Type Here to Get Search Results !

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো।

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো। Powers and Functions of the President:

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো। Powers and Functions of the President:

ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় ইউনিয়নের শাসন পরিচালনাসংক্রান্ত সকল ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর অর্পণ করা হয়েছে (৫৩ নং ধারা)। সংসদীয় শাসনব্যবস্থার রীতি...

Dear students: Today Gk All Exams এর পক্ষ থেকে সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টে ভিজিট করার জন্য। আজ আমরা আলোচনা করবো ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যবলী নিয়ে।(WB HS Exams, HS Political Science). অর্থাৎ ভারতের রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা কিরূপ তা নিয়ে আজকের আমাদের আলোচনা। 

এই পোস্টি উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদেরও খুবই উপকার করতে পারে। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী এই পোস্টি তাদের পরীক্ষার খাতায় লিখলে ভাল নাম্বার পাবে। এখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভালোভাবে বোঝানো হয়েছে। 

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো|  Powers and Functions of the President:

ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় ইউনিয়নের শাসন পরিচালনাসংক্রান্ত সকল ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর অর্পণ করা হয়েছে (৫৩ নং ধারা)। সংসদীয় শাসনব্যবস্থার রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে এই ক্ষমতা মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীপরিষদের কোনও পরামর্শ পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাতে পারেন কিন্তু মন্ত্রীপরিষদ একই পরামর্শ প্রদান করলে রাষ্ট্রপতিকে সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হয় (৪৪তম সংবিধান সংশোধন আইন, ১৯৭৮)।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি শ্রেণিবিভাগ:

সংবিধানের ৫৩ (১) নং ধারানুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ দুর্গাদাস বসু রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসমূহকে আলােচনা করেছেন। যেমন— 

  • শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা,
  • আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা,
  • অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা,
  • বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা,
  • জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষমতা এবং
  • অন্যান্য ক্ষমতা।

রাষ্ট্রপতির শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।

১) শাসনসংক্রান্ত ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতির শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা বলতে কেবলমাত্র আইনের বাস্তবায়নকেই বােঝায় না, সরকারের অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালনাকেও বােঝায়। ব্যাপক অর্থে রাষ্ট্রপতির শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়―

সংবিধান অনুযায়ী ভারতীয় ইউনিয়নের শাসন ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষভাবে অথবা তাঁর অধীনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে কার্যকর করতে পারেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগসংক্রান্ত ক্ষমতা অর্থাৎ রাজ্যপাল, মহাগণনা পরীক্ষক, অডিটর ও কম্পট্রোলার জেনারেল, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক, ভাষা কমিশন, নির্বাচন কমিশনার, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের সদস্যগণ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী রাষ্ট্রপতিই নিয়োগ ও পদচ্যুত করে থাকেন। 

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যগণকে রাষ্ট্রপতিই নিয়োগ করে থাকেন। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি আন্তঃরাজ্য কমিশন নিয়োগ করেন। রাষ্ট্রপতি নৌ-বাহিনী, স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাষ্ট্রপতির সামরিক ক্ষমতা পার্লামেন্টের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

  • ক) নিয়ােগ সংক্রান্ত ক্ষমতা: নিয়ােগ সংক্রান্ত ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির প্রশাসনিক ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ােগ করেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী অপরাপর মন্ত্রীদেরও নিয়ােগ করে থাকে। অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল গণের তিনি নিয়ােগ করেন। এ ছাড়া ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পট্রোলার ও অডিটর-জেনারেল, সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে থাকেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং অর্থ কমিশনের সদস্যবৃন্দও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে থাকে।
  • খ) অপসারণ সংক্রান্ত ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অপসারিত করতে পারেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল গণ ও তাঁর দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারিত হন। এ ছাড়া পার্লামেন্টের সুপারিশ অনুযায়ী তিনি সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের, নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারিত করেন। ভারতের কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেলকেও তিনি সুপ্রিমকোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী অপসারিত করে থাকেন।
  • গ) সামরিক ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতি ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রধান। স্থল, জল এবং আকাশ বাহিনীর প্রধানদের তিনি নিয়োগ করেন। তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিটির (National Defence Committee) প্রধান এবং এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধ ঘােষণা করতে পারেন।
  • ঘ) কূটনৈতিক ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ভারতীয় কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের পাঠান। অন্যদিকে বিদেশি কোনাে দেশের প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রদূত যখন ভারতে আসেন তখন তারা ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সর্বপ্রথম শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সমস্ত আন্তর্জাতিক সন্ধি ও চুক্তি রাষ্ট্রপতির নামেই সম্পাদিত হয়। তবে এক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমােদন না থাকলে সন্ধি ও চুক্তি কোনােটাই কার্যকর হতে পারে না।
  • ঙ) তত্ত্বাবধায়ক ক্ষমতা: ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি অনুসন্ধান কমিশন গঠন করেন অনগ্রসর সম্প্রদায়গুলির অবস্থা অনুসন্ধানের জন্য। এ ছাড়া জাতীয় ও সামরিক বিচারে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত বিষয়, তথা- যোগাযোগ ব্যবস্থা, রেল ব্যবস্থা প্রভৃতি সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রয়ােজনমতাে নির্দেশ দিতে পারেন।

রাষ্ট্রপতির আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।

২) আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতি ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা অর্থাৎ পার্লামেন্টের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশন আহ্বান করেন, আবার প্রয়ােজনে স্থগিত রাখেন। তিনি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন। উভয় কক্ষের মধ্যে মতবিরােধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যৌথ অধিবেশন (Joint sitting) আহ্বান করতে পারেন।

  • ক) সংবিধান অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেন, অধিবেশন স্থগিত রাখেন এবং প্রয়োজনে নিম্নকক্ষ লোকসভাকে ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
  • খ) পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সরকারের নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
  • গ) রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হতে পারে না।
  • ঘ) পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ দ্বারা গৃহীত বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিতে পারেন, সম্মতি নাও দিতে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে বিলটি অনুমোদিত হলে রাষ্ট্রপতিকে সম্মতি দিতেই হয়। পারেন এবং অর্থবিল ছাড়া অন্য বিল পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কক্ষের নিকট ফেরত পাঠাতে পারেন।
  • ঙ) রাজ্য আইনসভার কোনো বিলকে রাজ্যপাল সম্মতি বা অসম্মতি না জানিয়ে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। রাষ্ট্রপতি রাজ্য আইনসভার বিলে সম্মতি জ্ঞাপন না করলে বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে না।
  • চ) রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করেন এবং লোকসভায় ২জন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সদস্য মনোনীত করেন।
  • ছ) পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত থাকাকালে রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী জরুরি আইন বা অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন। এই অর্ডিন্যান্স পার্লামেন্টের অধিবেশন আরম্ভ হলে অনুমোদনের জন্য উপস্থিত করতে হয়।
  • জ) অর্থবিলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপতির অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।

৩) অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা: ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির কিছু অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা রয়েছে।

  • ক) রাষ্ট্রপতির প্রাথমিক সম্মতি ছাড়া লোকসভায় অর্থবিল পেশ করা যায় না।
  • খ) সংসদে বাজেট পেশ করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন।
  • গ) হঠাৎ কোনো ব্যয়ের প্রয়োজনে সংসদের অনুমোদন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি প্রতিপূরক তহবিল (Contingency fund) থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে পারেন।
  • ঘ) প্রতি ৫ বছর অন্তর বা তার পূর্বেই কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে কর বণ্টনের ক্ষেত্রে সুপারিশের জন্য অর্থকমিশন নিয়োগ করেন।

রাষ্ট্রপতির বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা আলোচনা করো।

৪) বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা: ক্যাবিনেট বা পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় শাসকপ্রধানের মতো রাষ্ট্রপতি কিছু বিচারবিভাগীয় ক্ষমতাও ভোগ করেন। তিনি অপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারেন, দণ্ডাজ্ঞা হ্রাস করতে পারেন। মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে কারাদণ্ড বা জরিমানা বা লঘুদণ্ড দিতে পারেন।

  • ক) বিচারপতিদের নিয়ােগ সংক্রান্ত ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতি ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। সংসদের সুপারিশক্রমে তিনি বিচারপতিদের পদচ্যুত পর্যন্ত করতে পারেন।
  • খ) শাস্তিযোগ্য ব্যক্তিদের ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত ক্ষমতা: ভারতের রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন ধরনের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন। যেমন— ক্ষমা (Pardon), প্রবিলম্ব (Reprieve), বিলম্ব (Respite), রেহাই (Remission), লঘুকরণ (Commutation)। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ড জ্ঞান প্রাপ্ত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ মকুব করতে পারেন (৭২নং ধারানুযায়ী)। তবে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত বিষয়ের উপর সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বা মৃত্যুদণ্ড মকুবের এই ক্ষমতা কার্যকরী।

রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থাসংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।

৫) জরুরি অবস্থাসংক্রান্ত ক্ষমতা: ভারতীয় শাসনতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির হাতে তিন ধরনের জরুরি অবস্থার ঘোষণাসংক্রান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—

  • ক) জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা: শাসনতন্ত্রের ৩৫২ নং ধারায় বলা হয়েছে, সমগ্র ভারতে বা এর কোনো অংশে যুদ্ধ, বহিঃশত্রুর আক্রমণ বা অন্তর্বিপ্লবের আশঙ্কা দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
  • খ) অঙ্গরাজ্যের শাসনব্যবস্থার অচলাবস্থাসংক্রান্ত ঘোষণা: কোনো অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপালের বিবরণ পাঠের পর রাষ্ট্রপতির যদি ধারণা হয় যে ওই রাজ্যের শাসনব্যবস্থা শাসনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালনা সম্ভব নয়, তাহলে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
  • গ) আর্থিক জরুরি অবস্থার ঘোষণা: আর্থিক সংকট উপস্থিত হলেও রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।

৬) অন্যান্য ক্ষমতা: রাষ্ট্রপতির আরও অন্যান্য অনেক ক্ষমতা রয়েছে। ভারত সরকারের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য তিনি নিয়মাবলি প্রণয়ন (making of rules) করতে পারেন। তিনি অর্থ কমিশন নিয়ােগ করেন, আন্তঃরাজ্য পরিষদ গঠন করেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সম্পর্কে তাঁর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এই অঞ্চলগুলির জন্য তিনি প্রশাসক নিযুক্ত করেন এবং তাদের মধ্য দিয়ে তিনি এই অঞ্চলগুলির শাসনকার্য পরিচালনা করেন।


★ মন্তব্য: রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আলোচনা করলে লক্ষ করা যায়, ভারতীয় সংবিধান রাষ্ট্রপতির হাতে প্রভূত ক্ষমতা অর্পণ করেছে। কিন্তু দায়িত্বশীল মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির শাসনতান্ত্রিক মর্যাদা ও ভূমিকা নিয়মতান্ত্রিক শাসকের ভূমিকা বলা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.