Type Here to Get Search Results !

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কীভাবে হয় | Cyclone India| Cyclone Named.

কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয় | Cyclone India| Cyclone Named.

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কীভাবে হয় | Cyclone India| Cyclone Named.

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কীভাবে হয় | Cyclone India| Cyclone Named.ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রতি ঘন্টায় ৩৪ নটিকাল মাইলের বেশি হয়, তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের একটি বিশেষ..

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কীভাবে হয় | Cyclone India| Cyclone Named.

কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়: বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় (ডাব্লিউএমও বা ইএসসিএপি)। এক সময় ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো।

যদি ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রতি ঘন্টায় ৩৪ নটিকাল মাইলের বেশি হয়, তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের একটি বিশেষ নাম দেওয়া দরকার।যদি ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৭৪ মাইলে পৌছে যায় বা অতিক্রম করে যায়, তবে তা হারিকেন/ঘূর্ণিঝড় টাইফুনের শ্রেণিবদ্ধ করা হয়

উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের বেশিরভাগ নাম মানুষের নামে নয়।যদিও কিছু নাম পুরুষ ও মহিলার নামে দেওয়া হয়েছে। তবে, বেশিরভাগ নাম ফুল, প্রাণী, পাখি, গাছ ও খাবার জিনিস ইত্যাদির ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড মেটেওরােলজিক্যাল ওয়েদার অর্গানাইজেশন’ ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সােশ্যাল কমিশন’ এশিয়া প্যাসিফিকের জন্য ২০০০ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে।ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ৮টি দেশ (ভারত, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, ওমান, মায়ানমার,শ্রীলঙ্কা, পাইস্তান ওতাইল্যান্ড) ভারতের উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে। ঘূর্ণিকুড়ের নাম দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।

প্রত্যেক দেশ ৮টি করে নাম পাঠায়। নয়াদিল্লির ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সেন্টারে।। অর্থাৎ, মােট ৬৪টি নাম জমা পড়ে।একসময় ঘূর্ণিঝড়কে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে শনাক্ত শ্রা হত। কিন্তু সেসব নম্বর সাবার। মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হত ফলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া ও মানুষকে সতর্ক করা কঠিন হত। সেজন্য ২০০৪ সাল থেকে। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণকারী সংস্থা গুলি কি কি?| Cyclone India| Cyclone Named.

বিশ্বব্যাপী মোট ১১ টি সংস্থা (৬ টি রিজিয়নাল স্পেশালাইজড মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার – RSMC এবং ৫ টি রিজিয়নাল ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার – TCWC) ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে। ৬ টি RSMC এর মধ্যে একটি হল ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (World Meteorological Organisation – WMO) এবং ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক-এর (United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific – ESCAP) সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।

কোন কোন দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে?

বঙ্গোপসাগর (Bay of Bengal) ও আরব সাগর (Arabian Sea) সহ উত্তর ভারত মহাসাগরে (North Indian Ocean) উৎপত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে ১৩ টি (২০০৪ সাল থেকে ছিল ৮ টি, ২০১৮ সালে আরও ৫ টি দেশ যুক্ত হয়) দেশের সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটি। প্রথম ৮ টি দেশ হল বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। পরে যুক্ত হওয়া ৫ টি দেশ হল ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন।

২০ মে ২০২০: এদিন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন উপকূলে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলােমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্মান’ আছড়ে পড়ে। কখনাে কখনাে ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলােমিটারও হয়। এই ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাইল্যান্ড এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে।

‘আম্ফান’ কথার অর্থ আকাশ। ঘূর্ণিঝড়ের চোখ আর লেজ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই এর আসল ভয়াবহতা টের পাওয়া যায়। ঝড়ের চোখের বিস্তার ছিল ৪০ কিলােমিটার। ১৯৯৯ সালের ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটি ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড়নার্গিস আর ২০০৯ সালের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়া ‘আয়লার ক্ষয়ক্ষতিকে ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে রেকর্ডকরা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড়।

ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্বাচনের একাধিক শর্ত আছে।শর্তগুলি হল 

  • প্রস্তাবিত নামগুলি যেন কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয়।
  • নাম এমনভাবে পছন্দ করা হবে যেন পৃথিবীর কোন জনগোষ্ঠীর ভাবনায় আঘাত না করে।নামের মধ্যে রুক্ষতা এবং নির্মমতা যেন খুব বেশি প্রকাশিত না হয়।
  • সহজে উচ্চারণ করা যায় অথচ সংক্ষিপ্ত এমন নাম হতে হবে।নামে সর্বোচ্চ আটটি বর্ণ থাকবে।প্রস্তাবিত নামের সঙ্গে উচ্চারণ নির্দেশিকা দিতে হবে।
  • উত্তর ভারত মহাসাগরে উৎপত্তি হওয়া সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের নামগুলির যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।WMO/ESCAP PTC (প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন) তে থাকা সমস্ত দেশের কাছ থেকে ঝড়ের প্রস্তাবিত নাম জানতে চাওয়া হয়। 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত হয় এবং নামের তালিকা তৈরি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে সেই তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়া হয়।ভারতের ক্ষেত্রে জনসাধারণের কাছ থেকে সাইক্লোনের প্রস্তাবিত নাম কী হবে তা জানতে চাওয়া হয়। পরে ঐ নামগুলি ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) চূড়ান্ত করে PTC কে জানায়।

Today Gk All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.