গৌতম বুদ্ধের জীবনী, বংশপরিচয়| Biography of Gautam Buddha.
গৌতম বুদ্ধের জীবনী| Biography of Gautam Buddha.
নাম (Name) | গৌতম বুদ্ধ (Gautam Buddha) |
জন্ম (Birthday) | ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্ব |
জন্মস্থান (Birthplace) | লুম্বিনী, শাক্য গণরাজ্য |
অভিভাবক (Parents)/পিতামাতা | শুদ্ধোধন (পিতা)
মায়া দেবী (মাতা) |
ধর্ম | বৌদ্ধ ধর্ম |
দাম্পত্য সঙ্গী | যশোধরা |
সন্তান | রাহুল |
পরিচিতির কারণ | বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা |
অন্য নাম গুলি | সিদ্ধার্থ গৌতম, সিদ্ধাত্থ গোতম, শাক্যমুণি |
মৃত্যু (Death) | ৪৮৩ অব্দ |
গৌতম বুদ্ধের জন্ম ও বংশপরিচয়|Birth and genealogy of Gautama Buddha:
নেপালের দক্ষিনাংশে এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের যােধপুর রাজ্য নিয়ে একটি রাজপুত রাজ্য ছিল৷ এই রাজ্যের রাজধানী ছিল কপিলাবস্তু। এই রাজ্যের শাক্য রাজা শুদ্ধোধন ও রানী মায়াদেবীর পুত্র ছিলেন গৌতম বুদ্ধ৷ খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৭-৫৬৩ অব্দের দিকে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়। বৌদ্ধধর্ম গ্রন্থ সুত্তা নিপােতায় বলা হয়েছে - শাক্যদের একটি গ্রাম লুম্বিনী জনপদে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়। বৌদ্ধ পুরান অনুযায়ী গৌতম বুদ্ধের মা মায়াদেবী শাক্য রাজধানী কপিলাবস্তু থেকে তার পৈতৃক বাসগৃহে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে লুম্বিনী গ্রামের একটি উদ্যানের ভিতর একটি শালগাছের নীচে তাঁর জন্ম হয়৷ লুম্বিনীতে পরে মায়াদেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ এই মন্দিরের একটি স্থানকে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে সম্রাট অশােক ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে এই তীর্থভূমি পরিদর্শনে আসেন। তিনি এই গ্রামের প্রজাদের রাজস্ব এক- অষ্টমাংশ হ্রাস করেছিলেন। তিনি তাঁর আগমনের স্মারক হিসাবে এখানে একটি অশােক স্তম্ভ স্থাপন করেছিলেন।
গৌতম বুদ্ধের নামকরন ও পরিচিতি লাভ| Naming and introduction of Gautam Buddha:
দীর্ঘ সাধনার পর পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করেছিল বলে রাজা শুদ্ধোধন পুত্রের জন্মের পঞ্চম দিনে নামকরনের জন্য আটজন ব্রাহ্মনকে আমন্ত্রন জানালে তারা শিশুর নাম রাখেন সিদ্ধার্থ, অর্থাৎ যে, সিদ্ধিলাভ করেছেন। এই সময় পর্বতদেশ থেকে আগত অসিত নামে একজন সাধু শিশুকে দেখে ভবিষ্যদ্বানী করেন যে এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সর্বকনিষ্ঠ ব্রাহ্মন কৌন্ডিন্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই শিশু পরবর্তকালে বুদ্ধত্ব লাভ করবে।
জন্মের কিছুকাল পরেই সিদ্ধার্থ মাতৃহারা হন। ফলে তিনি লালিতপালিত হন বিমাতা গৌতমীর কাছে। মনে করা হয় যে এজন্য তাঁর নাম হয় গৌতম। এছাড়া তিনি শাক্যবংশে জন্মেছিলেন বলে তার নাম হয় শাক্যসিংহ। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন সংসারে বিবাগী এবং অধিকাংশ সময় ঈশ্বরের চিন্তা করে সময় কাটাতেন। রাজা শুদ্ধোধন পুত্রকে সংসারী করার জন্য, প্রতিবেশী কোলিয় রাজপরিবারের পরমা সুন্দরী ষোড়শি কন্যা যশােধরার (মতান্তরে গােপা) সাথে তাঁর বিবাহ দেন। ২৯ বছর বয়সে তাঁর এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে যার নাম রাখেন রাহুল।
গৌতম বুদ্ধের মহাভিনিষ্ক্রমন-এর কারণ| The reason for Gautama Buddha's Mahaviniskraman:
এইসময় একদিন তিনি নগর পরিক্রমনে বের হলে রাজপথে ব্যাধিগ্রস্ত বৃদ্ধ এবং এক মৃতদেহ দেখে খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। সাথে থাকা সারথি ছন্নকে এঁদের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে ছন্ন তাঁকে বুঝিয়ে বলেন যে সকল মানুষের নিয়তি যে তারা একসময় বৃদ্ধ, অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। আর তখন থেকেই তিনি মানবজীবনের শােক, দুঃখ, জরা, ব্যাধি এবং মৃত্যুর হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, সে বিষয়ে ভাবতে শুরু করেন। এই ভাবনা থেকেই ৫৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (মতান্তরে ৫৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) ঘুমন্ত স্ত্রী এবং সাতদিনের পুত্রকে রেখে প্রিয় অশ্ব কুন্তক ও সারথি ছন্নকে সাথে নিয়ে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে রাতের অন্ধকারে গৃহত্যাগ করেন। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে রাজবস্ত্র ত্যাগ করে, তলােয়ার দিয়ে লম্বা চুল কেটে মুন্ডিতমস্তক হন। এরপর কুন্তক ও ক্রন্দিত ছন্নকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে দিব্যজ্ঞানের সন্ধানে। ইহা মহাভিনিষ্ক্রমন নামে পরিচিত।
গৌতম বুদ্ধের গৃহত্যাগ ও সম্যক জ্ঞানলাভ| Gautam Buddha left home and gained complete knowledge:
গৃহত্যাগের পর প্রথম বৈশালী নগরে (বৃজি মহাজনপদের রাজধানী) যান এবং সেখানে আরাল কালাম নামক এক পন্ডিতের কাছে হিন্দু দর্শন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করেন। কিন্তু এই জ্ঞানে তিনি পরিতৃপ্ত না হতে পেরে তিনি উদ্দক রামপুত্তের কাছে শিক্ষাগ্রহনের জন্য আসেন। এই গুরুর কাছে তিনি সংখ্যা এবং যােগবিদ্যা শেখেন। এই নতুন প্রাপ্ত জ্ঞানও তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি। এরপর তিনি মগধের রাজধানী রাজগিরে আসেন। এখানে মগধের রাজা বিম্বিসার তাঁর সাথে দেখা করে রাজপ্রাসাদে আসার জন্য অনুরােধ করেন। কিন্তু গৌতম এই অনুরােধ প্রত্যাখ্যান করে জানান যে, যদি তিনি কখনও সত্যের সন্ধান পান তাহলে রাজার আমন্ত্রন রক্ষা করবে।
এর কিছুদিন পর রাজা বিম্বিসার যজ্ঞের জন্য ১০০০ মেষ বলির উদ্যোগ নেন। গৌতম এই কথা জানতে পেরে তাকে মেষ বলি দেওয়া থেকে বিরত করেন। এরপর গৌতম উরুবি গ্রামের নিকট এক উপবনে এসে তপস্যা শুরু করেন। সে সময় পাঁচজন সন্ন্যাসীও তাঁর সাথে ধ্যান করতে শুরু করেন। গৌতমের কঠোর তপস্যা দেখে এই পাঁচ সন্ন্যাসী তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েন। গৌতম এরপর পাঁচজন সন্ন্যাসীকে সাথে নিয়ে ভারতের বর্তমান বিহার প্রদেশের গয়া জেলার এক গভীর অরন্যের ভিতর নৈরঞ্জনা নদীর তীরে একটি অশ্বত্থ গাছের নিচে কঠোর তপস্যা শুরু করেন। এই সময় অনাহার ও অনিদ্রার জন্য কঙ্কালসার হয়ে পড়েন। শারিরীক অক্ষমতার জন্য তিনি ধ্যানে মনােনিবেশ করতে পারছিলেন না।
গৌতম বুদ্ধের বুদ্ধত্ব জ্ঞানলাভ|Gaining the wisdom of Gautam Buddha:
তাই তিনি মনস্থির করেন যে, অল্প কিছু আহার করবেন। এই সময় সুজাতা নামক এক মহিলা প্রথম পুত্র সন্তান লাভের পর বনদেবতার পূজা দিতে আসেন। তিনি সেখানে গৌতমকে দেবতা ভেবে পূজা দিতে গেলে, গৌতম তাঁর ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে বলেন যে তিনি দেবতা নন। তিনি সুজাতার নিবেদিত পায়েস গ্রহন করে বলেন যে, “তােমার মনস্কাম যেমন পূর্ন হয়েছে, এই পায়েস গ্রহনের পর যেন আমার মনস্কামও পূর্ন হয়”৷ গৌতমের এই খাদ্যগ্রহন করা দেখে তাঁর সাথে থাকা পাঁচসন্ন্যাসী তাঁকে পরিত্যাগ করেন। এরপর গৌতম একাই ধ্যান করতে থাকেন। প্রায় ৪৯ দিন ধ্যান করার পর তিনি বৈশাখী পূর্নিমায় বুদ্ধত্ব লাভ করেন। কথিত আছে, তিনি এই রাতের প্রথম যামে পূর্বজন্মের জ্ঞান লাভ করেন, দ্বিতীয় যামে তাঁর দিব্যচক্ষু বিশুদ্ধ হয়, অন্তিম যামে দ্বাদশ প্রতীত্যসমৎপাদ এবং অরুনােদয়ে সর্বজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেন। এই সময় তাঁর বয়স ছিল৩৫ বছর। বোধপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর নাম হয় বুদ্ধ৷ বর্তামনে নৈরঞ্জনা নদীকে স্থানীয়ভাবে বলা ফল্গু এবং অশ্বত্থ গাছটিকে বলা হয় বােধিবৃক্ষ এবং উরুবিল্ব গ্রামের নাম হয় বুদ্ধগয়া।
বােধিবৃক্ষ এবং মন্দির ছাড়া এখানে একটি দীঘি আছে যার নাম সুজাতা দীঘি। কথিত আছে এই দিঘির জলে স্নান করে সুজাতা বুদ্ধকে পায়েস নিবেদন করেছিল। বােধিলাভের পর তিনি ছয় বছর উরুবি গ্রামে ছিলেন। এরপর তাঁর গুরু আরাল কালাম, উদ্দক রামপুত্ত এবং তাঁকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচজন সন্ন্যাসীকে দীক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ইতিমধ্যে আরাল কালাম এবং উদ্দক রামপুত্ত মারা গিয়েছিলেন। তাই তিনি পাঁচ জন সন্ন্যাসীকে দীক্ষা দানের জন্য বােধিবৃক্ষ ত্যাগ করে। বারানসীর অদূরে সারনাথ নামক স্থানে আসেন। যে স্থানে এই পাঁচ শিষ্যের সাথে বুদ্ধের প্রথম দেখা হয় সেই স্থানটি বর্তমানে চৌখন্ডী স্তুপ নামে পরিচিত। সম্রাট অশােক পরবর্তীকালে এই স্তুপটি তৈরী করে দিয়েছিলেন। গৌতম বুদ্ধ আষাঢ় মাসের পূর্নিমার দিন এই পাঁচ সন্ন্যাসী কে দীক্ষা দেন। এই ঘটনাকে বলা ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’। এই দীক্ষাদানের স্থানটিতে সম্রাট অশােক ধামেখ স্তুপ নির্মান করে দেন। সংস্কৃতে এর নাম ধর্মচক্র স্তুপ।
বুদ্ধ সারনাথের মৃগদাবে ‘ধর্মচক্র’ প্রবর্তন করেন এবং সেখানে বর্ষাযাপন করেন। এই সময় তিনি ৬০ জনকে দীক্ষা প্রদান করেন। তিনি একটি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংঘ এর জন্য যে আইন তৈরি করেন তাকে বলা হয় উপসম্পদা। শুরুর দিকে তিনি শুধু পুরুষদের দীক্ষা দিতেন। পরে তাঁর প্রিয় শিষ্য আনন্দের অনুরােধে নারীদের দীক্ষা দেওআয় শুরু করেন। কথিত আছে তাঁর কাছে দীক্ষা নেওয়া প্রথম নারী তাঁর বিমাতা গৌতমী।
গৌতম বুদ্ধের জ্ঞান ও ধর্মপ্রচার|
এরপর সারনাথ থেকে ধর্মপ্রচার করতে করতে মগধ রাজ্যের রাজধানী রাজগিরের নিকট উরুবিল্বে আবার আসেন। সেখানে কাশ্যপ, নদীকাশ্যপ, গয়াকাশ্যপ প্রভৃতি হিন্দুগুরু তাঁদের শিষ্যদের নিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন। এরপর বুদ্ধ নবদীক্ষিত শিষ্যদের নিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে মগধের রাজা বিম্বিসারের প্রাসাদে আসেন। সেখানে বুদ্ধ বিম্বিসারকে চতুরার্য সত্য সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান করেন। এরপর বৌদ্ধ সংঘের সহস্রাধিক ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য বেণুবন নামক তার প্রমােদ উদ্যানটি গৌতম বুদ্ধকে প্রদান করেন। পরে রাজা সেখানে একটি বিহার নির্মান করেন।
এই বিহারটি ‘বেণুবন বিহার’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল৷ বিম্বিসারের অনুরােধে বুদ্ধ অমাবস্যা ও পূর্নিমা তিথিতে উপােবাস ব্রত পালনের বিধি প্রচলন করেন। বৌদ্ধদের বর্ষাবাসের সুবিধার জন্য কুটীর নির্মান এবং বুদ্ধ ও ভিক্ষুদের চিকিৎসার জন্য রাজবৈদ্য জীবককে নিযুক্ত করেন। বিম্বিসারের তৃতীয়া পত্নীকালে ভিক্ষুনী সংঘে যােগদান করে অর্হত্ব লাভ করেন। বুদ্ধ বেনুবনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ উদযাপন করেন। শেষ বছরে সারিপুত্র ও মৌদগল্যায়নকে দীক্ষা দেন। এই সময় রাজবৈদ্য জীবক তাঁর আম্রকাননে বুদ্ধ সংঘের জন্য একটি বিহার নির্মান করে দেন। বর্তমানে এই বিহারটি ‘জীবকাম্রবন' নামে পরিচিত।
এরপর তিনি পিতা শুদ্ধোধনের অনুরােধে কপিলাবস্তুতে আসেন। কিন্তু এখানে এসে তিনি পিতার শতঅনুরােধ সত্বেও প্রথমে গৃহে প্রবেশ করতে রাজী হননি৷ রাজবাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী গােপা, পুত্র রাহুলকে ডেকে বলেন ঐ লােকটি তােমার পিতা, ওনাকে ডেকে আনাে। রাহুল নিজের পরিচয় দিয়ে ঘরে ডাকলে বুদ্ধ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর সকলের কাতর অনুরােধে তিনি রাজবাড়িতে প্রবেশ করেন কিন্তু কোথাও স্থিরভাবে দাঁড়ালেন না৷ তাঁর রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া আটকাতে তাঁর স্ত্রী গােপা নিজের লম্বা চুল বেরিয়ে যাবার পথে বিছিয়ে রাস্তা আটকে শুয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বুদ্ধ তা ভ্রুক্ষেপ না করে চুল মাড়িয়ে রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
গৌতম বুদ্ধের দেহত্যাগ। Death of Gautam Buddha:
এই সময় তিনি তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই নন্দ এবং সাত বৎসরের পুত্র রাহুলকে দীক্ষিত করে রাজধানী ত্যাগ করেন।এরপর ইনি ১৩ বৎসর ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর ধর্মমত প্রচার করে বেড়ান। পিতার অসুস্থতার কথা শুনে বুদ্ধ কপিলাবস্তুতে আসেন এবং পিতার মৃত্যুকালে পিতার নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি পুরনারীদের বৌদ্ধ ভিক্ষুতে পরিনত করেন এবং তাদের নেত্রী করে দেন তাঁর স্ত্রী গােপাকে। এরপর বুদ্ধ তাঁর ধর্মমত প্রচারের জন্য আবার পথে বেড়িয়ে পড়েন। ৮০ বছর বয়সে নেপালের কুশী নগরে ইনি দেহত্যাগ। করেন। কথিত আছে তাঁর জন্ম, বােধিলাভ ও মৃত্যু একই সময় ও তারিখে হয়েছিল।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১) খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে কতগুলি প্ৰতিবাদী ধর্মের উদ্ভব ঘটেছিল?
Ans:- ৬৩ টি।
২) আজীবক ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
Ans:- গােসাল
৩) কোন কোন গ্রন্থ থেকে গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে জানা যায়?
Ans:- জাতক, সুত্তনিকা, দীনবংশ, মহাবংশ, ললিতবিস্তার, বুদ্ধচরিত ইত্যাদি।
৪) বুদ্ধ শব্দের অর্থ কী?
Ans:- জ্ঞানী বা আলােক
৫) গৌতম বুদ্ধের আসল নাম কী?
Ans:- সিদ্ধার্থ।
৬) তথাগত কার নাম
Ans:- গৌতম বুদ্ধের আরেক নাম তথাগত
৭) গৌতম বুদ্ধ কোন মহাজনপদের বাসিন্দা ছিলেন?
Ans:- কোশল
৮) গৌতম বুদ্ধ কবে কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
Ans:- ৫৬৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে নেপালের কপিলাবস্তু শহরে লুম্বিনী উদ্যানে।
৯) গৌতম বুদ্ধ কোন বংশে জন্মগ্রহন করেন?
Ans:- শাক্য রাজবংশে
১০) গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম কী?
Ans:- শুদ্ধোধন
১১) গৌতম বুদ্ধের মায়ের নাম কী?
Ans:- মায়াদেবী
১২) গৌতম বুদ্ধের স্ত্রীর নাম কী?
Ans:- যশােধরা বা গােপা
১৩) গৌতম বুদ্ধ কাকে পরাজিত করে এক প্রতিদ্বন্ধীতার মাধ্যমে যশােধরাকে বিবাহ করেন?
Ans:- দেবদত্তকে
১৪) গৌতম বুদ্ধের ছেলের নাম কী ?
Ans:- রাহুল।
১৫) গৌতম বুদ্ধ কত বছর বয়েসে বিয়ে করেন?
Ans:- ১৬ বছর
১৬) গৌতম বুদ্ধের ঘােড়ার নাম কী?
Ans:- কুন্তক
১৭) গৌতম বুদ্ধের সারথির নাম কী?
Ans:- চেল্লা
১৮) কে গৌতম বুদ্ধের ভবিষ্যৎবানী করেন?
Ans:- কৌডিন্য
১৯) গৌতম বুদ্ধের গৃহত্যাগের ঘটনাকে কি বলে?
Ans:- মহাভিনিষ্ক্রমন
২০) গৌতম বুদ্ধ সত্যের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে প্রথম কোথায় এসেছিলেন?
Ans:- বৈশালী
২১) গৌতম বুদ্ধ কার কাছে যােগশিক্ষা গ্রহন করেন?
Ans:- আলাল কালাম
২২) উরুবিলবে গৌতম বুদ্ধ কত বছর সাধনা করেন?
Ans:- ৬ বছর।
২৩) গৌতম বুদ্ধ কত বছর বয়েসে নির্বান লাভ করেন?
Ans:- ৩৫ বছর
২৪) যে গাছের নীচে বসে গৌতম বুদ্ধ সিদ্ধি লাভ করেন তার নাম কী?
Ans:- বােধিবৃক্ষ
২৫) গৌতম বুদ্ধ কোন নদীর তীরে দিব্যজ্ঞান বা বােধি লাভ করেন?
Ans:- নৈরজ্ঞনা নদীর তীরে (ঋজুপালিকা নদীর তীরে মহাবীর)।
২৬) প্রথম বার গৌতম বুদ্ধ একটানা কত দিন যােগরুঢ় করেছেন?
Ans:- ৪৯ দিন
২৭) গৌতম বুদ্ধ প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেন?
Ans:- সারনাথের মৃগদাবে।
২৮) গৌতম বুদ্ধের সর্বপ্রথম ধর্মপ্রচারের ঘটনাকে কি বলা হয়?
Ans:- ধর্মচক্র প্রবর্তন
২৯) গৌতম বুদ্ধ বােধিলাভের কতবছর পর বিম্বিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন?
Ans:- ২ বছর
৩০) গৌতম বুদ্ধ প্রথম কোথায় ও কাদের কাছে তাঁর মতবাদ প্রচার করেন?
Ans:-সারনাথে তাঁর পাঁচজন শিষ্যের কাছে।
৩১) গৌতম বুদ্ধ তাঁর ধর্মমত প্রচার করতে কোন বনে প্রথম পঞ্চভিক্ষুর কাছে গিয়েছিলেন?
Ans:- বারানসীর কাছে মৃগদাব বনে
৩২) বুদ্ধের প্রথম পাঁচ শিষ্যের নাম কর?
Ans:- কৌন্ডিন্য, ভদ্রিক, অশ্মজিৎ, বাম্প ও মহানাম
৩৩) বুদ্ধ সবথেকে বেশী বানী কোথায় প্রচার করেন?
Ans:- শ্রাবন্তীতে
৩৪) গৌতম বুদ্ধ কোথায় সবথেকে বেশীবার শিক্ষা দান করেন?
Ans:- কোশল রাজ্য
৩৫) গৌতম বুদ্ধ কোন রাজ্যে বেশীদিন ধর্ম প্রচার করেন?
Ans:- কোশল রাজ্যে
৩৬) কোশল রাজ্যে গৌতম বুদ্ধ কতবছর ধর্মপ্রচার করেন?
Ans:- ২১ বছর ।
৩৭) কোশলের রাজধানী শ্রাবন্তীতে গৌতম বুদ্ধ কত বছর কাটিয়ে ছিলেন?
Ans:- ২১ বছর
৩৮) গৌতম বুদ্ধ কতবছর রাজগীরে ছিলেন?
Ans:- ১২ বছর
৩৯) ভারতের বাইরে কোথায় সর্বপ্রথম বৌদ্ধধর্ম প্রচারিত হয়?
Ans:- শ্রীলঙ্কায়।
40) বুদ্ধের কয়েকজন বিখ্যাত শিষ্যের নাম কর।
Ans:- মগধরাজ বিম্বিসার ও অজাতশত্র, কোশলরাজ প্রসেনজিত ও তার স্ত্রী মল্লিকা, কনিষ্ক, হর্ষবর্ধন, অশােক
৪১) কার অনুরােধে গৌতম বুদ্ধ মহিলাদের সংঘে প্রবেশাধিকার দেন?
Ans:- পালিত মা গৌতমীর অনুরােধে
৪২) কোন হুন নেতা প্রথম বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন?
Ans:- মিহিরগুল।
৪৩) গৌতম বুদ্ধ যে পাটিগনিতে দক্ষ ছিলেন এটি কোন গ্রন্থে উল্লেখ আছে?
Ans:- ললিতবিস্তারগ্রন্থ
৪৪) কে তিব্বতে বজ্রযান(যাহা মহাযানের একটি অংশ) সম্প্রদায় স্থাপন করেন?
Ans:- পদনসম্ভব
৪৫) কোন বৌদ্ধধর্মগ্রন্থ থেকে গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে কম জানা যায়?
Ans:- পরিশিষ্ঠ পার্বন
৪৬) আম্রপালি কে ছিলেন?
Ans:- গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক এক বিখ্যাত নর্তকী
৪৭) গৌতম বুদ্ধ ছাড়া আর কে শাক্যমুনি নামে পরিচিত?
Ans:- হিউয়েন সাঙ
৪৮) গৌতম বুদ্ধের প্রথম গৃহী শিষ্য কে ছিলেন?
Ans:- মহাস্থবির যশ
৪৯) গৌতম বুদ্ধ কোথায় একবারও বর্ষাযাপন করেন নি?
Ans:-চম্পা।
৫০) গৌতম বুদ্ধ কত বছর ধরে ধর্মপ্রচার করেন?
Ans:- ৪৫ বছর
৫১) গৌতম বুদ্ধ কোন নদী পার করে মল্লদেশের শালবনে পৌঁছেছিলেন?
Ans:- হিরন্যবতী নদী
৫২) হিন্দু মতানুসারে গৌতম বুদ্ধ বিষ্ণুর কততম অবতার?
Ans:- নবম
৫৩) গৌতম বুদ্ধ বছরের কমাস ধরে ধর্মপ্রচার করতেন?
Ans:- ৮ মাস
৫৪) কোন সম্প্রদায়ের মতে- গৌতম বুদ্ধ মানবজাতির ত্রানকর্তা?
Ans:- মহাযান।
৫৫) কে বলেছেন- গৌতম বুদ্ধ একজন ভালাে সেনাপতি হতে পারতেন, যদি না তিনি সন্ন্যাসী হতেন?
Ans:-চার্লস ইলিয়ট
৫৬) গৌতম বুদ্ধ ষােড়শ মহাযান পদের কোনটির সংবিধান রচনা করেন?
Ans:- বৃজি
৫৭) ষােড়শ মহাজনপদের কোনটিকে গৌতম বুদ্ধ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য পরামর্শ দেন?
Ans:- বৃজি
৫৮) কোন সমকালীন দর্শনের প্রতি গৌতম বুদ্ধ তার বিশ্বাস ব্যক্ত করেন?
Ans:- কর্মবাদ
৫৯) আর্যসত্য সম্বন্ধে কে বলেছিলেন?
Ans:- গৌতম বুদ্ধ
৬০) গৌতম বুদ্ধ শেষ কোথায় বর্ষা যাপন করেছিলেন?
Ans:- বৈশালী
৬১) কার গৃহে গৌতম বুদ্ধ মারা যান?
Ans:- চুন্দ।
৬২) গৌতম বুদ্ধ কবে ও কোথায় দেহত্যাগ করেন?
Ans:- ৪৮৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বৈশাখী তিথিতে মল্ল মহাজনপদের কুশীনগরে।
৬৩) গৌতম বুদ্ধ কোন রােগে মারা যান?
Ans:- আমাশয়
৬৪) গৌতম বুদ্ধের দেহত্যাগের ঘঠনাকে কি বলা হয়?
Ans:- মহাপরিনির্বান
৬৫) গৌতম বুদ্ধ কোথায় নির্বান লাভ করে?
Ans:- বােধগয়া (মহাপরিনির্বান - কুশীনগরে)
৬৬) গৌতম বুদ্ধ কত বছর বয়েসে মহাপরিনির্বান লাভ করেন?
Ans:- ৮০ বছর বয়েসে
৬৭) কোন মহান ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু বৈশাখী পূর্নিমায়?
Ans:- গৌতম বুদ্ধ
৬৮) গৌতম বুদ্ধ শেষ উপদেশ কাকে দিয়েছিলেন?
Ans:- আনন্দকে (মতান্তরে সুভদ্রাকে)
৬৯) গৌতম বুদ্ধের শেষ উপদেশ কী ছিল?
Ans:- পৃথিবীর সমস্ত জিনিসই ক্ষয় হবে, অধ্যাবসায়ী হওয়ার চেষ্টা কর।
৭০) গৌতম বুদ্ধকে কোন চৈতের নিকট দাহ করা হয়?
Ans:- কুশিনগরের রামাভার নামক স্থানে
৭১) গৌতম বুদ্ধ যখন মারা যান বা নির্বান লাভ করেন তখন মগধের রাজা কে ছিল?
Ans:- অজাতশত্রু
৭২) বৌদ্ধদের পবিত্র গ্রন্থের নাম কী?
Ans:- ত্রিপিটক
৭৩) ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল?
Ans:- পালি ভাষায়
৭৪) গৌতম বুদ্ধ কোন ভাষায় উপদেশ দিতেন?
Ans:- প্রাকৃত ভাষায়
৭৫) আর্যসত্য, মহিমপন্থা, অষ্টাঙ্গিক মার্গ, নির্বান ও পঞ্চশীল কোন ধর্মের সাথে যুক্ত?
Ans:- বৌদ্ধধর্ম
৭৬) এশিয়ার আলাে কাকে বলা হয়?
Ans:- গৌতম বুদ্ধকে
৭৭) প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
Ans:- ৪৮৩ খ্রীঃপূর্বে মগধের রাজগৃহ নগরে সপ্তপর্নী গুহায় হর্ষবংশীয় রাজা অজাতশত্রুর আমলে।
৭৮) প্রথম বৌদ্ধসম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন?
Ans:- মহাকাশ্যপ
৭৯) প্রথম বৌদ্ধসম্মেলনে কী হয়েছিল?
Ans:- প্রথম বৌদ্ধসম্মেলনে বুদ্ধের বানীগুলিকে নিয়ে তিনটি ভাগে বা পেটিকা বা ঝুড়িতে ভাগ করা হয়েছিল৷ একত্রে বলা হয় ত্রিপিটক। পেটিকা কথার অর্থ হল ঝুড়ি৷ এই পিটক তিনটি হল সুত্রপিটক, বিনয়পিটক ও অভিধর্মপিটক।
৮০) সুত্রপিটক কে রচনা করেন?
Ans:- গৌতম বুদ্ধের বানীর সংকলন গ্রন্থ সুত্রপিটক রচনা করেন বুদ্ধদেবের শিষ্য আনন্দ।
৮১) বিনয় পিটক কে রচনা করেন?
Ans:- বৌদ্ধমঠের নিয়মকানুনের সংকলন গ্রন্থ বিনয়পিটক রচনা করেন বুদ্ধের শিষ্য উপালি।
৮২) অভিধর্ম পিটকে কি আছে?
Ans:- অভিধর্ম পিটকে বৌদ্ধ ধর্মের দার্শনিক তত্বের বিশ্লেষন সংকলিত আছে।
৮৩) দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন কবে কোথায় হয়?
Ans:- ৩৮৩ খ্রীষ্ট্ৰপূর্বাব্দে বৈশালিতে
৮৪) কার রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন হয়?
Ans:-শিশুনাগ বংশীয় রাজা কালাশােক বা কাকবর্ন এর আমলে
৮৫) দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলনে সভাপতি কে ছিলেন?
Ans:- সবাকামি।
৮৬) দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলনের গুরুত্ব কী?
Ans:- দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলনে বৌদ্ধরা থেরবাদী ও মহাসংঘিকা নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়।
৮৭) তৃতীয় বৌদ্ধসম্মেলন কবে কোথায় হয়?
Ans:- ২৫০খ্রীষ্টপূর্বাব্দে পাটলিপুত্রে
৮৮) কার রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধসম্মেলন হয়?
Ans:- মৌর্য বংশীয় সম্রাট অশােকের আমলে
৮৯) তৃতীয় বৌদ্ধসম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন?
Ans:- মােগালিপুত্ত তিস্যা।
৯০) তৃতীয় বৌদ্ধসম্মেলনের গুরুত্ব কী ছিল?
Ans:- বৌদ্ধদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য আনার চেষ্টা করা হয় এবং অভিধর্ম পিটক পালি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
৯১) চতুর্থ বৌদ্ধসম্মেলন কবে কোথায় হয়?
Ans:- ৭২ খ্রীস্টাব্দে পেশােয়ারে (মতান্তরে কাশ্মীরে) কুষান রাজ। কনিষ্কের আমলে।
৯২) চতুর্থ বৌদ্ধসম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন?
Ans:- বসুমিত্র এবং সহসভাপতি ছিলেন অশ্বঘােষ
৯৩) চতুর্থ বৌদ্ধসম্মেলনের গুরুত্ব কী ছিল?
Ans:- বৌদ্ধরা হীনযান এবং মহাযান নামক দুটি পন্থীতে বিভক্ত। হয়ে যান। এবং মহাযানপন্থাবলম্বীরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।
৯৪) কে বলেছেন বৌদ্ধধর্ম হিন্দু ধর্মের সংস্করন মাত্র?
Ans:- রােমিলা থাপার
৯৫) কনিষ্ক কোন ধর্মালম্বী ছিলনে?
Ans:- মহাযান বৌদ্ধ।
৯৬) কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে অশােক বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন?
Ans:- কলিঙ্গ
৯৭) বৌদ্ধধর্ম গ্রহনের আগে পর্যন্ত অশােকের প্রিয় খাদ্য কী ছিল?
Ans:- ময়ুরের মাংস
৯৮) মিলিন্ডাপানাে কী?
Ans:- মিলিন্দ বা মিনান্দার বৌদ্ধধর্মাচার্য নাগসেনের কাছে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন। বৌদ্ধধর্ম প্রসঙ্গে নাগসেনের কাছে মিলিন্দের প্রশ্নাবলী ও নাগসেনের উত্তর পালি ভাষার রচিত হয়৷ যাহা মিলিন্ডাপানাে বলে পরিচিত৷
৯৯) চক্রবর্তী ব্রত এর প্রবক্তা কে?
Ans:- গৌতম বুদ্ধ
১০০) গৌতম বুদ্ধ কোন মানবগােষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন?
Ans:- মােঙ্গলীয়।
১০১) জন্ম মৃত্যুর আবর্ত থেকে মুক্তির জন্য গৌতম বুদ্ধ যে পথের সন্ধান দিয়েছেন তার নাম কী?
Ans:- নির্বান।
১০২) বৌদ্ধ সংঘ কে স্থাপন করেন?
Ans:- ভদ্রবাহু।
১০৩) ললিতবিস্তার গৌতম বুদ্ধ কি নামে বারবার বর্নিত আছেন?
Ans:- বাম্প
১০৪) গৌতম বুদ্ধের প্রথম জীবনীকার কে?
Ans:- অশ্বঘােষ (বুদ্ধচরিত)।
১০৫) কে গৌতম বুদ্ধকে বিদেশীদের কাছে শ্রেষ্ঠদান বলেছেন?
Ans:- ডঃ ধর্মেন্দ্র কোসাম্বি
১০৬) গৌতম বুদ্ধ জন্মস্থানের বর্তমান নাম কী?
Ans:- বর্তমানে রুমিনদেই গ্রাম
১০৭) হর্ষবর্ধন যে প্রয়াগ মেলা করতেন সেই প্রয়াগ মেলার শেষ করতেন কার পূজা করে?
Ans:- গৌতম বুদ্ধ।
১০৮) প্রথমে মহাবীরের শিষ্য ছিলেন পরে গৌতম বুদ্ধএর শিষ্য হন কে?
Ans:- উপালি ও অজয়রাজকুমার
109) গৌতম বুদ্ধের জনের প্রতীক কী ছিল?
Ans:- পদ্ম ও ষাঁড়
110) গৌতম বুদ্ধের ত্যাগের প্রতীক কী ছিল?
Ans:- ঘােড়া।
111) বৌদ্ধ ধর্মের তিনটি ত্রিশরন মন্ত্র কী?
Ans:- বৌদ্ধ, ধম্ম ও সঙ্ঘ
112) নির্বানের প্রতীক কী?
Ans:- বােধিগাছ।
113) ধর্মচক্র প্রবর্তনের প্রতীক কী ছিল?
Ans:- চাকা।
114) গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর প্রতীক কী ছিল?
Ans:- স্তুপ
115) কোন গ্রন্থে বুদ্ধকে জ্ঞান ও দয়ার সাগর হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে?
Ans:- অমরকোষে
116) সম্রাট অশােক কোন বৌদ্ধসন্ন্যাসীর দ্বারা সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হয়েছিলেন?
Ans:-উপগুপ্ত।
117) মহাযানে বােধিসত্ত্ব আর কি নামে পরিচিত ছিল?
Ans:- পদ্মপানি।
118) গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন কোন মহাপুরুষ?
Ans:- মহাবীর।
119) চীনে বৌদ্ধধর্মের প্রচার প্রথম কে শুরু করেন?
Ans:- কাশ্যপ মাতঙ্গী
120) মহাযান ও হীনযান বৌদ্ধদের মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়?
Ans:- দেব-দেবীর আরাধনা
121) মহাযান শিক্ষার বিখ্যাত পাঠস্থান কোথায় ছিল?
Ans:- নালন্দা
122) মহাবীর এবং গৌতমবুদ্ধ তাদের মতবাদ কোন রাজার শাসনকালে প্রচার করেছিলেন?
Ans:- বিম্বিসার ।
123) বুদ্ধ এবং মহাবীর কোন রাজার রাজত্বকালে দেহরক্ষা করেন?
Ans:- অজাতশত্রু
124) কোন রাজা প্রথম বুদ্ধের প্রতিকৃতি মুদ্রার উপর স্থাপন করেছিলেন?
Ans:- কনিষ্ক
125) গান্ধার শিল্পের সূচনা কাদের মধ্যে হয়েছিল?
Ans:- মহাযান।
126) খ্রীঃ পুঃ ষষ্ঠ শতকে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উত্থানের কারন কী?
Ans:- সাধারন মানুষের প্রতি ব্রাহ্মনদের দমনমুলক মনােভাব, অস্পৃশ্যতা এবং শ্রেনী বৈষম্যের প্রকাশ ও যথেচ্ছ গাে-হত্যা।
127) কোন ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটেছিল?
Ans:- বৈদিক ব্রাহ্মন ধর্মের বিরুদ্ধে
128) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে কতগুলি প্রতিবাদী ধর্মের উত্থান ঘটে?
Ans:- প্রায় ৬৩ টি
129) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের কয়েকটি প্রতিবাদী ধর্মের নাম লেখ?
Ans:- বৌদ্ধ, জৈন, ও আজীবিক
130) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে যে কয়টি প্রতিবাদী সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে সবথেকে প্রাচীন কোনটি?
Ans:- আজীবিক সম্প্রদায়
131) বৌদ্ধধর্মের মূলকথা কী?
- মােহত্যাগ করা
132) বৌদ্ধধর্মের বিশ্বকোষ অভিধামাকোষ কার লেখা?
Ans:- বসুবন্ধু।
133) গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কাহিনী কাকে বলা হয়?
Ans:- জাতক
134) জাতকের সংখ্যা কতগুলি?
Ans:- ৫৫০ টি
135) বুদ্ধের পাঁচটি নৈতিক উপদেশ কি নামে পরিচিত?
Ans:- পঞ্চশীল
136) সূত্র পিটকের মূল বিষয় কী?
Ans:- বুদ্ধের উপদেশ
137) বিনয় পিটকের মূল বিষয় কী?
Ans:- বৌদ্ধ মঠের নিয়মকানুন।
138) বৌদ্ধদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অনুষ্ঠান কবে অনুষ্ঠিত হয়?
Ans:- বৈশাখী পূর্ণিমার দিন
139) বিনয় পিটকের রচয়িতা কে?
Ans:- উপালি।
140) সূত্র পিটকের রচয়িতা কে?
Ans:- আনন্দ।
141) গৌতমবুদ্ধের মাতা মায়াবতীর অপর পরিচয় কী?
Ans:- তিনি কোশল রাজ্যের রাজকন্যা ছিলেন।
142) গৌতম বুদ্ধ প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেছিলেন?
Ans:- ঋষিপত্তনে যার বর্তমান নাম সারনাথ
143) গৌতম বুদ্ধ ধর্মপ্রচারের সময় কোথায় বসবাস করতেন?
Ans:- কোশলের জেতবন নামক একটি উদ্যোনে বসবাস করতেন। পরে এর নাম হয় জেতবন বিহার।
144) জেতবন বিহার গৌতম বুদ্ধকে কে দান করেছিল?
Ans:- অনাথপিন্ডক নামক এক বনিক এবং তার শিষ্য।
145) গৌতম বুদ্ধ কোন রাজ্যে ধর্ম প্রচার করতে রাজি হননি?
Ans:- অবন্তী রাজ্যে
146) বৌদ্ধ সংঘে ভর্তি হতে গেলে নুন্যতম বয়স কত লাগত?
Ans:- ৮ বছর (মতান্তরে ৪ বছর)
147) কোন গনিকা গৌতম বুদ্ধের আশীবাদ পেয়েছিলেন?
Ans:- আম্রপালি
148) পাবাপুরীতে গৌতম বুদ্ধ কোথায় বসবাস করতেন?
Ans:- এক গরীব কর্মকারের বাড়িতে।
149) পাবাপুরিতে গৌতম বুদ্ধ কি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন?
Ans:- মাশরুম এবং শুকরের মাংস খেয়ে।
150) চৈত কী?
Ans:- উপাসনা গৃহ
151) সর্বাস্তিবাদী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Ans:- রাহুল ভদ্র।
152) সৌতান্ত্রিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উল্লেখযােগ্য কয়েকজনের নাম করুন?
Ans:- অশ্বঘােষ ও নাগার্জুন।
153) মহাসাঘিক সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Ans:- মহাকাশ্যপ
154) কাদের আক্রমনে বৌদ্ধ ধর্মের পতন ঘটে?
Ans:- আরব ও তুর্কি আক্রমনে।
155) ভিক্ষু ও ভিক্ষুনীরা সমবেত হত প্রতিমাসের কত তারিখে?
Ans:- প্রতিমাসের ৮, ১৪, ১৫ তারিখে
156) বুদ্ধদেবের একজন নাপিত শিষ্যের নাম কর?
Ans:- উপালি।
157) বুদ্ধদেবের একজন ক্ষত্রিয় শিষ্যের নাম কর?
Ans:- আনন্দ
158) বুদ্ধদেবের একজন ব্রাহ্মন শিষ্যের নাম কর?
Ans:- মহাকাশ্যপ
159) বুদ্ধদেবের প্রধান দুইজন শিষ্যের নাম কর?
Ans:- অভয় রাজকুমার ও রুপালি
160) বুদ্ধদেবের একজন বনিক শিয্যের নাম কর?
Ans:- শ্রাবস্তীর অনাথ পিন্ডক
161) বুদ্ধদেবের একজন গৃহবধু শিয্যের নাম কর?
Ans:- বিশাখা
162) বৌদ্ধ ধর্মের বেদ ও বেদান্তে সত্য প্রচার করেছিলেন কে?
Ans:- কুমারিল ভট্ট ও শংকরাচার্য
163) কোন পিটকের মূল্য সবথেকে বেশী?
Ans:- সূত্র পিটক
164) কোন পিটকের মূল্য সবথেকে কম?
Ans:- বিনয় পিটক
Today Gk All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....