Type Here to Get Search Results !

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী| Biography of Ashapurna Devi.

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী| Biography of Ashapurna Devi.
Table Of Content(toc)

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী|  Biography Of Ashapurna Devi.

Biography Of Ashapurna Devi-কোথায় জন্ম গ্রহণ, পিতামাতা ও স্বামী, তার শৈশব জীবন সম্পর্কে, শিক্ষাজীবন সম্পর্কে ও বৈবাহিক জীবন কেমন ছিলি তাঁর সম্পর্কে...

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী| আশাপূর্ণা দেবী ছদ্মনাম| আশাপূর্ণা দেবীর বিখ্যাত উপন্যাসের নাম| আশাপূর্ণা দেবী রচনাবলী pdf| আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাসের নাম| বাংলা সাহিত্যে আশাপূর্ণা দেবীর অবদান| আশাপূর্ণা দেবীর 'সুবর্ণলতা' কোন্ গোত্রের উপন্যাস ? এই উপন্যাসের তিনটি চরিত্রের নাম লেখো।| আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম উপন্যাস কোনটি| আশাপূর্ণা দেবীর ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য|

Today Gk All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য   সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

আজ আমরা আলোচনা করবো আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী নিয়ে।এবং তার সাথে আমরা জানবো আশাপূর্ণা দেবীর, কোথায় জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন, পিতামাতা ও স্বামী, তার শৈশব জীবন সম্পর্কে, শিক্ষাজীবন সম্পর্কে ও বৈবাহিক জীবন কেমন ছিলি তাঁর সম্পর্কে। এবং আমরা জন্য তাঁর সাহিত্য জীবন, তাঁর  গুরুত্ব পূর্ণ সাহিত্য রচনা, তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাস, তাঁর নানা প্রাপ্ত সন্মান ও পুরস্কার সম্পর্কে।

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী| Ashapurna Devi Biography |Ashapurna Devi Biography in Bengali, 

নাম (Name) আশাপূর্ণা দেবী (Ashapurna Debi)
জন্ম (Birthday) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার পটলডাঙায়,মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।(She was born on 8 January 1909, Pataldanga, North Calcutta.)
Guardian/ পিতা ও মাতা: হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত (বাবা), সরলাসুন্দরী দেবী (মা)
স্বামীর নাম: কালিদাস গুপ্ত।
পেশা (Career) কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, নাট্যকর
প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ:  রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার,‘পদ্মশ্রী', ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’-ও লাভ করেন।
উলেখযোগ্য রচনা: প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘বকুলকথা’, ‘বালির নীচে ঢেউ’, ‘শশীবাবুর সংসার’, ‘বলয়গ্রাস’।
কোন কোন ভাষায় অনুবাদ: ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, অসমিয়া, ওড়িয়া, মারাঠি, মালয়ালম, তামিল, গুজরাটি প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
মৃত্যু (Death) ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই আশাপূর্ণা দেবীর জীবনাবসান হয়।

আশাপূর্ণা দেবীর জীবনী। Ashapurna Devi Biography in Bengali 

 আশাপূর্ণা দেবীর  জন্ম ও বংশকথা 

বিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার পটল-ডাঙায়, মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত, মা-সরলাসুন্দরী দেবী।পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত তারা বৃন্দাবন বসু লেনে থাকতেন, পরে আপার সার্কুলার রােডে চলে আসেন। লেখিকাদের আদি নিবাস ছিল হুগলির বেগমপুর গ্রামে। পরে সেখান থেকে এসে কলকাতার বৃন্দাবন বসু লেনে।বস-বাস শুরু করেন। তখন তাদের যৌথ পরিবার আর এই পরিবারের সামগ্রিক কর্তৃত্ব ঠাকুরমা নিস্তারিণী দেবীর হাতে ছিল—পরিবারের ভিতর যার দাপট ছিল অবিসংবাদী।

আশাপূর্ণা দেবীর  শৈশবকথা বা জীবন। Ashapurna Devi Biography

বৃন্দাবন বসু লেনের যৌথ পরিবারে আশাপূর্ণা দেবী বছর পাঁচেক ছিলেন। সেখানে ঠাকুরমার কঠোর শাসনে বিদ্যায়তনিক বাল্যশিক্ষা না-পেলেও পড়াশােনায় ও জ্ঞান অর্জনে বাধা ছিল। মায়ের তত্ত্বাবধানে ও বাড়ির সুস্থ পরিবেশে শিল্প ও সাহিত্যের সুন্দর বাতাবরণের মধ্যে তিনি বড়াে হয়ে ওঠেন।বৃন্দাবন লেন থেকে আপার সার্কুলার রােডে আসবার পর তাঁর  স্কুলে যেতে বাধা না-থাকলেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

 শৈশবের কথা বলতে গিয়ে লেখিকা নিজেই জানিয়েছেন- “উত্তর  কলকাতার একটি সরু গলির ধারে অতি মাঝারি একটি পুরােনাে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে আমার ছেলেবেলাটি আছে বন্দি হয়ে। স্মৃতিকে ঠেলতে ঠেলতে যে শেষপ্রান্তে গিয়ে পৌছােননা যাচ্ছে, সেখানে চোখের ওপর ভেসে উঠছে বছর তিনেকের একটা, সেকালের ভাষায়, পাথরকুচির মতাে মেয়ে।”

ছেলেবেলায় তিনি বেশ দস্যি ছিলেন। দাদাদের সঙ্গে সমান তালে ঘুড়ি ওড়াতেন, মারবেল খেলতেন, ক্যারাম পেটাতেন। এ ছাড়া মাটি ও কাঠ দিয়ে পুতুল, ঘরবাড়ি ও বানানাে ছিল তার অন্যতম পছন্দের কাজ। আর-একটি তাঁর অত্যন্ত প্রিয় বিষয় ছিল কবিতার পর কবিতা মুখস্থ করা। তার নিজের কথায় —“খেলার দাপটে, আইডিনের শিশি দু-চার দিনে খতম, হাত-পায়ের কোনাে স্থানে না কোনাে থানে ছেড়া ন্যাকড়ার ব্যান্ডেজ বাঁধাই আছে। চলতি নাম দস্যি! পাহাড়ে’ ডাকাত।”

আশাপূর্ণা দেবীর  শিক্ষাজীবন। Ashapurna Devi's educational life.

ঠাকুরমা নিস্তারিণী দেবীর কর্তৃত্বে গুপ্ত পরিবারে নারীশিক্ষায় বাধা ছিল। তবে শিক্ষিত হয়ে ওঠার পথে সংকীর্ণ এই বাধাকে তিনি দূর করেন।তার বাবা ছিলেন শিল্পী মানুষ–সি ল্যাজারাস কোম্পানির ডিজাইনার একজন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট।

মা-ও ছিলেন বিদূষী মহিলা। তাই প্রথাগত শিক্ষার পথ রুদ্ধ থাকলেও শিক্ষার্জনের রাস্তা আশাপূর্ণা দেবীর কাছে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিল। ছােট্ট আশাপূর্ণাকে তাঁর মা জানালার ওপর হাতে বই গুঁজে দিয়ে বসিয়ে রাখতেন। দাদারা যখন পড়তে বসতেন, তখন উলটো দিকে বসে তিনি অক্ষর পরিচয় লাভ করেন। বাড়ির আলমারি ভরতি ছিল মধুসূদন, হেমচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, মানিক, তারাশংকর-সহ অনেকের রচনায়। 

বাড়িতে আসত ভারতবর্ষ, প্রবাসী, মানসী, মর্মবাণী, সাধনা, বঙ্গদর্শন, সবুজ পত্র, বালক, বসুমতী, সন্দেশ, শিশুসাথী-সহ প্রায় ষােলাে-সতেরােটি পত্রপত্রিকা। তা ছাড়া তাঁর মা ছিলেন একাধিক লাইব্রেরির সদস্যা। ফলে তাঁদের বাড়ি ছিল সেকালের সমস্ত প্রসিদ্ধ গ্রন্থের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। এই অনুকূল পরিবেশে মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই আশাপূর্ণা পাঠ্য, অপাঠ্য, সুপাঠ্য নির্বিশেষে পুরােদমে পড়া শুরু করেন। এই শিক্ষাজীবন সম্পর্কে আশাপূর্ণা দেবী বলেন- “হিসেবমতাে আমার ছেলেবেলাটা কেটেছে সংসার-ঊর্ধ্বের একটি স্বর্গীয় জগতে। বই পড়াই ছিল দৈনিক জীবনের আসল কাজ।”

আশাপূর্ণা দেবীর বৈবাহিক জীবন। The married life of the hopeful goddess.

পনেরাে বছর বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। স্বামীর নাম কালিদাস গুপ্ত। তিনি ছিলেন কৃয়নগরের অধিবাসী ও ব্যাংক-এর কর্মচারী। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে বিবাহের পর আশাপূর্ণা কৃয়নগরে চলে আসেন কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে বইপত্রের বড়াে অভাব থাকায় বৈবাহিক জীবনে সাংসারিক কাজকর্ম সেরে যতটুকু সময় মিলত তা কিছুতেই যেন কাটতে চাইত না। তাঁর স্বামী ছিলেন উদারচেতা, তাই স্ত্রীর সমস্যা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।

দু-বছর এভাবে কাটে। তারপর স্বামীর কর্মস্থল বদলে যায়। তারা চলে আসেন কলকাতায়।১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ভবানীপুরে বাড়ি ভাড়া নেন। আশাপূর্ণা দেবী এরপর নতুন উদ্যমে নিজেকে লেখালেখির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন।১৯২৬-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিন সন্তানের জননী হয়ে ওঠেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে পুষ্পরেণু আর দুই ছেলে প্রশান্ত ও সুশান্ত। ১৯৩০-১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্বামী পূর্ণানন্দের কাছে দীক্ষা নেন।

আশাপূর্ণা দেবীর  সাহিত্যজীবন। Literary life of Ashapurna Devi.

সাহিত্যপাঠ আশাপূর্ণা দেবীর কাছে ছিল আনন্দপাঠ। এই পাঠ করতে করতে তিনি নিজেই এক সময় লেখার তাগিদ অনুভব করেন। গােপনে একটি কবিতা লিখে শিশুসাথী পত্রিকায় পাঠিয়ে দেন। কবিতাটির নাম ‘বাইরের ডাক'। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রকাশিতও হয়। আশাপূর্ণা দেবীর লেখা প্রথম গল্পের নাম ‘পাশাপাশি। গল্পটি ছােটোদের জন্য লেখা এটিও শিশুসাথী পত্রিকায় ছাপা হয়। তারপর থেকে আজীবন  তিনি সমানভাবে লিখে গিয়েছেন।

১৯২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আশাপূর্ণা দেবী বড়ােদের জন্য লেখা স্থগিত রাখেন। গুরুজনেরা কী ভাববেন তাই নিয়ে লেখিকার মনে প্রবল দ্বিধা ছিল। শেষে দ্বিধা দ্বন্দ্ব সরিয়ে তিনি  লিখলেন  ‘পত্নী ও প্রেয়সী’ গল্পটি। বড়ােদের জন্য লেখা এটিই তাঁর প্রথম গল্প। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ছােটোদের জন্য লেখা গল্প সংকলন। তারপর ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে বেরােয় বড়ােদের জন্য ছােটোগল্পের সংকলন ‘জল আর আগুন’। 

আশাপূর্ণার লেখা প্রথম বড়ােদের উপন্যাস হল ‘প্রেমও প্রয়ােজন। প্রকাশকাল ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর সমগ্র সাহিত্যসৃষ্টিকে প্রধান তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়— ১ শিশু-কিশাের সাহিত্য, ২) ছােটোগল্প ও ৩) উপন্যাস। এ ছাড়া আশাপূর্ণা দেবীর লেখা বেশ কিছু অনুবাদগ্রন্থও আছে।

আশাপূর্ণা দেবীর  সাহিত্যসম্ভার বা রচনা গুলি। Ashapurna Devi's composition shots.

মূলত গল্প ও উপন্যাসই ছিল তাঁর প্রধান সৃষ্টি। আশাপূর্ণা দেবীর লেখা বিখ্যাত কিছু ছােটোগল্পগ্রন্থ হল ‘মনের সুখ, ‘ভুল ট্রেনে উঠে’, ‘নষ্টকোষ্ঠী’, ‘কখনও কাছে কখনও দূরে, ‘সজারুর মামা ইত্যাদি। 

আশাপূর্ণা দেবীর গল্প সংকলন: গ্রন্থ তিরিশটির মতাে। কয়েকটি বিখ্যাত গল্প হল- ‘উদ্বাস্তু, ‘পাকাঘর’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘কারও পৌষ মাস’, ‘পদাতিক’, ‘স্নেহ, ‘অঙ্গার’, ‘আদর্শবাদ’, ‘মহুয়া’, ‘মাদল’, ‘ইস্পাতের পাত’, ‘ঘুষ’, ‘স্মৃতির অতলে’, ‘ক্যাকটাস’, ‘অজানিত’, ‘অপরাধ’, ‘অবিনশ্বর’, ‘সমাধান’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘হাতিয়ার’, ‘বৈরাগ্যের রং, ইজ্জত’ ইত্যাদি। 

তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাস: ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘বকুলকথা’, ‘বালির নীচে ঢেউ’, ‘শশীবাবুর সংসার’, ‘বলয়গ্রাস’। এ ছাড়াও অন্যান্য কিছু উপন্যাস হল- ‘মিত্তির বাড়ি’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘কল্যাণ’, ‘নির্জন পৃথিবী, ‘অতিক্রান্ত’, ‘উন্মােচন’, ‘নেপথ্য নায়িকা’, ‘যােগবিয়োেগ’, ‘নবজন্ম’, ‘উত্তরলিপি’, ‘সমুদ্রসাথী’, ‘জীবনস্বাদ’, ‘মুখর রাত্রি, লঘু ত্রিবাদী ইত্যাদি। সবমিলিয়ে আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাস প্রায় দুশাের কাছাকাছি। 

এ ছাড়াও ছােটোদের জন্য তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ৪৭ টি, অন্যান্য সংকলনগ্রন্থ ২৫টি এবং অনুবাদের সংখ্যা ৬৩টি তার কাহিনির ওপর ভিত্তি করে প্রায় ২৪টির মতাে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। 

আশাপূর্ণা দেবী  প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ বা সম্মান ও পুরস্কার।Honors and rewards received by Ashapurna Devi.

আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সৃষ্টিসমূহ ও কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বিবিধ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রতিশ্রুতি’ উপন্যাসের জন্য পান পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘পদ্মশ্রী', ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন। এর আগে যুগান্তর পত্রিকার তরফ থেকে মতিলাল ঘােষ পুরস্কার’ (১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে), কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘লীলাবতী পুরস্কার (১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে) ও ‘ভুবনমােহিনী স্বর্ণপদক’ (১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে) প্রাপ্ত হন।

১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হরনাথ ঘােষ পদক, ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে শরৎ সমিতি থেকে শরৎ পুরস্কার’, বিশ্বভারতী থেকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি-সহ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’-ও লাভ করেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে শিশুসাহিত্য পরিষদ তাঁকে ‘ভুবনেশ্বরী পদক দিয়ে সম্মানিত করে। এসব ছাড়াও কলিকাতা, জব্বলপুর, বর্ধমান ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করেন।

আশাপূর্ণা দেবীর শেষজীবন বা জীবনাবসান। The last life of the hopeful goddess.

আশাপূর্ণা দেবী দীর্ঘায়ু ছিলেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই আশাপূর্ণা দেবীর জীবনাবসান হয়। মৃত্যুর দু-তিন মাস আগেও তিনি অনর্গল কলম চালিয়েছেন। তাঁর লেখা প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুলকথা ইংরেজি-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। তা ছাড়াও তাঁর প্রায় শতাধিক উপন্যাস, বেশ কিছু ছােটোগল্প, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, অসমিয়া, ওড়িয়া, মারাঠি, মালয়ালম, তামিল, গুজরাটি প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বাঙালি পরিবার, মধ্যবিত্ত সমাজ ও নারীজীবনের সূক্ষ্ম দিকগুলির রূপায়ণে আশাপূর্ণা দেবী বাংলা কথাসাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নো ও উত্তর। Short questions and answers of Ashapurna Devi.

1. আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম কবে হয় ?

উ:- ১৯০৯ খ্রি : ৮ ই জানুয়ারি ।

2. আশাপূর্ণা দেবীর পিতা ও মাতার নাম কি ?

উ:- হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত ও সরলা সুন্দরী দেবী ।

3. আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম কবিতার নাম কি ?

উ:- বইয়ের ডাক ।

4.আশাপূর্ণা দেবীর কবিতা কত সালে প্রকাশিত হয় ? 

উ:- ১৯২২ সালে ।

5. আশাপূর্ণা দেবীর লেখা বইয়ের নাম কি ?

উ:- ছোট ঠাকুরদার কাশীযাত্রা ।

6. আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম উপন্যাস কি ?

উ:- প্রেম ও প্রয়োজন ।

7. আশাপূর্ণা দেবী কি পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উ:-  জ্ঞানপীঠ সাহিত্য পুরস্কার ।

8. আশাপূর্ণা দেবীর লেখা গ্রন্থসমূহের নাম কি ?

উ:-  সুবর্ণলতা’, ‘বকুলকথা’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’,‘সাগর শুকায়ে যায়’,‘শশী বাবুর সংসার’, ‘সােনার হরিন ইত্যাদি । 

9. আশাপূর্ণা দেবী কত সালে প্রথম পুরস্কার পান ? 

উ:- ১৯৭৮ সালে ।

10. আশাপূর্ণা দেবীর কত সালে মারা যান ?

উ:- ১৯৯৫ সালে ১৩ জুলাই ।

11. আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সৃষ্টিসমূহ ও কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ কি কি সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন?

উ:- ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রতিশ্রুতি’ উপন্যাসের জন্য পান পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘পদ্মশ্রী', ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।এর আগে যুগান্তর পত্রিকার তরফ থেকে মতিলাল ঘােষ পুরস্কার’(১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে),কলিকাতা বিশ্ববিদ্যাল-য়ের পক্ষ থেকে ‘লীলাবতী পুরস্কার (১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে) ও ‘ভুবনমােহিনী স্বর্ণপদক’ (১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে) প্রাপ্ত হন।

12. কোন কোন ভাষায় তার গ্রন্থ বা রচনা অনুবাদ করা হয়েছে?

উ:-ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, অসমিয়া, ওড়িয়া, মারাঠি, মালয়ালম, তামিল, গুজরাটি প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে

Today Gk All Exams: এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে   অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের  ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য    সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ।

Ashapurna Devi biography in Bengali| Ashapurna Devi books in Bengali| Ashapurna Devi short stories PDF| Ashapurna Devi mother name| Ashapurna Devi daughter| Ashapurna Devi books in English

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.