Type Here to Get Search Results !

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জীবনী | Biography of Subhash Mukhopadhyay.

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের  জীবনী| Biography of Subhash Mukhopadhyay.

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের  জীবনী| Biography of Subhash Mukhopadhyay.


Name : Subhash Mukhopadhyay
জন্ম ও শৈশব:      ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মামার বাড়িতে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম।
পিতা ও মাতা: পিতা ক্ষিতিশচন্দ্র এবং মা যামিনী দেবী।
ছাত্রজীবন:

 ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। এই কলেজ থেকেই ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে দর্শন বিষয়ে বিএ  (সাম্মানিক) এবং পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনীতি জীবন: রাজনীতির শুরু তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই। ১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিশোর ছাত্রদল’-এর সক্রিয় সদস্য হন। সমর সেনের দেওয়া ‘হ্যান্ডবুক অফ মার্কসিজম্’ পড়ে মার্কসীয় মতবাদের প্রতি তিনি অনুরক্ত হন।
সাহিত্যকর্ম:

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব নেন। কয়েক বছরের জন্য সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ‘সন্দেশ' পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদনাও করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। শুধুমাত্র কাব্য নয়, রিপোর্টাজ, ভ্রমণকাহিনি, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য— সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁর সমান পাণ্ডিত্য।

পুরস্কারলাভ:  ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে 'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার’ পান। এ ছাড়াও ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ‘জ্ঞানপীঠ’ এবং ওই বছরই ‘আনন্দ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি।
জীবনাবসান:  ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুলাই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয়।

Biography of subhash mukhopadhyay in bengali. biography of subhash mukhopadhyay pdf. biography of subhash mukhopadhyay.

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের  জীবনী| Biography of Subhash Mukhopadhyay.

ভূমিকা:  সুভাষ মুখোপাধ্যায় কবি হিসেবেই সকলের কাছে বেশি পরিচিত। তবুও বাংলা সাহিত্যে গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান কোনো অংশে কম নয়। তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পদাতিক’ (১৯৪০) আর প্রথম গদ্যগ্রন্থ ‘আমার বাংলা’ (১৯৫১)।‘পদাতিক' কাব্যগ্রন্থে মে দিবসের কবিতায় তাঁর দৃপ্ত ঘোষণা__

“প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য

ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,

চোখে আর স্বপ্নের নেই নীলমদ্য

কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।

চিমনির মুখে শোনো সাইরেন শঙ্খ

গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে-

তিল তিল মরণেও অসংখ্য

জীবনকে চাই ভালোবাসতে।” 


কোনো রোমান্টিক ভাবনায় ভেসে যাওয়া নয়, মানুষের দিকে তাকিয়েছিলেন কবি। সেজন্যই কবি ‘মিছিলের মুখ’-এ মুষ্টিবদ্ধ একটি শানিত হাত দেখতে পান, গর্জে ওঠেন শোষণের বিরুদ্ধে। মানুষের কথা বলার জন্য তিনি যে একদিন গদ্যকেও হাতিয়ার করবেন সে ইচ্ছেটি তাঁর কবিভাবনার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। 

জন্ম ও বংশ পরিচয়:

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মামার বাড়িতে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম। পিতা ক্ষিতিশচন্দ্র এবং মা যামিনী দেবী। পিতা আবগারি বিভাগে চাকরি করতেন। পিতার বদলির চাকরি হওয়ার জন্য শৈশবে সুভাষ মুখোপাধ্যায়কেও বিভিন্ন স্থানে কাটাতে হয়েছে। 

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষাজীবন:

প্রথমে নওগার স্কুলে ভরতি হলেও মেট্রোপলিটান স্কুলে ভরতি হন। এরপর সত্যভামা ইনস্টিটিউশনে সপ্তম ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সুভাষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা শ্রেণিতে এবং পরে ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভরতি হন। শিক্ষক হিসেবে কাছে পান কবি কালিদাস রায়কে। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সংগীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। এই কলেজ থেকেই ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে দর্শন বিষয়ে বিএ  (সাম্মানিক) এবং পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রাজনীতি জীবন

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জীবনে রাজনীতির শুরু তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই। ১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিশোর ছাত্রদল’-এর সক্রিয় সদস্য হন। সমর সেনের দেওয়া ‘হ্যান্ডবুক অফ মার্কসিজম্’ পড়ে মার্কসীয় মতবাদের প্রতি তিনি অনুরক্ত হন। এরপর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পীসংঘের কমিটিতে বিষ্ণু দে এবং সুভাষ মুখোপাধ্যায় যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রসঙ্গত সাহিত্যিক সোমেন চন্দের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল— 

'Anti-Fascist Writers and Artists Association'। এরপর তিনি মাসিক পনেরো টাকা ভাতায় পার্টিকর্মী হিসেবে ‘জনযুদ্ধ’ পত্রিকায় কাজকর্মের জন্য নিযুক্ত হন। পরে ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনি ঘোষণা করা হলে লেখক কারাবরণও করেন। পার্টির কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ বর্জন করেন।

সাহিত্য জীবন: ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব নেন। কয়েক বছরের জন্য সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ‘সন্দেশ' পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদনাও করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। শুধুমাত্র কাব্য নয়, রিপোর্টাজ, ভ্রমণকাহিনি, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য— সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁর সমান পাণ্ডিত্য।

 কাব্যগ্রন্থ ‘পদাতিক’ (১৯৪০), ‘অগ্নিকোণ’ (১৯৪৮), ‘চিরকুট’ (১৯৫০), ‘ফুল ফুটুক’ (১৯৫৭) ‘যত দূরেই যাই’ (১৯৬২), ‘কাল মধুমাস’(১৯৬৬), ‘এই ভাই’(১৯৭১), ‘ছেলে গেছে বনে' (১৯৭২), ‘একটু পা চালিয়ে ভাই’ (১৯৭৯), ‘জল সইতে’ (১৯৮১), ‘চইচই চইচই’(১৯৮৩), ‘বাঘ ডেকেছিল’(১৯৮৫), ‘যা রে কাগজের নৌকো’ (১৯৮৯), ‘ধর্মের কল’ (১৯৯১)। 

অনুবাদ সাহিত্য: ‘নাজিম হিকমতের কবিতা’ (১৯৫২), ‘দিন আসবে’ (১৯৬১), ‘পাবলো নেরুদার কবিতাগুচ্ছ’ (১৯৭৩), ‘রোগা ঈগল’ (১৯৭৪), ‘হাফিজের কবিতা’ (১৯৮৪), ‘চর্যাপদ’ (১৯৮৬), ‘অমরু শতক’ (১৯৮৮), রচনাসমগ্র ‘গাথা সপ্তসতী’ (১৯৯৮)।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস:

‘হাংরাস’ (১৯৭৩), ‘কে কোথায় যায়’ (১৯৭৬), ‘অন্তরীপ বা হ্যানসেনের অসুখ’ (১৯৯০), ‘কাঁচা-পাকা’ (১৯৮৯), ‘কমরেড’, ‘কথা কও’। অনূদিত কথাসাহিত্য : ‘কত ক্ষুধা’ (১৯৫৩), ‘রুশ গল্প সঞ্চয়ন’ (১৯৬৩), 'ইভান দেনিসেভিচের জীবনের একদিন’, ‘তমস’(১৯৮৮)।

রিপোর্টার্জ, ভ্রমণকাহিনি, প্রবন্ধ ও আত্মজীবনী: ‘আমার বাংলা’ (১৯৫১), ‘ভূতের বেগার’ (১৯৫৪), 'যখন যেখানে (১৯৬৭), ‘ডাকবাংলার ডায়েরি’ (১৯৭২), ‘ভিয়েতনামে কিছুদিন’(১৯৭৪), ‘যেতে যেতে দেখা’, ‘ক্ষমা নেই’(১৯৭৮), ‘নারদের ডায়েরি’ (১৯৭৬), ‘আবার ডাকবাংলার ডাকে' (১৯৮১), 'অগ্নিকোণ থেকে ফিরে’ (১৯৮৪), ‘এখন এখানে’ (১৯৮৬), 'খোলা হাতে খোলা মনে (১৯৮৭), ‘ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন' (১৯৮৭), ‘কুড়িয়ে ছিটিয়ে (১৯৯০), ‘কবিতার বোঝাপড়া’(১৯৯৩), টানাপোড়েনের মাঝখানে (১৯৯৪), ‘ঢোলগোবিন্দের মনে ছিল এই’ (১৯৯৪)।

ছোটোদের জন্য লেখা বই: ‘অক্ষরে অক্ষরে'(১৯৫৪), ‘কথার কথা’ (১৯৫৫), ‘জগদীশচন্দ্র বসু’ (১৯৫৫), ‘বাঙালির ইতিহাস' (১৯৫৯), 'ইয়াসিনের কলকাতা’ (১৯৭৮), “মিউ-এর জন্য ছড়ানো ছিটানো’ (১৯৮০), ‘টো টো কোম্পানী’ (১৯৮৪), ‘রূপকথার ঝুড়ি (১৯৮৮), ‘জানো আর দ্যাখো জানোয়ার’ (১৯৯১) ইত্যাদি।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পুরস্কারলাভ:

‘যত দূরেই যাই’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে 'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার’ পান। এ ছাড়াও ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ‘জ্ঞানপীঠ’ এবং ওই বছরই ‘আনন্দ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি।লেখকের গদ্যলেখা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের গদ্যলেখায় মানবতাবাদের জয়গান ঘোষিত হয়েছে, আলোচিত হয়েছে সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট এবং গুরুত্ব পেয়েছে তাদের উপর সংঘটিত শোষণ অত্যাচারের কাহিনি। তাঁর গদ্যভাষা ঝরঝরে, গতিশীল। 

একটা গল্প বলার ভঙ্গি আছে সেখানে লেখকের বলা কথাগুলো ছবির মতো ভেসে ওঠে পাঠকের মনে। তাঁর রিপোর্টাজধর্মী লেখায় উঠে এসেছে গ্রামগঞ্জের নিখুঁত জীবনযাপনচিত্র, আঞ্চলিক সংস্কৃতি। সুগভীর  পর্যবেক্ষণ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা না থাকলে এইভাবে লেখা যায় না। আমার বাংলা' প্রবন্ধগ্রন্থে পাঠক তাঁকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। শুধুমাত্র কবি হিসেবেই নয়, একজন  খ্যাতিমান গদ্যকার হিসেবেও তিনি পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। 

জীবনাবসান: ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুলাই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয়। তাঁর অনুপস্থিতি বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। 

Biography of subhash mukhopadhyay in bengali. biography of subhash mukhopadhyay pdf. biography of subhash mukhopadhyay.

আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের` এই “Today GK Quiz, – Current Affairs in Bengali | বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams GK in Bengali)” পােস্টটি ভালো ভাবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই ভাবেই আমাদের –Today Gk All Exams এর পাশে থাকুন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সমস্ত বিষয়ের যেকোনো প্ৰশ্ন-এর উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ভান্ডারকে বৃদ্ধি করার জন্য অব্যশই ফলাে করতে পারেন, ধন্যবাদ।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.