Type Here to Get Search Results !

কাজী নজরুল ইসলাম-এর জীবনী| Biography of Kazi Nazrul Islam.

কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of Kazi Nazrul Islam.

কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of Kazi Nazrul Islam.

কাজী নজরুল ইসলাম, জন্ম 25 মে 1898, চুরুলিয়া গ্রামে, বর্ধমান জেলার। পিতা ও মাতা কাজী ফকির আহমেদ (পিতা) জাহেদা খাতুন (মা)ছদ্দনাম দুখু মিয়া।
kazi nazrul islam life history| kazi nazrul islam biography in bengali| kazi nazrul islam biography| Biography of Kazi Nazrul Islam|biography of kazi nazrul islam in bengali| bengali biography of kazi nazrul islam| short biography of kazi nazrul islam.


নাম (Name) কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)
জন্ম (Birthday) ২৫শে মে ১৮৯৮, বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে (25th May 1898, Churulia village, Burdwan district)
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা কাজী ফকির আহমেদ (বাবা)

জাহেদা খাতুন (মা)

ছদ্দনাম (Pseudonym) দুখু মিয়া (Dukhu Mia)
দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) প্রমিলা দেবী

নার্গিস আসার খানম

পেশা (Career) কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকর ও সম্পাদক
উল্লেখযোগ্য কর্ম নজরুলগীতি, অগ্নিবীণা, বাঁধন হারা, বিষের বাঁশি প্রভৃতি
মৃত্যু (Death) ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (29th August, 1976)
মৃত্যুস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
 

কাজী নজরুল ইসলাম-এর জীবনী | Biography of Kazi Nazrul Islam.

Name Kazi Nazrul Islam, born 25th May 1898, Churulia village, Burdwan district. Father & Mother Kazi Fakir Ahmed (Father) Zaheda Khatun (Mother)

কবি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন-“সেদিনের যৌবন চাইছিল, আসুক তার এক দুরন্ত বাণীমূর্তি।...এমন কবিকে চাই- যিনি এই মুহুর্তের, আজকের সংগ্রামের কালের প্রতিটি স্পন্দনের প্রবক্তা। দুঃসাহসী, দুরন্ত। নজরুলের মধ্যে যৌবনদীপ্ত বাঙালীর সেই আকাঙক্ষা চরিতার্থ হল।”(অনিঃশেষ নজরুল—কথাসাহিত্য, কাজি নজরুল ইসলাম সংবর্ধনা সংখ্যা)। দ্বীপান্তরের বন্দিনী’তে সেই যৌবনদীপ্ত, স্বাধীনতার জন্য উদ্বেল কবি নজরুলকেই পাওয়া যায়।।

কবি নজরুল ইসলাম-এর জন্ম ও কর্মজীবন:

১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পিতা ফকির আহমেদ ও মাতা জাবেদা খাতুনের ঘর আলো করে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মস্থান বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম। দারিদ্র্যবিদ্ধ এই পরিবারের সংকট আরও বাড়ে, যখন নজরুলের বাবা ফকির আহমেদ কবির বাল্যকালেই মারা যান। তাই শৈশবে নজরুল ইসলাম পড়াশোনার ভালোমতো সুযোগ পাননি। গ্রামের পাঠশালা ও মক্তবে তাঁর প্রথম পাঠগ্রহণ চলে। চায়ের দোকানে কাজ করা, লেটোর দলে গান রচনা করা, রুটির কারখানায় কাজ করা, ৪৯ নম্বর বাঙালি পল্টনে যোগদান, সাংবাদিকতা ইত্যাদি নানা কাজের মাধ্যমে তিনি অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেছিলেন। তারপর একসময় পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করবার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় হাতের হাবিলদারি বন্দুক ফেলে দিয়ে তিনি কলম তুলে নেন। এমনকি, শাসকবিরোধী সাহিত্যরচনার জন্য তিনি একাধিকবার ইংরেজ সরকারের রোষের শিকার হন এবং কারাবরণও করেন।

কঠোর দারিদ্র্য এবং পারিবারিক প্রতিকূলতা নজরুলের শিক্ষাগ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গ্রামের মক্তবে নিম্ন-প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে নজরুল মাজার শরিফে ও মসজিদে ঝাট দেওয়ার মতাে সামান্য কাজ বেছে নেন। একটা সময়ে লেটো দলের জন্য গান লিখেও তিনি অর্থ উপার্জন করেছেন। রুটির দোকানে পাঁচ টাকা বেতনেও তিনি কাজ করেন। নজরুলের সংগীত প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে পুলিশের সাব-ইনস্পেকটর কাজি রফিউদ্দিন কবিকে তার দেশের বাড়ি ময়মনসিংহে নিয়ে যান এবং সেখানে স্কুলে ভরতি করে দেন। কিন্তু এক বছর পরে নজরুল সেখান থেকে ফিরে আসেন এবং রানিগঞ্জের সিয়ারসােল রাজ হাই স্কুলে ভরতি হন। কিন্তু ম্যাট্রিকের নির্বাচনী পরীক্ষা দেওয়ার পরে তিনি সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যােগ দেন।

কবি নজরুল ইসলাম-এর সাহিত্য সাধনা:

সাহিত্য সাধনা:  কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যজীবন শুরু হয় কাকা বজলে করিমের উৎসাহে লেটো গান রচনার দ্বারা। ‘শকুনি বধ’, ‘চাষার সঙ্’, ‘মেঘনাদবধ’, ‘রাজদূত’ ইত্যাদি লেটো গান সেই সময়কার মানুষজনকে মাতিয়ে তুলেছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিকর্ম হল—

নজরুলের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় কবিতাটির নাম মুক্তি’। এই সময়পর্বে কবিতার থেকে নজরুলের লেখা গল্পই পাঠকদের দৃষ্টি বেশি আকর্ষণ করে। এই সময়ে নজরুলের লেখা কয়েকটি উল্লেখযােগ্য গল্প হল-বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী ‘হেনা’, ব্যথার দান’ ইত্যাদি। সেনাবাহিনী থেকে ফিরে আসার পরে ‘মােসলেম ভারত’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকেনজরুলের পত্রোপন্যাস বাঁধনহারা’। এই ‘মােসলেম ভারত’ পত্রিকাতেই ১৩২৮ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয় নজরুলের বিদ্রোহী’ এবং কামাল পাশা'। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে। নজরুলের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা। স্বাধীনতার সপক্ষে কবির লেখা তখন দেশবাসীর মধ্যে প্রবল। উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল। এই বছরই প্রকাশিত হয় নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা। প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যেই বইটির প্রথম। সংস্করণ শেষ হয়ে যায়। 

১৯২২ খ্রিস্টাব্দেরই ২২ সেপ্টেম্বর। "ধূমকেতু’-তে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ লেখার জন্য কবিকে।গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এক বছর পরে জেল থেকে মুক্ত হয়ে কবি কুমিল্লায় আসেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রমীলা। সেনগুপ্তকে বিয়ে করেন। এরপরই কবি রচনা করেন দীপান্তরের বন্দিনী’, ‘সব্যসাচী’, ‘চরকার গান’ইত্যাদি বিখ্যাত কবিতা। ১৩৩২ বঙ্গাব্দ থেকে প্রকাশিত লাঙল’ পত্রিকার সঙ্গে নজরুল সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এখানেই প্রকাশিত হয় তার বিখ্যাত কবিতা সাম্যবাদী’, ‘লাঙল। পরে ‘গণবাণী’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহানুভূতিতে কবির রাজনৈতিক চেতনা যেন নবরূপ লাভ করে। সাম্যবাদী’ (১৯২৬), সর্বহারা (১৯২৬), ফণি-মনসা' (১৯২৭) প্রভৃতি কাব্যে এর প্রকাশ ঘটেছে। ঠুমরী, গজল, কীর্তন, ভাটিয়ালি ইত্যাদি নানাধরনের গান রচনায়, এমনকি রাগসংগীত রচনাতেও নজরুলের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তার ছদ্মনাম ছিল কহুন মিশ্র।

●কাব্যগ্রন্থ : ‘অগ্নিবীণা' (১৯২২), ‘দোলনচাঁপা' (১৯২৩), ‘বিষের বাঁশী’ (১৯২৪), ‘ভাঙার গান' (১৯২৪), ‘ছায়ানট' (১৯২৫), ‘সাম্যবাদী’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬), ‘সিন্ধুহিন্দোল’ (১৯২৭), ‘ফণীমনসা’ (১৯২৭), 'প্রলয়শিখা' (১৯৩০) ইত্যাদি। ২ উপন্যাস ও ছোটোগল্প : ‘ব্যথার দান' (১৯২২), ‘রিক্তের বেদন’ (১৯২৫), ‘বাঁধনহারা' (১৯২৭), 'মৃত্যুক্ষুধা' (১৯৩০), ‘কুহেলিকা’ (১৯৩১), ‘শিউলিমালা’ (১৯৩১) ইত্যাদি। ৩ নাটক : ‘ঝিলিমিলি’ (১৯৩০), ‘পুতুলের বিয়ে’ (১৯৩৪) ‘আলেয়া’ (১৯৩৮), ইত্যাদি। ৪ প্রবন্ধ : ‘যুগবাণী' (১৯২২), ‘দুর্দিনের যাত্রী' (১৯২৬), ‘রুদ্রমঙ্গল’ (১৯২৭) ইত্যাদি। তাঁর লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাসগুলি, মোসলেম ভারত, উপাসনা, নবযুগ, প্রবাসী, শনিবারের চিঠি প্রভৃতি সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম-এর কবিপ্রতিভা:

কাজী নজরুল ইসলামের কবিপ্রতিভা আলোচনা প্রসঙ্গে স্বয়ং কবির কিছু উক্তি স্মরণীয়—

(১) “আমি শুধু সুন্দরের হাতে বীণা, পায়ে পদ্মফুল দেখিনি, তার চোখে চোখভরা জল দেখেছি।” 
(২) “স্রষ্টাকে আমি দেখিনি কিন্তু মানুষকে দেখেছি। এই ধূলিমাখা পাপলিপ্ত অসহায় দুঃখী মানুষই একদিন বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করবে—কিছু যদি করতে না পারি, তাদের সাথে প্রাণভরে যেন কাঁদতে পারি।”
(৩) “ফুল ফোটানোই আমার ধর্ম, তরবারি আমার হাতে বোঝা, কিন্তু তাই বলে তাদের ফেলেও দিইনি।” 

কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যসাহিত্যের প্রাঙ্গণে আবির্ভাবের লগ্নটি ঐতিহাসিক। একদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের প্রবল বাসনা; অন্য দিকে মানুষের মধ্যে বৈষম্যের চরম প্রকাশ— এমন এক প্রেক্ষাপটে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কাব্যে যেমন বিদ্রোহের রক্তগোলাপ ফোটালেন, তেমনই মানবিকতার, বিরহের ও প্রেমের রজনিগন্ধাও ফুটে উঠল তাঁর কবিতার বাগিচায়। তাঁর বড়ো হয়ে ওঠার পরিবেশ যেহেতু আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক ছিল না, তাই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটটি তাঁর মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি তিনি সুরকার, গায়ক ও কবি ছিলেন। সর্বোপরি তিনি রবীন্দ্রবলয় ছিন্ন করে, রবীন্দ্র-পরবর্তী সময়ের প্রথম মৌলিক কবি হয়ে উঠলেন।

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন প্রখর যুগসচেতন কবি। সেজন্য পরাধীন দেশে তিনি অন্যায়, অসাম্য ও ভণ্ডামির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে দ্বিধাহীন ও নির্ভীক ছিলেন। কবিতাই হয়ে উঠেছিল তাঁর নির্ভীকতার হাতিয়ার। তাঁর কাব্যসত্তার মূলে ছিল মানবপ্রীতি ও স্বদেশপ্রেম। দেশ ও মানুষকে না-ভালোবাসলে এই প্রীতি গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। তিনি উদার ধর্মমতের পথিক ছিলেন বলেই তাঁর কবিতায় বারবার উঠে এসেছে সর্বধর্মের ওপর মনুষ্যধর্মের কথা। তাঁর কবিতার আঙ্গিক যেমন সহজ, তেমনি বলিষ্ঠও বটে। সেই বলিষ্ঠতা নানা রকমের শব্দচয়নে, ছন্দের দোলায়, অলংকারের কারুকার্যে ও চিত্রকল্পের অভিনব রূপসজ্জায় অসাধারণ হয়ে উঠেছে। 

ভারতের সর্বহারা শ্রেণিকে তিনি বিপ্লব-মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চেয়েছেন। তবে কেবল বিদ্রোহ ও বিপ্লবই নয়, তাঁর অনেক কাব্যেরই মূল সুর হল প্রেম ও নিসর্গচেতনা। এই দ্বিবিধ চেতনাই নজরুলের বেগবান, শাণিত ও অব্যর্থ কাব্যভাষায় ভর করে প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর কবিতার ভাষা বাংলা তো বটেই, স্থানে স্থানে সংস্কৃত, আরবি, ফারসি শব্দ দ্বারা ঋদ্ধ হয়েছে। ছন্দের ক্ষেত্রেও তাঁর দক্ষতা অপরিসীম। দলবৃত্ত, কলাবৃত্ত এবং মিশ্রবৃত্ত—সমস্ত ছন্দ রীতিতেই তিনি অসামান্য কবিতা উপহার দিয়েছেন।

কাজী নজরুল ইসলাম-এর পুরস্কার ও সম্মান:

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে কবি নজরুল ইসলামকে ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ' উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডিলিট’ উপাধি দেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ডিলিট’ উপাধি দান করে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাহিত্যিক পুরস্কার ‘২১ শে পদক' লাভ করেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা পান।

কাজী নজরুল ইসলাম-এর জীবনাবসান:

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনের শেষ ছত্রিশ বছর খুব মর্মান্তিকভাবে কাটিয়েছিলেন। আজীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। সন্তান কৃষ্ণ মোহম্মদ ও বুলবুলের মৃত্যু এবং স্ত্রী প্রমীলা দেবীর রুণ অবস্থা তাঁকে উন্মাদ করে তুলেছিল। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুলাই তিনি নির্বাক হয়ে পড়েন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সপরিবারে ঢাকায় আসেন। 

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে নজরুল স্নায়ুজনিত অসুখে আক্রান্ত হন এবং ক্রমশ বােধশক্তি হারান। অবশেষে কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিরকালের মতো শান্ত হয়ে যান ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মসজিদের পাশে তাঁর মরদেহ মাটির নীচের কবরে চিরশান্তিতে নিদ্রামগ্ন রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। সমালোচকরা বলেছেন, বাংলা সাহিত্যে তিনি ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষকে তিনি তাঁর কবিতার জাদুস্পর্শে মাতিয়ে রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈচিত্র্যপূর্ণ কাব্যজাল কেটে, তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা কাব্যকে বিদ্রোহের স্রোতে প্রবাহিত করে দিতে পেরেছিলেন। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে সাম্যবাদী কবি নজরুল ইসলাম দুই বাংলার মানুষের আন্তরিক শ্রদ্ধা পেয়েছেন হয়ে উঠেছেন প্রাণের কবি।

Kazi Nazrul Islam life history| Kazi Nazrul Islam biography in Bengali | Kazi Nazrul Islam biography| Biography of Kazi Nazrul Islam|Biography of Kazi Nazrul Islam| Biography of Kazi Nazrul Islam in Bengali | Bengali biography of kazi nazrul islam| short biography of kazi nazrul islam.

Today Gk-All Exams-এর পক্ষ থেকে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার জন্য। যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালোলেগে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টে  অবশ্য জানাবেন আর পাশের নীল-রংযের ঘণ্টাটি প্রেস করে আমাদের এই ব্লগ-ওয়েবসাইটটি অবশ্য  সাবস্ক্রাইব করবেন ধন্যবাদ

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.