Type Here to Get Search Results !

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

ভারতের শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আলোচনা করো|অথবা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা | প্রধানমন্ত্রীর নিয়ােগ, যােগ্যতা ও কার্যকাল| Appointment, eligibility, and tenure of the Prime Minister.

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী, আজকের আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা নিয়ে  আলোচনা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তোমাদের সকলের ভালো নম্বর পেতে সাজ করবে আমাদের এই আর্টিকেলটি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি আসার সম্ভবনা খুব বেশি। তাই আমাদের পক্ষথেকে তোমাদের সুবিধার্তে এই পোস্টি সহজ সরল ভাষায় দেওয়া হলো। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্য আমাদের এই লেখাটি সম্পূর্ণ লিখবেন। 

আমাদের এই ওয়েবসাইট আমরা উচ্চমাধ্যমিকের সমস্ত বিষয়ের উপর সাজেশান দেওয়াহয়। আর আমাদের এই সাইট টি কে ফলো করতে পারেন পাশের নীল রংয়ের ঘন্টা টিকে প্রেস করে আমাদের সাইট টিকে অবশ্য সাবস্ক্রাইব করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিয়ােগ, যােগ্যতা ও কার্যকাল| Appointment, eligibility, and tenure of the Prime Minister:


সংবিধানের ৭৫ (১) নং ধারানুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে অন্যান্য মন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন। বলাবাহুল্য, পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নেতা হিসেবে যাকে নির্বাচিত করে, রাষ্ট্রপতি তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। আবার পার্লামেন্টের সদস্য নন এমন কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে তাকে ৬ মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হয়। প্রধানমন্ত্রী নিয়ােগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কোনাে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন না। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের নেতা বা নেত্রী কে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাতে পারেন।

সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর যােগ্যতার ব্যাপারে কোনাে কিছু তেমনভাবে উল্লেখ করা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পার্লামেন্টের যে-কোনাে কক্ষের সদস্য হতে হবে। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী তার পদে ৫ বছর বহাল থাকতে পারেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার সময় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভার মেয়াদ বৃদ্ধি পেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালও বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ১,৬৫,০০০ টাকা এবং সরকারি সুযােগসুবিধা ভােগ করে থাকেন।

*প্রধানমন্ত্রী (The Prime Minister):


শাসনব্যবস্থার মূলকেন্দ্র: ভারতের পার্লামেন্টীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার গুরুত্ব সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করা যায় না। ভারত সরকারের মূল কাণ্ডারী হলেন প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৭৪ (১) নং ধারায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হবে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করলেও এ বিষয়ে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত ইচ্ছার মূল্য নেই লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে হয়। পার্লামেন্টের শাসনব্যবস্থায় মন্ত্রীপরিষদই প্রকৃত ক্ষমতা ভোগ করে এবং মন্ত্রীপরিষদের নেতা হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি| Power of the Prime Minister of India:


1) পার্লামেন্টের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: প্রধানমন্ত্রী শুধু দলেরই নেতা নন, তিনি হলেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ তথা লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। তিনি হলেন সরকারের নীতির মুখ্য প্রবক্তা। সভার সমস্ত কাজকর্ম তাঁরই নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা ইত্যাদি সরকারের যা কিছু পার্লামেন্ট কর্তৃক সম্পন্ন হয় সেগুলো সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তিনি লোকসভার সদস্য হলেও রাজ্যসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যাপারে পার্লামেন্টের বিরােধী দলের নেতাদের সঙ্গে তিনি আলােচনা ও মতবিনিময় করে থাকেন, যাতে পার্লামেন্টে গৃহীত সিদ্ধান্ত দলীয় সিদ্ধান্ত না হয়ে প্রকৃতই জাতীয় সিদ্ধান্তে পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রী হলেন পার্লামেন্টের সরকারের মুখ্য প্রতিবেদক। যে-কোনাে কক্ষে উপস্থিত হয়ে তিনি আলােচনায় যােগ দিতে পারেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কর্তৃত্বমূলক ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি বিরােধী সদস্যদের রক্ষক অভিভাবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

2) সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: প্রধানমন্ত্রী লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। সমগ্র দেশের সম্মুখে নেতা হিসেবে দলীয় নীতি ও কার্যসূচিকে তুলে ধরবার প্রধান দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত। দলের জনপ্রিয়তা রক্ষা এবং মর্যাদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়। জনগণের নিকট দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হয়।জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দলের প্রতি জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য  প্রধানমন্ত্রীকে সচেষ্ট হতে হয়। নির্বাচনে জয়লাভ করবার মাধ্যমেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হয়।

সুতরাং, নির্বাচনের সময় দলের নীতি ও কর্মসূচি জনগণের নিকট যথাযথ ব্যাখ্যা করবার দায়িত্ব  প্রধানমন্ত্রীকে গ্রহণ করতে হয়। দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দায়িত্ব থাকে।প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে।

3) রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর যা পরিচয় পাওয়া যায় তার থেকে বােঝা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সুতরাং রাজনৈতিক দলের প্রতিও প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। দল যাতে প্রসারিত হয়, দলের ঐক্য এবং অখণ্ডতা যাতে অক্ষুন্ন থাকে, নির্বাচনী যুদ্ধে যাতে দলের সাফল্য ঘটে সেদিকে লক্ষ রেখেই প্রধানমন্ত্রীকে দলের নীতি ও কার্যক্রম নির্ধারণ করতে হয়। নির্বাচনের পরেও দলের নীতি ও কার্যক্রমকে যাতে জনসমর্থনের অনুকূলে রাখা যায়, তার জন্য তাঁকে বিভিন্নভাবেই যেমন— সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে, বেতার ও দূরদর্শনে বক্তৃতার মধ্য দিয়ে জনসংযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করতে হয়। দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এই ভূমিকার উপরই দলের সাফল্য বহুলাংশে নির্ভরশীল।


4) ক্যাবিনেটের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: ক্যাবিনেটের নেতা, সরকারের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মর্যাদা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাবিনেটের উত্থান-পতন প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় ইংল্যান্ডের শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীর সম্পর্কেও ‘সমপদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে প্রধান’ বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্য সুস্পষ্টভাবে স্বীকৃত। সংবিধানে স্বীকার করা হয়েছে যে, মন্ত্রীপরিষদের শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রীকে নিয়োগ করেন।

(ক) মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন, দপ্তর পুনর্বণ্টন, বিভিন্ন মন্ত্রীর পদমর্যাদা নির্ধারণ প্রভৃতি প্রধানমন্ত্রীই স্থির করেন। কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতভেদ ঘটলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে পদচ্যুত করবার সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে।

(খ) প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেটের সভাপতিত্ব করেন এবং ক্যাবিনেটের কর্মসূচি স্থির করেন। বিভিন্ন দপ্তরে   গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। সুতরাং, বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সরকারি নীতিকে সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করবার মুখ্য ভূমিকা প্রধানমন্ত্রীর। দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পার্লামেন্টীয় শাসনব্যবস্থায় ক্যাবিনেট নয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্য সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে ক্যাবিনেটের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই।

5) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগসূত্র: মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির যোগসূত্র হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সকল বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রকৃত শাসক হল মন্ত্রীপরিষদ। মন্ত্রীপরিষদের সকল সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীই জানান। রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য মন্ত্রীপরিষদ থাকলেও প্রকৃত পরামর্শদাতা হলেন প্রধানমন্ত্রী।রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রী হলেন সংযােগসাধনের প্রধান মাধ্যম। 

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার সমস্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান। রাষ্ট্রপতিকে মন্ত্রীদের নিয়ােগ এবং অপসারণ সংক্রান্ত পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী দিয়ে থাকে। লোকসভার অধিবেশন আহ্বান করা, স্থগিত রাখা বা ভেঙে দেওয়া সংক্রান্ত কাজকর্মগুলি রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমেই করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য হল সরকারের সমস্ত খবরাখবর রাষ্ট্রপতিকে নিয়মিত জানানাে। মন্ত্রীসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, আইনের বিভিন্ন প্রস্তাব ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি যা জানতে চান সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে জানান। এইভাবেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকারের সংযােগ সাধনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকেন।

6) মন্ত্রীদের পথনির্দেশক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: বিভিন্ন মন্ত্রকের বিভিন্ন সরকারি নীতির মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয়সাধন করাই হল প্রধানমন্ত্রীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্য। সেইজন্য তাকে বিভাগীয় মন্ত্রীদের বিভিন্নভাবে নির্দেশ দিতে হয় এবং সাধারণভাবে সমস্ত বিভাগের কাজকর্মের উপর নজর রাখতে হয়।


7) অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা: দেশের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য উল্লিখিত কার্যাবলি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর আরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। তিনিই ভারতবর্ষের পরিকল্পনা কমিশনের এবং আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। এই সমস্ত কমিটি, কমিশন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির কথাও তিনি ভাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মূল্যায়ন|The power of the Prime Minister:


1) ভারতীয় সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও প্রাধান্য সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাকে লক্ষ করে বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী হলেন ‘সূর্যের ন্যায় ; তাকে ঘিরে বিভিন্ন গ্রহ আবর্তিত হয়'। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও সে কথা প্রয়োগ করা যায়।

2) প্রধানমন্ত্রীর পদের মর্যাদা নির্ভর করে পদাধিকারীর ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন গুণের ওপর ; প্রধানমন্ত্রীর  দূরদর্শিতা, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার ওপর। তাছাড়া নিজের দলের আনুগত্য, অন্যান্য মন্ত্রীর ব্যক্তিত্ব, বিরোধী দলের সহযোগিতাও ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সাম্প্রতিক কালের অনেক লেখক সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক প্রাধান্যমূলক ভূমিকার জন্য এই শাসনব্যবস্থাকে ক্যাবিনেট শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর সরকার (Prime-ministerial Govt.) বলে থাকেন। ভারতের ক্ষেত্রে ক্যাবিনেট শাসনব্যবস্থাকে ‘প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার’ বললে অত্যুক্তি হয় না।

3) ১৯৯৯ সালের পরবর্তী সময়ে দেশে বহুদলীয় জোট সরকারের প্রবণতা দেখা দেওয়ায় ক্ষমতা ও পদমর্যাদার অবমূল্যায়ন হয়েছে। বহুদলীয় জোট সরকার গঠিত হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরামর্শে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ব্ল্যাক-মেলিং-এর ফলে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দৃঢ়ভাবে সরকার পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে সমালোচকরা প্রধানমন্ত্রীকে ‘হাতের পুতুল' বলতেও দ্বিধা করেন না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো|


আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “Today GK Quiz, – Current Affairs in Bengali | বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams GK in Bengali)” পােস্টটি ভালো ভাবে পড়ার জন্য। এই ভাবেই –Today Gk All Exams-এর পাশে থাকুন, সমস্ত বিষয়ের যেকোনো প্ৰশ্ন-এর উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ভান্ডারকে বৃদ্ধি করার জন্য অব্যশই ফলাে করতে পারেন, ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.