প্রাচীন বাংলার ইতিহাস কি? | History of Bengal in ancient times| Mcq Question.
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস রচনায় উৎসের ভূমিকা অনকে। উৎস যত স্বচ্ছ, যৌক্তিক ও প্রায়োগিক ইতিহাস তত প্রাণবন্ত।প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠন একটি জটিল বিষয়, কারণ প্রাচীন বাংলার কোন ধারাবাহিক ইতিহাস প্রাচীন কালে রচিত হয়নি।যেসব সূত্রে ভিত্তিতে ইতিহাস রচিত হয় মূলত সেগুলোই ইতিহাসের উৎস।
সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করবো যে গুলি Student-এর বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams) যেমন:- পশ্চিমবঙ্গ স্টাফ সিলেকশন কমিশনের ক্লার্ক, ডব্লু.বি.সি.এস প্রিলিমিনারি, মিসলেনিয়াস সার্ভিসেস পরীক্ষা, কেন্দ্রীয় স্টাফ সিলেকশনের হায়ার সেকেন্ডারি ও গ্র্যাজুয়েট লেভেল গ্রুপ -ডি, রাজ্য ও কোলকাতা পুলিশ কনস্টবল পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রতিযােগিতামূলক চাকরীর পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা উপর ভিত্তি করে General Knowledge in Bengali, All Exams MCQ-নিয়ে এসেছি যে গুলি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস কি? | History of Bengal in ancient times| Mcq Question.
প্রঃ প্রাচীনকালে উত্তরবঙ্গের নাম কি ছিল?
উঃ পুন্ড্রবর্ধন; এর একটি অংশের নাম ছিল বরেন্দ্র।
প্রঃ প্রাচীন যুগে পশ্চিমবঙ্গ কটি অংশে বিভক্ত ছিল ও কি কি?
উঃ দুটি, রাঢ় ও তাম্রলিপ্ত।
প্রঃ প্রাচীন যুগে দক্ষিণবঙ্গ কি নামে পরিচিতি ছিল?
উঃ সমতট ও হরিকেল।
প্রঃ প্রাচীন যুগে পূর্ববঙ্গ কি নামে পরিচিতি ছিল?
উঃ বঙ্গালি।
1. বৈদিক যুগে কোন কোন গ্রন্থে বঙ্গদেশের পরিচয় পাওয়া যায় ?
Ans: ‘ঐতরেয় আরণ্য’ ও ‘মনুসংহিতা’ থেকে।
2. দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় বঙ্গের কোন্ কোন্ রাজা উপস্থিত ছিলেন?
Ans: বঙ্গরাজ সমুদ্র সেনের পুত্র চন্দ্র সেন, পৌদ্ভুরাজ বাসুদেব এবং তাম্রলিপ্তের রাজা।
3. কোন জৈন গ্রন্থে প্রাচীন বঙ্গের পরিচয় পাওয়া যায় ?
Ans: ‘আচারাঙ্গ সূত্র’ নামক গ্রন্থে।
4. কোন্ বৌদ্ধ গ্রন্ধে প্রাচীন বঙ্গের পরিচয় রয়েছে?
Ans: মঞ্জুশ্রী মুলকল্পে।
5. প্রাচীন গঙ্গারিডই রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল?
Ans: গঙ্গতীরবর্তী গঙ্গে।
6. স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার প্রথম রাজা কে ছিলেন?
Ans: গৌড়াধিপতি শশাঙ্ক৷
7. শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
Ans: কণসুবর্ণে।
8. শশাঙ্ক কবে বাংলায় স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন?
Ans: ৬০৬ খ্রীস্টাব্দে।
9. মাৎস্যন্যায়’ বলতে কি বােঝ?
Ans: শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার কোন কেন্দ্রীয় রাজশক্তি ছিল না।সমস্ত দেশ খন্ড খন্ড অংশে বিভক্ত ছিল। সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। পুকুরের বড় মাছ যেমন ছােট মাছকে গিলে খায়, তেমনি সবল ওধনী ব্যক্তিরা দুর্বল ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে গ্রাস করে ফেলত। বাংলার এই অবস্থাকে ঐতিহাসিকগণ মাৎস্যন্যায়’ নামে অভিহিত করেছেন।
10. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Ans: গােপাল।
11. পাল যুগে কোন বাঙালী পন্ডিত তিব্বতে গিয়েছিলেন ?
Ans: অতীশ দীপঙ্কর।
12 পাল যুগের দুজন বিখ্যাত শিল্পীর নাম কর?
Ans: বীতপাল ও ধীমান ।
13. কোন পাল রাজার আমলে কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল?
Ans: দ্বিতীয় মহীপালের আমলে।
14. পাল বংশের কতজন রাজা বাংলায় রাজত্ব করেন ?
Ans: ১৮জন।
15. বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Ans: সামন্ত সেন।
16. বাংলার কোন্ রাজা কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তন করেন?
Ans: বল সেন।
17. লক্ষ্মণ সেনের আমলে কোন্ তুর্কী সেনাপতি নদীয়া আক্রমণ করে?
Ans: ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী।
18. লক্ষন সেনের শ্রেষ্ঠ সভাকবি কে ছিলেন?
Ans: জয়দেব।
19. সুলতানী যুগে বাংলায় কোন্ কোন্ বংশ রাজত্ব করেছিল?
Ans: ইলিয়াসশাহী বংশ ও হুসেনশাহী বংশ।
20. বাংলার কোন সুলতানীর আমলে শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল?
Ans: হুসেন শাহের আমলে।
21. নুসরৎ শাহের আমলের দুটি শিল্পকীর্তির নাম কর?
Ans: গৌড়ের বড় সােনা মসজিদ ও কদম রসুল।
22. মুঘল যুগের বাংলার বারাে ভুইঞাদের নাম কর?
Ans: ১) যশােহরের প্রতাপাদিত্য, (২) শ্রীপুরের কেদার রায়, (৩) বিক্রম পুরের ঈশা খাঁ, (৪) দিনাজপুরের গণেশ ভাদুড়ী, (৫) ভূষাণার মুকুল রায়, (৬) চন্দ্রদ্বীপের কন্দর্প নারায়ণ, (৭) ভুলুয়ার লক্ষণ মাণিক্য, (৮) মহম্মদপুরের সীতারাম রায়, (৯) তাহেরপুরের কংস নারায়ণ, (১০) চাঁদপুরের চাদ গাজি, (১১) বিষ্ণুপুরের হাম্বীর মল্ল, (১২) ভাওয়ালের ফজল গাজি।
23. কার নামানুসারে মুর্শিদাবাদ-এর নামকরণ হয় ?
Ans: বাংলার শাসনকর্তা মুর্শিদ কুলী খাঁর নামানুসারে।
24. বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
Ans: সিরাজদ্দৌলা।
প্রাচীন বাংলার নদ-নদী:
বাংলার ইতিহাস ও জনজীবনের নদ- নদীর প্রভাব ব্যাপক। নদ-নদীর গতি প্রকৃতি ও ভাঙ্গা-গড়ার কারণে এদেশে যুগে যুগে পরিবর্তন ও উথান -পতন হয়েছে। নদী ভাঙ্গন ও নদীর গতি পরিবতৃনের কারণে যুগে যুগে বহু নগর - বন্দর ও জনপদ ধ্বংস হয়েছে এবং গড়ে ও উঠেচে।
(1) প্রাচীন বাংলার গঙ্গা নদী:
গঙ্গা বাংলার প্রদান নদীগুলোর অন্যতম একটি । গঙ্গা নদী রাজমহলের গিরিবর্ত ভেদ করে বাংলার সমতল ভূমিতে প্রবেশ করছে। মর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানায় অবস্থিত ছবঘটির নিকট গঙ্গা নদী ভাগীরথী ও পদ্ম নামে প্রধাণ দুটি জলধারায় হয়েছে।
ভাগীরথী সোজা দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমান কাটাওয়া ও কলকাতা পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগর পতিত হয়েছে ভাগীরথী নদীটি সমুদ্রে পতিত হওয়ার পুর্বে নদীটি হুগলি নাম ধারণ করেছে। এজন্য নদীটি ভাগীরথী-হুগলি নামে ও পরিচিত।
পদ্ম নদী পূর্ব -দাক্ষিনাভিমুখে অগ্রসর হয়ে চাদপুরের নিকট মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং মেঘনা নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।বর্তমান পদ্মাই গঙ্গার প্রধান ধারা তবে অতীতে ভাগীরথীই গঙ্গার প্রধান ধারা ছিল।
(2) প্রাচীন বাংলার ব্রহ্মপুত্র নদী:
বাংলার দ্বিতীয় প্রদান নদী ব্রহ্মপুত্র।তিব্বতের মানস সরোবর হতে উৎপন্ন হয়ে আসামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী বংপুর ও কুচবিহারের সীমান্ত দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছেন । বুহ্মপুত্রের িএ প্রবাহ শেরপুর জামালপুর ও ময়মনসিংহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কিশোরগজ্ঞ জেলার ভৈরব বাজারের নিকট মেঘালয় মিলিত হয়েছে আসামের ব্রহ্মপুত্র প্রাচীনকালের লৌহিত্য নামে পরিচিত।
(3) প্রাচীন বাংলার মেঘনা নদী:
বাংলার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে প্রবাহিত প্রধান নদী মেঘনা । তবে পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের তুলনায় মেঘনা ছোট।প্রকৃত পক্ষে সুমা নদীরই দক্ষিন প্রবাহের নাম মেঘনা । মেঘনার নদীর উৎপত্তি খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড়ে।পদ্মা নদী চাদপুর মেঘনা নাম ধারন করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।বহ্মপুত্র নদী কিশোরগঞ্চ জেলার ভৈরব বাজারের নিকট মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। গ্রিক -ভূগোলবিদ টরেমি এ মেঘনাকে মেগা নামে অবিহিত করেছিলেন।সুরমা-মেঘনা নদীই উপমহাদেশের সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকার জল- নিস্কামন করে ।
(4) প্রাচীন বাংলার তিস্তা নদী:
তিস্তা বলা হয় ত্রিস্রোতা । তিস্তা নদীটি জলপাইগুড়ির নিকট দিয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে তিনটি ভিন্ন জলধারা করা হয়। পূর্বে করতোয়,পশ্চিমে পুনর্ভবা এবং মধ্যে আত্রাই নদী । এই তিনটি স্রোত । এককালে এই করতোয়া নদীর তীরেই প্রাচীন নগরী পুন্ড্রবর্ধনের জনপদ অবস্থান ছিল ।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....