মেহগনির মতো অন্ধকারে’ বলতে গভীর অন্ধকারকে বোঝানো হয়েছে।

৭. “...মেহগনির মতো অন্ধকারে...”—মেহগনির মতো অন্ধকারে কী ঘটেছিল?

→  জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে ঘুরে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করেছিল।


৮. “...অর্জুনের বনে ঘুরে ঘুরে!”—কে, কেন ঘুরেছিল?

→ সুন্দর বাদামি হরিণটি সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য।

৯. “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে...”—কার, কেন নেমে আসার কথা বলা হয়েছে?

→ এখানে কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খাওয়ার জন্য সুন্দর বাদামি হরিণের নেমে আসার কথা বলা হয়েছে।

১০. “কচি বাতাবিলেবুর মতো...”—কীসের কথা বলা হয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘কচি বাতাবিলেবুর মতো’ সবুজ সুগন্ধি ঘাসের কথা বলা হয়েছে।

১১. “কচি বাতাবিলেবুর মতো...”—কাকে বাতাবিলেবুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এবং কেন?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় কচি বাতাবিলেবুর সঙ্গে ঘাসের তুলনা করা হয়েছে তার সবুজ রং ও সুগন্ধের জন্য।

১২. হরিণটি 'কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল কেন?

→ চিতাবাঘিনির হাত থেকে রক্ষা পেতে সারারাত ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ায় হরিণটি ভোরে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।

১৩. ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কী খাচ্ছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।

১৪. ‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানোর জন্য কী করেছিল?

→ ‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানোর জন্য নদীর কনকনে ঠান্ডা জলে গা ডুবিয়েছিল।

১৫. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”–‘সে’ নদীতে কেন নামল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় নদীর ‘তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে’ হরিণটি নেমেছিল তার সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করে শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য।

১৬. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে...”— তীক্ষ্ণ শীতলতা কীসের ইঙ্গিত দেয়?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় তীক্ষ্ণ শীতলতা ঠান্ডার তীব্রতাকে নির্দেশ করে।

১৭. “ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে...”—কার ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে।

১৮. “ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে...”- -কেন তার শরীর ঘুমহীন ও ক্লান্ত?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত জেগে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর কারণে সুন্দর বাদামি হরিণের শরীর ঘুমহীন এবং ক্লান্ত।

১৯. “ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে..”—ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি কী করল ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমে গিয়েছিল।

20. “...স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়ার জন্য...”—কার কথা বলা হয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ক্লান্ত, ঘুমহীন শরীরে স্রোতের মতো আবেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

২১. “...স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়ার জন্য...”—‘স্রোতের মতো আবেশ’ বলতে কী বোঝ ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘স্রোতের মতো আবেশ’ বলতে স্বাভাবিক গতিশীলতাকে বোঝানো হয়েছে।

২২. “অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে...”—কী বা কে কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে ভোরের রোদ বেরিয়ে আসে।

২৩. “একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য;” —বিস্তীর্ণ উল্লাস পাওয়ার জন্য হরিণটি কী করেছিল ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় বিস্তীর্ণ উল্লাস পাওয়ার জন্য সুন্দর বাদামি হরিণ নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে তার ক্লান্ত, বিহ্বল শরীরকে ভাসিয়ে দিয়েছিল।

২৪. “...সূর্যের সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে”—কে, কেন জেগে উঠতে চায়?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি সাহসে, সাধে ও সৌন্দর্যে অন্য হরিণীদের চমক লাগানোর জন্য জেগে উঠতে চায়।

২৫. “হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।”—কীভাবে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল?

অথবা, “সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে” হরিণটি কী করতে চেয়েছিল ?

→ ‘নীল আকাশের নীচে সূর্যের সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে’ হরিণটি সাহসে, ইচ্ছাশক্তিতে এবং সৌন্দর্যে অন্য হরিণীদের চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।

২৬. “...চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।”—কে, কাকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি অন্য হরিণীদের চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।

২৭. “...চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।”—কীভাবে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণ ‘নীল আকাশের নীচে সূর্যের সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে’ চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।

২৮. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—শব্দটা কীসের?

→ ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’ বলতে শিকারির বন্দুকের গুলির শব্দের কথা বলা হয়েছে।

২৯. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—শব্দটা অদ্ভুত কেন?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় যে শব্দ হয় তা ‘অদ্ভুত’, কারণ নির্মল প্রকৃতির বুকে তেমন আওয়াজ সচরাচর হয় না।

৩০. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—কখন এই অদ্ভুত শব্দ হয়?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় অদ্ভুত শব্দটি হয় ভোরবেলায়।

৩১. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—শব্দ হওয়ার পর কী দেখা গেল ?

অথবা, “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—শব্দের পর কী হয়েছিল?

অথবা, “একটা অদ্ভুত শব্দ।”—এর কোন্ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘শব্দ'-টি হওয়ার পরে দেখা গেল, নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে উঠেছে।

৩২. “নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।”—এইরকম রঙের কারণ কী?

অথবা, “নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।”—কেন?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলা শিকারির গুলিতে বিদ্ধ হরিণের রক্তে নদীর জল ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ হয়ে উঠেছিল।

৩৩. ‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত নদীর জলের রং কেমন?

→ ‘শিকার’ কবিতায় নদীর জলের রং মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।

৩৪. “আগুন জ্বলল আবার...”—কারা 'আবার' আগুন জ্বালাল ?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘আবার’ আগুন জ্বালিয়েছিল শিকারি মানুষের দল।

৩৫. “আগুন জ্বলল আবার...” — আবার আগুন জ্বলার কথা বলা হয়েছে কেন?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় প্রথমবার আগুন জ্বালিয়েছিল দেশোয়ালিরা, তাই ‘আবার’ শব্দটির সাহায্যে শিকারিদের আগুন জ্বালানোকে বোঝানো হয়েছে।

৩৬. “...নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।”—ঘুমকে কেন ‘নিস্পন্দ’ বলা হয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমকে ‘নিস্পন্দ’ বলা হয়েছে, কারণ তা হরিণের চিরনিদ্রা অর্থাৎ মৃত্যুকে নির্দেশ করে।

৩৭. “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়...”—কোন্ সময়ের কথা বলা হচ্ছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সকালবেলায় হরিণের মৃত্যুর পরে যখন তার মাংস রান্না করা হচ্ছিল, সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।

৩৮. “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়...”—কী হয়?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় 'নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ সিগারেটের ধোঁয়ায় অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প হয়।

৩৯. “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়...”—–সেখানে কারা বসে রয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ বসেছিল টেরিকাটা শিকারি মানুষের দল।

৪০. “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়... ধোঁয়া;”—কীসের ধোঁয়ার কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে থাকা শিকারিরা সিগারেট খাচ্ছিল। তারই ধোঁয়ার কথা এখানে উল্লিখিত হয়েছে।

৪১. ‘শিকার’ কবিতায় শিকারি মানুষদের উপস্থিতির কী কী চিহ্ন পাওয়া যায়?

→ সিগারেটের ধোঁয়া, টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা এবং কয়েকটা বন্দুকই ছিল শিকারি মানুষদের উপস্থিতির চিহ্ন।

৪২, “...নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।”—কীসের বা কার কথা বলা হয়েছে?

→ আলোচ্য অংশে জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

৪৩. “আগুন জ্বলল আবার...”—আগুন জ্বলার পর কী হল?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় আবার অর্থাৎ দ্বিতীয়বার আগুন জ্বালিয়ে মৃত হরিণের মাংস রান্না করা হল।

৪৪. “...নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।”—ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে কেন?

→ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে, কারণ হরিণের মৃত্যু তার নিজের অপরাধের কারণে ঘটেনি, ঘটেছে মানুষের লালসার কারণে।

৪৫. ‘শিকার’ কবিতায় ‘টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা' পঙ্ক্তিটি কেন ব্যবহৃত হয়েছে?

→ ‘শিকার’ কবিতায় প্রকৃতিকে ধ্বংসকারী ও উদ্ধৃত নাগরিক সংস্কৃতির প্রতিনিধি হৃদয়হীন, শিকারি মানুষগুলির বেশভূষা ও স্বভাব-চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি আলোচ্য পঙ্ক্তিটি ব্যবহার করেছেন।

৪৬. ‘শিকার’ কবিতা কবি ‘এলোমেলো কয়েকটা বন্দুক’ কথাটা বলেছেন কেন?

→ ‘শিকার’ কবিতায় বন্দুকের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্রের সঙ্গে মানুষের মনুষ্যত্বহীন সংযোগকে এবং একইসঙ্গে শিকারি মানুষগুলির অমানবিক মানসিকতাকে প্রকাশ করতে কবি আলোচ্য কথাটি ব্যবহার করেছেন।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা|| 'শিকার কবিতা' রচনাধর্মী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন ১ “সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল”— হরিণের ভোরের জন্য অপেক্ষার কারণ এবং সেই ভোরকে উপভোগের বর্ণনা দাও। ২+৩ 

উত্তর হরিণের ভোরের জন্য অপেক্ষার কারণ: মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের মনোরম বনভূমিতে সুন্দর বাদামি রঙের হরিণটির আবির্ভাব হয়। “নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে” সারারাত চিতাবাঘিনির গ্রাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল হরিণটি। দিনের আলোয় নিজেকে রক্ষার তাগিদেই সে অপেক্ষা করেছিল ভোরের জন্য।

ভোর উপভোগ: ভোরের আলোয় হরিণটি বনের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খায়। তারপরে নেমে যায় নদীর শীতল জলে—তার ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে সতেজ করার জন্য, বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা শীতল আবেশ দেওয়ার জন্য। 

জীবনের উল্লাস খোঁজার প্রয়াস: অন্ধকারের জরায়ু থেকে জন্ম নেওয়া ভোরের রোদের মতোই জীবনের উল্লাস খুঁজে নিতে চেয়েছিল হরিণটি। চেয়েছিল নীল আকাশের নীচে ‘সূর্যের সোনার বর্শার মতো’ জেগে উঠতে। কবির অনুভবে, সেই হরিণের লক্ষ্য ছিল ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে’ অন্যান্য হরিণীকে চমকে দেওয়া। 

মেলে ধরার সুযোগ: এইভাবে মনোরম অরণ্যপ্রকৃতিতে হরিণটি যেন নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়ে যায়। প্রাণবন্ত, চঞ্চল হরিণটি প্রকৃতিকে নিজের স্বচ্ছন্দ বিচরণের ক্ষেত্র মনে করে। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান সম্ভবত হরিণটির নির্মম পরিণতির কথা চিন্তা করেই জীবনের এই উদযাপন কবি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন।


প্রশ্ন ২ “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;”–কেন সে নেমে এসেছে? তার পরিণতির আক্ষরিক ও রূপকার্থ বিশ্লেষণ করো। ২+৩

উত্তর নেমে আসার কারণ: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘ভোর’- এর পটভূমিতে যখন চারপাশ উদ্ভাসিত, সকালের আলোয় শিশিরভেজা চারদিকের বন ও আকাশ যখন ‘ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে, সেই সময় একটি সুন্দর বাদামি হরিণকে ভোরের আলোয় নেমে আসতে দেখা যায়। সমস্ত রাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য হরিণটি ‘নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে’ সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল। তার ভোরের জন্য অপেক্ষার কারণ ছিল মুক্তির পরিসর খুঁজে পাওয়া।

পরিণতির বিশ্লেষণ: আক্ষরিক অর্থ: হরিণটির পরিণতি ছিল মর্মান্তিক। প্রথমে বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যায়। তারপরই নদীর জল যেন মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে ওঠে। যে হরিণটি ভোরের আলোয় নদীতে নেমেছিল নিজের ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়ার জন্য,  তাকেই দেখা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ‘উয় লাল’ মাংসপিণ্ডে রূপান্তরিত হতে।

রূপক অর্থ: এই পরিণতি এক গভীর সমাজবাস্তবতাকে নির্দেশ করে। প্রকৃতির বুকে নাগরিক সভ্যতার আগ্রাসনের নিদর্শন হয়ে থাকে হরিণের এইমৃত্যু। 'নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ সিগারেটের ধোঁয়া আর ‘টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা’ নিশ্চিত করে দেয় নগরসভ্যতার বিকৃত লালসা মেটাতেই প্রাণ দিতে হয়েছে হরিণটিকে। হরিণটি আসলে সমগ্র প্রকৃতির প্রতীক, আসলে প্রকৃতিকেই এভাবে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে উদ্ধত মানবসভ্যতার কাছে।


প্রশ্ন ৩ “সাহসে সাথে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।”—মন্তব্যটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। এই আকাঙ্ক্ষা কি পূরণ হয়েছিল? ৩+২

উত্তর । প্রসঙ্গ: জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে গভীর অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে ঘুরে একটি সুন্দর বাদামি হরিণ চলে এসেছিল ভোরের আলোয়। ঝলমল করে ওঠা সকালের কাছে সে খুঁজেছিল নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি। ছিঁড়ে খেয়েছিল বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস। তারপরে গাভাসিয়েছিল নদীর কনকনে ঠান্ডা জলে। ঘুমহীন, ক্লান্ত, বিহ্বল শরীরকে সে দিতে চেয়েছিল স্রোতের আবেশ। অন্ধকারের জরায়ু থেকে জন্ম নেওয়া ভোরের রোদের মতোই জীবনের উল্লাস খুঁজে নিতে চেয়েছিল হরিণটি। নীল আকাশের নীচে সে জেগে উঠতে চেয়েছিল সূর্যের “সোনার বর্শার মতো।” অন্যান্য হরিণীকে চমকে দেওয়ার জন্য নিজেকে এভাবেই যেন সাজিয়ে তুলতে চেয়েছিল সেই সুন্দর বাদামি হরিণটি।

আকাঙ্ক্ষার পরিণতি: তথাকথিত সভ্যসমাজ হরিণের এই আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করতে দেয়নি। প্রকৃতির কোমলতার মাঝে হঠাৎ ভেসে এসেছিল এক অদ্ভুত শব্দ। আর তারপরই নদীর জল হয়ে উঠেছিল মচকাফুলের মতো লাল। প্রাণবন্ত হরিণটি পরিণত হল নিষ্প্রাণ মাংসপিণ্ডে। ঘুমের দেশেই যেন সে হারিয়ে গেল। সিগারেটের ধোঁয়ায় আর গল্পে মশগুল নাগরিক সমাজের বিকৃত জীবন উদযাপনে হরিণের সাধ ও আহ্লাদের অবসান ঘটে। হয়তো নাগরিকজীবনের কাছে প্রকৃতির পরাজয়ের প্রতীক হয়ে থাকে হরিণের এই মৃত্যু।


প্রশ্ন  “উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল।” —মাংসলোভী মানুষের যে হিংস্রতার পরিচয় ‘শিকার’ কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।


উত্তর। মানুষের হিংস্রতার পরিচয়:  জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার পটভূমিতে আছে এক নির্মল ‘ভোর’। 

প্রকৃতির রূপ: সেখানে ‘আকাশের রং’ ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল। টিয়ার পালকের মতো সবুজ পেয়ারা ও নোনার গাছ। সকালের আলোয় টলমলে শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশ ঝিলমিল করছে। এই অসামান্য ভোরেই বেঁচে থাকার পরিসর খুঁজেছিল সুন্দর বাদামি হরিণ। 

হরিণের বেঁচে থাকার উল্লাস: সারারাত এক বন থেকে অন্য বনে পালিয়ে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এই ভোরের আলোয় হরিণটি বেঁচে থাকার উল্লাস উপভোগ করতে চেয়েছিল। সে ভোরের আলোয় ছিঁড়ে খেয়েছিল কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস আর ‘নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে’ নেমেছিল রাতজাগার ক্লান্তি মেটাতে। 

নাগরিক মানুষের লালসা: ভোরের আলোয়হরিণটি যখন জীবনের উল্লাস খুঁজে নিচ্ছিল, ঠিক তখনই ভেসে আসে বন্দুকের গুলির শব্দ আর নদীর জল হরিণের রক্তে হয়ে ওঠে 'মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল'। নাগরিক মানুষের লালসা মেটাতে নিষ্পাপ হরিণটি ‘উয় লাল’ মাংসে পরিণত হয়। 

উপসংহার: নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প আর সিগারেটের ধোঁয়ায় সভ্যতার যে চিহ্ন দেখা যায় তাতে স্পষ্ট হয় সভ্যসমাজের নৃশংসতায় চিরকালের ঘুমের দেশে নিষ্পাপ জীবনের হারিয়ে যাওয়ার কাহিনিই।


প্রশ্ন ৫ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

অথবা, ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের মনোরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মমহত্যা—বর্ণনা করো।


উত্তর। নির্মম সত্যের প্রকাশ:  জীবনানন্দ দাশ মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থের ‘শিকার’ কবিতায় তথাকথিত সভ্যসমাজের ছবি তুলে ধরেছেন।

তথাকথিত সভ্যসমাজের প্রতিনিধি: মুখে সিগারেটের ধোঁয়া, টেরিকাটা মাথা, হাতে বন্দুক নিয়ে মানুষেরা তাদের নির্মমতার প্রকাশ ঘটায়। সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে একটি বাদামি হরিণ ভোরবেলা বেঁচে থাকার তাগিদে কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খায়।

প্রকৃতির বুকে সভ্যসমাজের নৃশংসতা প্রয়োগ: এরপর যখন ক্লান্ত শরীরটাকে সে নদীর জলে এলিয়ে দেয়, ঠিক তখনই একটা অদ্ভুত শব্দ হয়। নির্মল প্রকৃতির বুকে বন্দুকের গুলির এই শব্দ হয়ে ওঠে বাদামি হরিণের মৃত্যুর শব্দ। হরিণের এই ট্র্যাজিক পরিণতি ঘটে মানুষের হাতে। ধোঁয়া সেবনকারী,  টেরিকাটা মানুষের দল তাদের রসনাতৃপ্তির জন্য বন্দুকের গুলিতে সৌন্দর্যের প্রতীক হরিণকে বিদ্ধ করে। জীবনসংগ্রামে হরিণটিও বাঁচতে চেয়েছিল। ভোর হলে যখন সে ভাবছিল চিতাবাঘিনির ভয় আর নেই, ঠিক তখনই তথাকথিত সভ্য মানুষের হাতে ঘটল তার জীবনের করুণ পরিণতি। 

অন্ধ মানবসভ্যতার বিকৃত ইচ্ছা: অন্ধ মানবসভ্যতার বিকৃত ইচ্ছার বলি হতে হল হরিণটিকে। যাদের উচিত ছিল হরিণটিকে রক্ষা করা, তারাই তার মৃত্যুর কারণ হল।

ইতিকথা: ‘শিকার’ কবিতাটিতে তথাকথিত সভ্য মানুষের চেতনায় আঘাত করতে চেয়েছেন কবি। আলোচ্য কবিতায় জীবনানন্দ দাশ মানুষের চেতনাহীনতার এই নির্মম সত্যকেই তুলে ধরেছেন।


প্রশ্ন ৬। “নাগরিক লালসায় নীল অমলিন প্রকৃতির মাঝে পবিত্র জীবন হারিয়ে যায় হিমশীতল মৃত্যুর আধারে।”—‘শিকার’ কবিতাসূত্রে উদ্ধৃত অংশটির নিহিতার্থ লেখো।

উত্তর মানুষের হিংস্রতার পরিচয়: জীবনানন্দ দাশের‘শিকার’ কবিতার পটভূমিতে আছে এক নির্মল ‘ভোর’। 

প্রকৃতির রূপ: সেখানে ‘আকাশের রং' ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল। টিয়ার পালকের মতো সবুজ পেয়ারা ও নোনার গাছ। সকালের আলোয় টলমলে শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশ ঝিলমিল করছে। এই অসামান্য ভোরেই বেঁচে থাকার পরিসর খুঁজেছিল সুন্দর বাদামি হরিণ। 

হরিণের বেঁচে থাকার উল্লাস: সারারাত এক বন থেকে অন্য বনে পালিয়ে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এই ভোরের আলোয় হরিণটি বেঁচে থাকার উল্লাস উপভোগ করতে চেয়েছিল। সে ভোরের আলোয় ছিঁড়ে খেয়েছিল কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস আর 'নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে’ নেমেছিল রাতজাগার ক্লান্তি মেটাতে। 

নাগরিক মানুষের লালসা: ভোরের আলোয় হরিণটি যখন জীবনের উল্লাস খুঁজে নিচ্ছিল, ঠিক তখনই ভেসে আসে বন্দুকের গুলির শব্দ আর নদীর জল হরিণের রক্তে হয়ে ওঠে ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’। নাগরিক মানুষের লালসা মেটাতে নিষ্পাপ হরিণটি ‘উয় লাল’ মাংসে পরিণত হয়।

উপসংহার: নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প আর সিগারেটের ধোঁয়ায় সভ্যতার যে চিহ্ন দেখা যায় তাতে স্পষ্ট হয় সভ্যসমাজের নৃশংসতায় চিরকালের ঘুমের দেশে নিষ্পাপ জীবনের হারিয়ে যাওয়ার কাহিনিই।


প্রশ্ন ৭ ‘শিকার’ কবিতায় ‘ভোর’ শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করো।

অথবা, ‘শিকার’ কবিতায় যে দুটি ভোরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

অথবা, “ভোর-এই শব্দটিই যেন ‘শিকার’ কবিতার দুটি অংশে প্রবেশের দুটি চাবি, যা এই কবিতার শুরুতে এবং মাঝে উচ্চারিত হয়েছে।”— ‘শিকার’ কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা করে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

অথবা, “শিকার’ কবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। সেই পরিবেশ কোন্ ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল? ৩+২

উত্তর ‘ভোর’ এর তাৎপর্য: জীবনানন্দ দাশ তাঁর মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘শিকার’ কবিতায় রাত্রিশেষে ‘ভোর’ হওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করেছেন। 

প্রথম ভোরের বর্ণনা: কবিতার প্রথম অংশে ‘ভোর’ যেন নির্মল প্রকৃতির আত্মপ্রকাশের উপযুক্ত পটভূমি। তখন আকাশের রং ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল’, চারদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছের রং ‘টিয়ার পালকের মতো সবুজ’। সেই ভোরেই আকাশে জেগে থাকা একমাত্র তারাটি কবির মনে বিপরীত অনুভবের ভালো লাগা তৈরি করে। এই ভোরেই অল্পপ্রাণ শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো ম্লান হয়ে যায় হিমের রাতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের শিখা। সকালের আলোয় টলমল  শিশিরে ঝিলমিল করে ওঠে চারপাশের বন ও আকাশ। 

দ্বিতীয় ভোরের বর্ণনা: এই ভোরের পটভূমিতেই কবিতায় আগমন ঘটে একটি ‘সুন্দর বাদামি’  হরিণের। তার কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খাওয়া বা নদীর জলে ঘুমহীন, ক্লান্ত শরীর ভেজানোর মধ্য দিয়ে জীবনের স্বচ্ছন্দ বিচরণকেই প্রত্যক্ষ করা যায়। কিন্তু সুন্দরের এই সহজ প্রকাশকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’। নদীর জল এরপর মচকাফুলের মতো লাল হয়ে ওঠে হরিণের শিকারি মানুষের লোভের শিকার হয়ে হরিণটিকে চলে যেতে হয় 'নিস্পন্দ রক্তে। নিরপরাধ ঘুম’-এর দেশে। তৈরি হয় ‘ভোর’-এর আর-এক ছবি। 

উপসংহারএই ভোরকে প্রকৃতি লালন করেনি; কিংবা সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিণও এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করেনি। মানুষের ক্ষুধার ও হিংস্রতার সাক্ষী হয়ে থাকে এই ভোর

WBCHSE Class 12th Bengali Shikar  Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   –“শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ

WBCHSE HS Bengali Shikar Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –“শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ | HS Bengali Shikar Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Shikar Question and Answer, Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  –“শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ । HS Bengali Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Shikar Question and Answer Question and Answer, Suggestion 


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ – প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Shikar  Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion. 

HS Bengali Shikar Question and Answer Suggestions  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর|

HS Bengali Shikar Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর| 

WB Class 12 Bengali Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর| HS Bengali Shikar Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – “শিকার" (কবিতা) জীবনানন্দ দাশ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Shikar Bengali Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.