Type Here to Get Search Results !

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জীবনী| Biography of Syed Mustafa Siraj.

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জীবনী| Biography of Syed Mustafa Siraj.

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জীবনী| Biography of Syed Mustafa Siraj.

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মুরশিদাবাদ জেলার খোশবাসপুর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।মাত্র চোদ্দো-পনেরো বছর বয়সেই তিনি..
Biography of Syed Mustafa SirajSyed Mustafa Siraj Biography| Syed Mustafa Siraj biography in Bengali| Syed Mustafa Siraj sanagra| Syed Mustafa Siraj family| Syed Mustafa Siraj short stories.

Syed Mustafa Siraj biography in Bengali

জন্ম ও বংশ পরিচয়: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম রূপকার সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মুরশিদাবাদ জেলার খোশবাসপুর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন যেখানে তিনি খুব ছোটোবেলা  থেকেই পেয়েছেন সাহিত্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ। ছাত্রজীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতির প্রতি তাঁর মন আকৃষ্ট হয়। পরে ওই সূত্র ধরেই তিনি ভারতীয় গণনাট্যসংঘের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথম জীবনে কবিতার প্রতি তাঁর আগ্রহ থাকলেও পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধে তিনি গদ্য লেখায় মনোনিবেশ করেন। ধীরে ধীরে গল্প ও উপন্যাস তথা কথাসাহিত্যে তিনি সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন এবং বৃহত্তম পাঠকসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অভিনয় প্রতিভার বিকাশ:

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অভিনয় প্রতিভার বিকাশ ঘটে শৈশবেই। মাত্র চোদ্দো-পনেরো বছর বয়সেই তিনি অভিনয় করতে শুরু করেন। নির্দেশনার অভিজ্ঞতাও ছিল তাঁর। বিশেষত ‘আলকাপ’ তাঁর জীবনের অনেকখানি জুড়ে ছিল। তাঁর ভাই এক স্মৃতিমেদুর অভিনয় প্রতিভা রচনায় উল্লেখ করেছেন—“আমার দাদা ছিলেন একাধারে ‘আলকাপ’- এর নির্দেশক, নির্মাতা, সংগীত পরিচালক, সঞ্চালক সব কিছুই। প্রয়োজনে অভিনয় করেছেন, গান গেয়েছেন। বাঁশি ও নানা বাদ্যযন্ত্রও বাজিয়েছেন। দাদা ‘আলকাপ’-কে আধুনিক আঙ্গিকে তুলে ধরে শিক্ষিত দর্শকের আসরে হাজির করতে সমর্থ হয়েছিলেন। এটাই তাঁর সাফল্য।”

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখককৃতি:

১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত লেখকের প্রথম উপন্যাস ‘নীলঘরের নটী’ প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছোটোগল্পের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক।

ল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল: ‘পিঞ্জর সোহাগিনী’ (১৯৬৬), ‘হিজলকন্যা’ (১৯৬৭), ‘কিংবদন্তীর নায়ক’(১৯৬৯), ‘তৃণভূমি’ (১৯৭০), ‘নিষিদ্ধপ্রান্তর’ (১৯৭১), ‘এক বোন পারুল’ (১৯৭২), ‘মায়ামৃদঙ্গ’ (১৯৭২), 'নির্বাসনের দিন' (১৯৭২), ‘প্রেম ঘৃণা দাহ’ (১৯৭৫), ‘জ্যোৎস্নায় রক্তের গন্ধ’ (১৯৭৬), ‘পেছনের আততায়ী’ (১৯৮৩), ‘নদীর মতন' (১৯৮৪), ‘রাজপুত্র মন্ত্রিপুত্র’ (১৯৮৪), ‘অলীক মানুষ’ (১৯৮৮), ‘অমর্ত্য প্রেমকথা' - (১৯৮৮), ‘কাগজে রক্তের দাগ’ (১৯৮৯), ‘নিষিদ্ধ অরণ্য’ (১৯৮৯), ‘জানমারি’(১৯৮৯), ‘অপারেশন এক্সফাইল’, ‘অপারেশন রেড হেরিং' (১৯৯১) প্রভৃতি। 

ছোটোদের জন্য লেখালেখির ক্ষেত্রেও তাঁর স্বর্ণলেখনী ছিল দরাজ। তাঁর রহস্যকাহিনির নায়ক প্রকৃতি -বিজ্ঞানী কর্নেল নীলাদ্রি সরকার কী বড়ো কী ছোটো সববয়সি পাঠকের কাছেই সমান সমাদৃত।তাঁর রচনায় ছায়াবিস্তার করেছে ব্যক্তি এবং সমাজ, একইসঙ্গে ব্যক্তি ও প্রকৃতির দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের চিত্র। ইংরেজি ভাষায় তাঁর অনেক রচনা অনূদিত হয়েছে, অনূদিত হয়েছে বহু ভারতীয় ভাষাতেও। বাংলা সাহিত্যের বিদগ্ধ পাঠককুল মনে করেন উপন্যাসের তুলনায় ছোটোগল্পেই তাঁর যথার্থ সিদ্ধি। রাঢ়বাংলার আশ্চর্য ভূগোল-ভৌমগুণ ও অভিজ্ঞতা তাঁর সাহিত্যে চিরন্তন হয়ে আছে। এক্ষেত্রে তাঁর অজস্র ছোটো গল্পেরই অনিবার্য পটভূমি বাংলার নিম্নবর্গীয় গ্রামজীবন।যেখানে তাঁর গূঢ় অন্বেষণ মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক। তবে কথাচিত্রে তিনি এদেশের জনজীবনের আর্থসামাজিক ও কৌম সাংস্কৃতিক ব্যাপ্ত ক্ষেত্রের রূপরেখাকে স্পষ্টতর করেছেন। আবার অন্যদিকে, দেশ ও জাতির মানসিক-ঐতিহাসিক-মানবিক রূপান্তর ও পালাবদলকেও তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাঁর লেখায়।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের পুরস্কার ও স্বীকৃতি:

সাহিত্য স্বীকৃতির ক্ষেত্রে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের পুরস্কার প্রাপ্তির তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘অলীক মানুষ’ তাঁকে এনে দিয়েছে ‘ভুয়ালকা পুরস্কার’, ‘বঙ্কিম পুরস্কার’ এবং ‘সাহিত্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি অকাদেমি পুরস্কার’। ‘অমর্ত্য প্রেমকথা’ গ্রন্থটির জন্য তিনি লাভ করেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নরসিংহ দাস স্মৃতি পুরস্কার। এ ছাড়াও ‘আনন্দ পুরস্কার’, ‘বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার’, দিল্লির OUF সংস্থার ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার', ‘শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’ ইত্যাদি তিনি লাভ করেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে তিনি লাভ করেছেন ‘শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’। তবে যে পুরস্কারটি তাঁর কাছে সর্বোত্তম তাহল বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অজস্র পাঠককুলের বিরামহীন ভালোবাসা।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মৃত্যু বা জীবনাবসান:

আবার অন্যদিকে, দেশ ও জাতির মানসিক-ঐতিহাসিক-মানবিক রূপান্তর ও পালাবদলকেও তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাঁর লেখায়।  ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর বিরাশি বছর বয়সে এই পণ্ডিত ও সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জীবনাবসান হয়। বাংলা সাহিত্যে ঘটে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য  সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের` এই “Today GK Quiz, – Current Affairs in Bengali | বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams GK in Bengali)” পােস্টটি ভালো ভাবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই ভাবেই আমাদের –Today Gk All Exams এর পাশে থাকুন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সমস্ত বিষয়ের যেকোনো প্ৰশ্ন-এর উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ভান্ডারকে বৃদ্ধি করার জন্য অব্যশই ফলাে করতে পারেন, ধন্যবাদ।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.