Type Here to Get Search Results !

ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে এবং কোন সময়? সম্পূর্ণ তথ্য। 2023

ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে এবং কোন সময়? সম্পূর্ণ তথ্য। 2023
ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে এবং কোন সময়? সম্পূর্ণ তথ্য। 2023

ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে এবং কোন সময়? সম্পূর্ণ তথ্য। 2023

ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে এবং কোন সময়? সম্পূর্ণ তথ্য। ২০২৩ ভাই ফোঁটার তারিখ ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে, ২০২৩ ভাই ফোঁটা ক্যালেন্ডার। জেনে নিন ভাই ফোঁটা ২০২৩ তে কখন হবে

ভাই ফোঁটা - ভাই ফোঁটা হিন্দু ধর্মের একটি উৎসব যা ভাই আর বনেদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে থাকে। ভাই ফোটা আবার ভাতৃ দ্বিতীয়া, ভাই দ্বিতীয়া নামেও জানা যায়৷ এই দিন বোন উপোস করে তার ভাইয়ের কপালে চন্দনের টিকা লাগিয়ে তার দীর্ঘ আয়ু এবং সুখি জীবনের জন্য ঈশ্বরের কাছে কামনা করে, আর ভাই তার বোনকে অনেক উপহার দেয় এবং সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ভাই ফোঁটা কার্তিক মাসে কালী পূজার দুই দিন পর হয়, কখনো কখনো তিথির হিসাবে দিনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। ইংরাজি ক্যালেন্ডারের হিসাবে ভাই ফোঁটা অক্টোবর-নভেম্বর মাসে হয়। ভাই বোনের এই উৎসব শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয় সমস্ত দেশ জুড়ে বিভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করা হয়।

ভাই ফোঁটা বা ভাই দ্বিতীয়: বোন যখন ভাইকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতে ভগবান বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তেমন ভাই ও তার বোনকে সমস্ত বিপদ থেকে সুরক্ষিত রাখা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে এবং ভাইফোঁটা হওয়ার পর ভাই তাকে নানান উপহার দিয়ে থাকে। এই উৎসবটি পালন করার জন্য ভাই এবং বোন উভয়কেই উপোস করে থাকতে হয়। ভাইফোঁটা কখন হবে? কত তারিখে হবে? কোন তিথিতে হবে কোন সময় থেকে কোন সময়ের মধ্যে হবে, বিস্তারিত নিচে রইলো।


ভাই ফোঁটা কবে, কোন তিথিতে হবে ?

ভাই ফোঁটা কবে? কোন তিথিতে হবে? এবং কোন সময় হবে? সকল প্রশ্নের উত্তর হলো- বাঙালী পঞ্জিকা অনুসারে ২৮ কার্তিক ১৪৩০ সাল বুধবার, তিথি: দ্বিতীয়া দিবা ঘ ১।৫৬ মিনিটঅর্থাৎ: মঙ্গলবার ২।৩১মিনিটে দ্বিতীয়া শুরু হয়ে যাবে কিন্তু ভাইয়ের কপালে ফোঁটা হবে ২৮ কার্তিক ১৪৩০ সাল বুধবার, তিথি: দ্বিতীয়া দিবা ঘ ১।৫৬ মিনিট এর মধ্যে। 

এই পোস্টি ভালোলাগলে অবশ্য কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন, ধ্যন্যবাদ।


ভাই ফোঁটা কেন পালন করা হয়:

কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রা এবং যমুনা ও যম এর  কাহিনী অনুকরণে পৃথিবীবাসী হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ভাই-বোন এদের বন্ধন এর পবিত্র উৎসব ভাইফোঁটা পালন করে।

তবে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রার তুলনায় যম ও যমুনার তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব পাওয়া যায়, ও যমুনার ভাইফোঁটার কাহিনীতে যমুনাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রতি বছর কার্তিক মাসের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যমুনার কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার জন্য যম যমুনার বাড়িতে আসেন।

তাছাড়া যম পুরীর মৃত্যুর দেবতা তিনি পৃথিবী থেকে জীবের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যান। তাই ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বোনেরা ভাইদের কপালে ভাইফোঁটা (Bhai Phonta) দিয়ে ভাই ফোটার মন্ত্র পড়ে এই বলে যে,


“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,

যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।

যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,

আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥

যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।

আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”


ভাইফোঁটার মধ্যে তাৎপর্য এইযে ভাইফোঁটার দিন যম যমুনার বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে আসে। তখন পৃথিবীতে বসবাসকারী বোনেরা তাদের ভাইদের মঙ্গলকামনায় যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে  দেয়। যাতে করে যমরাজ যমলোকে জীবকুল থেকে ভাইদের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যেতে না পারে।

এভাবেই বহুদিন ধরে বোনেরা তাদের দাদা ও ভাইদের মঙ্গলকামনায় ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যম দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইদের প্রান নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য যম দুয়ারে যমপুরীর প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.