Type Here to Get Search Results !

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী| Biography of Swami Vivekananda.

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী| Swami Vivekananda Biography.

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী| Swami Vivekananda Biography.

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা পল্লির দত্ত পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় হলো স্বামী বিবেকানন্দের জীবন সম্পর্কে। স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী সম্পর্কে। স্বামী বিবেকানন্দ  যুব সমাজকে কতটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি আমাদেরকে কি কি শিখিয়েছেন বা সোয়ামি বিবেকানন্দ আমাদের যুব সমাজের উপর কেমন প্রভাব বিস্তার করেছে আজ আমরা তার সম্পর্কে জানব তার জীবনের মাধ্যম দিয়ে।
Biography of swami vivekananda| swami Vivekananda biography in Bengali| Vivekananda biography|biography of Swamiji Vivekananda.

জন্ম ও শৈশব: ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা পল্লির দত্ত পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ও মায়ের নাম: পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।
ছাত্রজীবন: শৈশব থেকেই নরেন্দ্রনাথ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান। মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন।
 ভারত ও বিশ্বভ্রমণ:  ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরিব্রাজকরূপে (পরিব্রাজক হিন্দু সন্ন্যাসীর বন্ধনহীন এক ধর্মীয় জীবন, এই সময় সন্ন্যাসীরা স্বাধীনভাবে, স্থায়ী বাসস্থান ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ান।) ভারতভ্রমণে বের হন।
রামকৃয় মঠ স্থাপন: ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃয়ের মৃত্যুর পর গুরুভাইদের সহযােগিতায় তিনি বরানগরে শ্রীরামকৃয় মঠ স্থাপন করেন।
সাহিত্যকর্ম: স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা ও ইংরেজিতে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
বেলুড় মঠ’ প্রতিষ্ঠা: ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি রামকৃয় মিশন’ এবং ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে রামকৃয় মিশনের কেন্দ্র হিসেবে ‘বেলুড় মঠ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
মহাপ্রয়াণ: ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী| Swami Vivekananda Biography.

» জন্ম ও শৈশব: ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা পল্লির দত্ত পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন সেকালের বিখ্যাত অ্যাটর্নি শৈশবে। বিবেকানন্দ বীরেশ্বর বা বিলে নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দের ছাত্রজীবন:

» ছাত্রজীবন: শৈশব থেকেই নরেন্দ্রনাথ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান। মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছেড়ে দিয়ে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে (বর্তমানের স্কটিশচার্চ কলেজ) ভরতি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিএ পাস করেন। তিনি আইন পড়তেও শুরু করেছিলেন; কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর আর্থিক অনটন দেখা দেওয়ায় তাঁর আইন পড়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রজীবনে তিনি সাধারণ বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে সংগীত ও ব্যায়ামেও যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেন।

 স্বামী বিবেকানন্দের সান্নিধ্য ও সন্ন্যাস গ্রহণ:

» শ্রীরামকৃয়ের সান্নিধ্য ও সন্ন্যাস গ্রহণ: নরেন্দ্রনাথ যখন এফএ ক্লাসের ছাত্র ছিলেন, তখন শ্রীরামকৃয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। শ্রীরামকৃয়ের ব্যক্তিত্ব তাঁকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। তিনি শ্রীরামকৃয়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৮৭ সালের প্রথমদিকে নরেন্দ্রনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তার নাম হয় স্বামী বিবিদিশানন্দ। পরবর্তীকালে ১৮৯৩ সালে ক্ষেত্রীর মহারাজা তার ‘ বিবেকানন্দ’ নামকরণ করেন বলে কথিত।

স্বামী বিবেকানন্দের ভারত ও বিশ্বভ্রমণ:

» পরিব্রাজকরুপে ভারত ও বিশ্বভ্রমণ: ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরিব্রাজকরূপে (পরিব্রাজক হিন্দু সন্ন্যাসীর বন্ধনহীন এক ধর্মীয় জীবন, এই সময় সন্ন্যাসীরা স্বাধীনভাবে, স্থায়ী বাসস্থান ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ান।) ভারতভ্রমণে বের হন। এই সময় তিনি একদিকে যেমন ভারতবর্ষ ও ভারতবাসীদের প্রত্যক্ষভাবে জানার চেষ্টা করেন, অন্যদিকে তেমনি নানান শাস্ত্রও অধ্যয়ন করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগাে ধর্মমহাসভায় যােগ দেবার জন্য তিনি আমেরিকায় যান। সেখানে হিন্দুধর্ম বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে তিনি বিদেশিদের শ্রদ্ধা অর্জন করেন। তিনি বেশ কিছুকাল আমেরিকা ও ইউরােপে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা ও আলােচনার মাধ্যমে ভারতীয় জীবন ও চিন্তাধারা সম্পর্কে বিদেশের মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সচেষ্ট হন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজি স্বদেশে ফিরে এলে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানাে হয়।

স্বামী বিবেকানন্দের রামকৃয় মঠ স্থাপন:

» রামকৃয় মঠ স্থাপন: ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃয়ের মৃত্যুর পর গুরুভাইদের সহযােগিতায় তিনি বরানগরে শ্রীরামকৃয় মঠ স্থাপন করেন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি রামকৃয় মিশন’ এবং ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে রামকৃয় মিশনের কেন্দ্র হিসেবে ‘বেলুড় মঠ’ প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ও দর্শন:

» শিক্ষা ও দর্শন: স্বামী বিবেকানন্দ সমাজসেবার যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন তার তুলনা মেলা ভার। তাঁর রচনা ও বক্তৃতায় দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে সমাজসেবার অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়। তিনি মানুষকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তির পথ অনুসন্ধান করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।

স্বামী বিবেকানন্দের সাহিত্যকর্ম:

» সাহিত্যকর্ম: স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা ও ইংরেজিতে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য কয়েকটি হল, ‘ভাববার কথা’, ‘পরিব্রাজক’, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত’,  'Karmayoga', 'Rajayoga', 'Inanayoga, 'Bhaktiyoga' প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য।


» মহাপ্রয়াণ: ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.