Type Here to Get Search Results !

Job Card কি?| জবকার্ডের উদ্দেশ্য | জবকার্ড কিভাবে পাবে?

Job Card কি?| জবকার্ডের উদ্দেশ্য | জবকার্ড কিভাবে পাবে?| Job Card| Full information.


Table of Contents(toc)

Job Card কি? জবকার্ডের উদ্দেশ্য কি? জবকার্ড কিভাবে পাবে? What is a Job card? How to get a job card?

জবকার্ড কি? জবকার্ডের উদ্দেশ্, জবকার্ড কিভাবে পাবে? জবকার্ড সম্পর্কিত ভুল ধারণা, জবকার্ড সম্পর্কিত সঠিক ধারণা এবং Job card-সকল প্রশ্নের উত্তর এখানে ...

Job Card কি?| জবকার্ডের উদ্দেশ্য| জবকার্ড কিভাবে পাবে?

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন, ২০০৫.চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক গ্রামীণ পরিবারকে বছরে ১০০দিনের অদক্ষ শ্রমিকের কাজ দেওয়ার আইনি গ্যারান্টি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন২০০৫ পাশ করেন।

জবকার্ডের ভূমিকা (Job card):

চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক গ্রামীণ পরিবারকে বছরে ১০০ দিনের অদক্ষ শ্রমিকের কাজ দেওয়ার আইনি গ্যারান্টি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন, ২০০৫ পাশ করেন। এই প্রথম কোনাে কর্মসংস্থান প্রকল্পে কাজ দেওয়ার ও কাজ দিতে না পারলে বেকারভাতা দেওয়ার আইনি গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ৪নং ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে তৈরী করেছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্প, ২০০৬।

জবকার্ড কি?| What is Job card?

1.জব কার্ড আপনার কাজ পাওয়ার অধিকারের প্রমাণপত্র। 
2.আবেদন পত্র যাচাই (মূলত বয়স ও বাসস্থানের ভিত্তিতে)করে ১৫ দিনের মধ্যে জব কার্ড দিতে হবে।
3. প্রতি পরিবারের জন্য একটি করে জব কার্ড দিতে হবে।
4.জবকার্ড পাঁচ বছর চালু থাকবে।

জবকার্ডের উদ্দেশ্য কি?| What is the purpose of job card?

১। যেসব গ্রামীণ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা অদক্ষ কায়িক শ্রম করতে ইচ্ছুক, সেইরকম প্রত্যেক পরিবারকে প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী বছরে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া। 
২। গ্রামীণ এলাকায় স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা। 
৩। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র জনসাধারণের জীবিকা অর্জনের জন্য প্রয়ােজনীয় সুযােগের ভিত্তিগুলিকে আরও শক্তিশালীকরা।

জবকার্ড কিভাবে পাবে?| How to get a job card?

আপনাকেকিকরতে হবে:

1.জব কার্ড পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম (ফর্ম-১) গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দরখাস্ত করতে হবে, ফম গ্রাম পঞ্চায়েতে পাওয়া যাবে। 
2. সেই ফর্মে পরিবারের যতজন কাজ চান,সবার নাম লিখতে হবে।
3.ফর্মের নিচের অংশটি রসিদ, ফর্ম জমা দেবার সময় সেটি পঞ্চায়েত স্ট্যাম্প মেরে ফেরৎ দেবে। 
4. পরিবারের কোন সংযােজন বা বিয়ােজন হলে তা আলাদা করে জানাতে হবে (ফর্ম-১ক)। 
5. নির্দিষ্ট ফর্ম পাওয়া না গেলে একই ধাঁচে সাদা কাগজে দরখাস্ত করা যাবে,ফর্মের ফটোকপিও ব্যবহার করা যাবে।

কিভাবে জব কার্ড দিয়ে কাজ পেতে পারি?|How do I get a job with a job card?

1.জব কার্ড পাওয়ার পর তার নং উল্লেখ করে কাজ চেয়ে দরখাস্ত করতে হবে (ফর্ম-৪ক)
2.গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ৪ক ফর্মে দরখাস্ত জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে কাজ দিতে হবে। 
3.বাড়ীর ৫ কি.মি. মধ্যে কাজ দিতে হবে, দূরত্ব বেশী হলে মজুরী শতকরা ১০ শতাং অতিরিক্ত দিতে হবে। 
4.কম পক্ষে এক তৃতীয়াংশ মহিলাকে কাজ দিতে হবে। 
5.কখন কোথায় কাজের জন্য উপস্থিত হতে হবে, প্রার্থীকে গ্রাম পঞ্চায়েত তা লিখিতভাবে জানাবে (ফর্ম-৪খ)

কাজ করানাের শর্ত।| Job Cards Working conditions.


1. কোন অবস্থাতেই ঠিকাদার নিয়ােগ করা যাবে না। 
2. অপরিহার্য না বলে যন্ত্রের ব্যবহার করা যাবে না।
3. প্রকল্পের মধ্যে উপকরণের খরচা ৪০ শতাংশ বা এর কম হবে, অদক্ষ শ্রমের অংশ ৬০ শতাংশ বা তার বেশী হবে। 
4. প্রতিবন্ধীদের পক্ষে সম্ভব এমন কাজ দিতে হবে।

জবকার্ড সম্পর্কিত ভুল ধারণা|Job card misconceptions:

1) কেবলমাত্র বি. পি. এল. পরিবারগুলি ১০০ দিন কাজ পাবে৷

2) দরখাস্ত করার ফর্ম ফুরিয়ে গেছে, বা কম আছে তাই সবাইকে দেওয়া যাবেনা।

3) দরখাস্ত করার শেষ তারিখ আছে, তার পরে আর দরখাস্ত করা যাবে না।

4) দরখাস্ত ফর্মটি পুরােটাই জমা পড়বে৷

5) দরখাস্তের সঙ্গে নিজের খরচায় ছবি তুলে দিতে হবে৷

6) একটি পরিবারের প্রত্যেকে আলাদা জবকার্ড পাবে৷

7) একটি পরিবারে পাঁচজন কাজ করার লােক থাকলে 500 দিন কাজ পাওয়া যাবে।

8) দরখাস্ত করলেই কাজ পাওয়া যাবে৷ কাজ না করলে বেকারভাতা পাওয়া যাবে৷

10) ফর্ম পয়সা দিয়ে কিনতে হবে৷

11) কাজের তালিকা পঞ্চায়েত বানাবে৷

12) কর্মসূচী রূপায়ণের জন্য বেনিফিসিয়ারী কমিটি বানাতে হবে৷

জবকার্ড সম্পর্কিত সঠিক ধারণা|Job card correct idea:

1) বি.পি.এল., এ.পি.এল সব পরিবারই সমান কাজ পাবে, যে এখন কোন কাজ করছে, সেও চাইলে কাজ পাবে।

2) দরখাস্ত ফর্ম কম থাকলে ফটোকপি করে বা সাদা কাগজে ফর্মের বয়ান লিখেও দরখাস্ত করা যাবে, পাইকারি হারে দরখাস্ত ছাপিয়েও নেওয়া যেতে পারে।

3) দরখাস্ত করার কোন শেষ তারিখ নেই, সারা বছর দরখাস্ত করা যাবে, যার যখন ১৮ বছর বয়স হবে তখনই সে দরখাস্ত করতে পারবে।

4) দরখাস্ত ফর্মের নিচের অংশটি দরখাস্তকারীর রসিদ, সেটি স্ট্যাম্প মেরে পঞ্চায়েত তখনি ফেরত দেবে। সেটি দরখাস্তকারীর কাছে থাকবে।

5) ছবি তােলার খরচা পঞ্চায়েতের। দরখাস্ত জমা পড়ার পর একসঙ্গে নির্দিষ্ট তারিখে এবার ছবি তােলা হবে।

6) একটি পরিবারের একটি জব কার্ড হবে, তারমধ্যে সবার নাম থাকবে। দরখাস্ত করার ১৫ দিনের মধ্যে জবকার্ড দিতে হবে।

7) একটি পরিবারে সবাই মিলে মােট ১০০ দিন কাজ পাওয়া যাবে।

8) দরখাস্ত করলে জব কার্ড পাওয়া যাবে। তারপর কাজ চেয়ে আলাদা দরখাস্ত করতে হবে। সেই দরখাস্তের ১৪ দিনের মধ্যে কাজ দিতে হবে।

9) কাজ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজে যােগ দেননি সেক্ষেত্রে বেকারভাতা বা মজুরি কোনটাই পাওয়া যাবেনা।

10) ফর্মবিনা পয়সায় পাওয়া যাবে।বিক্রি করা যাবেনা।

11) কাজের তালিকা বানাবে গ্রাম সংসদ। গ্রাম সংসদ সভা ডাকতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের তালিকাও সেই বিশেষ গ্রাম সংসদে জানাতে হবে। গ্রাম উন্নয়ন সমিতি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কাজের খসড়া তালিকা বানাবেও তা গ্রাম সংসদে পেশ করবে।

12) গ্রাম উন্নয়ন সমিতিই এখন সব কাজের বেনিফিসিয়ারী কমিটি। সমিতির দু-চারজন নয়, পুরাে সমিতিটাই এখন বেনিফিসিয়ারী কমিটির কাজ করবে। তাই গ্রাম উন্নয়ন সমিতির এ ব্যাপারে সব নিয়মকানুন জানা দরকার। 

Government website- nrega.nic.in

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য  সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.