Type Here to Get Search Results !

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali. 


Manik Bandopadhyay, Birthday 19 May 1908. Guardian- Father- Harihar Bandyopadhyay and Mother- Niradasundari Devi. Real Name-Prabadh Kumar Bandyopadhyay. 

মানিক বন্দোপাধ্যায়, জন্মদিন 19 মে 1908। অভিভাবক- পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা নিরদাসুন্দরী দেবী। আসল নাম- প্রবাদ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali |biography of manik bandopadhyay| manikya bandopadhyay biography| biography in Bengali manik bandopadhyay.

[আরো পড়ুন ]

Dear student- আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় হলো মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী নিয়ে। আমরা জানবো মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ম-বংশ পরিচিতি সম্পর্কে, তার কর্মজীবন সম্পর্কে, শিক্ষাজীবন সম্পর্কে, এবং তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে, ও তার সাহিত্যিক-লেখক জীবন সম্পর্কে,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali.


নাম (Name) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়| Manik Bandopadhyay
জন্ম (Birthday) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে [১৩২৫ বঙ্গাব্দের ৬ জ্যৈষ্ঠ]
জন্মস্থান (BirthPlace) বর্তমান বাংলাদেশের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে।
প্রকৃত নাম|  প্রবােধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা (Father and Mother) পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা নীরদাসুন্দরী দেবী-র অষ্টম সন্তান।
ছােটোগল্প : ‘অতসীমামী’, ‘নেকী’, ‘শিপ্রার অপমৃত্যু’, ‘সর্পিল’, ‘পােড়াকপালী’, ‘আত্মহত্যার অধিকার...
পেশা (Career) কবি, লেখকজীবন, রাজনীতি।
লেখকজীবন:  লেখকজীবন মাত্র আঠাশ বছরের।
মৃত্যু (Death)  ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর ভােরবেলা তাঁর জীবনাবসান হয়।
মৃত্যুস্থান নীলরতন সরকার হাসপাতালে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন| Manik Bandopadhyay Biography in Bengali


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  জন্ম ও বংশকথা

১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে (১৩২৫ বঙ্গাব্দের ৬ জ্যৈষ্ঠ) সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। তাঁর আদি নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবােধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা নীরদাসুন্দরী দেবী-র অষ্টম সন্তান। তাঁর পিতা পেশায় ছিলেন সাব-ডেপুটি রেজিস্ট্রার । মানিক ষােলাে বছর বয়সেই মাতৃহীন হন। 

যৌথ পরিবারে জীবনযাপনের কারণে ছােটোবেলা থেকেই তিনি স্নেহহীন উদাসীনতার শিকার হন। তখন থেকেই বেপরােয়া, ছন্নছাড়া স্বভাবের বশে জেলে, মালা ইত্যাদি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ঘােরাফেরা করা, কুস্তি লড়া, স্কুলে না গিয়ে কখনও শালবনির জঙ্গল, কখনও বা মহিষাদলে, টাঙ্গাইলে বা ব্রাত্মণবেড়িয়া অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানাে, গায়ে আগুন নেভানাের কাজে এগিয়ে যাওয়া, গুন্ডাদের শায়েস্তা করা, শরীর থেকে কাচের টুকরাে বের করার সময় শৈশবেই অসম্ভব সহ্যশক্তির পরিচয় দেওয়া, কখনও গরম কড়াই থেকে রসগােল্লা তুলে মুখে পুরে নেওয়ার পরে ফেলতে বা কাঁদতে না পারা, গরম কাঠের কয়লা পায়ে পড়ে যাওয়ার পরে যন্ত্রণায় বােবা হয়ে গিয়েও কাউকে ডাকতে পারা ইত্যাদি বিচিত্র স্বভাববৈশিষ্ট্যে তাঁর জীবন চিহ্নিত।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাজীবন|Manik Bandyopadhyay's educational life.

মানিকের শিক্ষারম্ভ মিত্র ইন্সটিটিউশনে। পরে টাঙ্গাইলে এবং মেদিনীপুর জেলা স্কুলে তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক গণিতে লেটার নিয়ে তিনি প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়ার ওয়েসলিয়ান মিশন কলেজ থেকে প্রথমবিভাগে আইএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর অঙ্কে  অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন কিন্তু বিএসসি কোর্স সম্পূর্ণ করার পূর্বেই সাহিত্যিক হওয়ার তাড়নায় তিনি প্রথাগত শিক্ষাজীবনে ইতি টানেন।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখকজীবন| Manik Bandyopadhyay's writing life.

বারাে-তেরাে বছর বয়সের মধ্যেই শ্রীকান্ত’, ‘বিষবৃক্ষ’, ‘গােরা, ‘চরিত্রহীন’ পড়া শেষ করে মানিকের মনে তীব্র আলােড়ন জাগে। স্বনামধন্য গল্পলেখকদের প্রতি তাঁর মনে ঈর্ষাও জন্ম নেয় এবং লেখার বাসনা জেগে ওঠে। ছাত্রাবস্থায় কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে বাজি রেখে লেখা মানিকের প্রথম গল্প ‘অতসীমামী’ বিচিত্রা পত্রিকায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। অবশ্য ওই বছরেই তাঁর ‘ম্যাজিক গল্পটি গল্পগুচ্ছ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। স্কুলে ছাত্রাবস্থায় মানিকের নিত্যসঙ্গী ছিল মানসী, মর্মবাণী, ভারতবর্ষ, ভারতী প্রভৃতি পত্রপত্রিকাগুলি। 

এরপর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দৃষ্টি প্রসারিত হতে থাকে। দেশ থেকে। বিদেশের দিকে ঝোঁক বাড়ে। হ্যামসুনের উপন্যাস থেকে বার্নার্ড-শ-র নাটক— সবই গােগ্রাসে পড়তে থাকেন। এই সময় তিনি ফ্রয়েডের চিন্তাধারার সঙ্গেও পরিচিত হন। শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, নজরুল ইসলাম তখন বাংলা সাহিত্যে তােলপাড় তুলেছেন রাবীন্দ্রিক ঐতিহ্যকে স্বীকার ও অস্বীকারের সংঘর্ষে বাংলা সাহিত্য নতুন অভিমুখ খুঁজে চলেছে। 


এতকিছুর পরেও মানিক লক্ষ করলেন, সমাজের অন্ত্যজ কিংবা শ্রমজীবী মানুষদের জীবনসংগ্রাম, তাদের মানসিক ঘাত-প্রতিঘাত সাহিত্যে যথাযথ বাস্তবতার আকারে উঠে আসতে ব্যর্থ হচ্ছে। মানিক চুপ থাকতে পারলেন না; নিজের মতাে করে গল্প লেখা শুরু করলেন। আর এভাবেই মানিকের সাহিত্যসৃষ্টির পর্ব শুরু হল। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিচিত্রা, বাশ্রী এবং ভারতবর্ষ পত্রিকায় তাঁর স্মরণীয় রচনাগুলি প্রকাশিত হয়। 


একুশ বছর বয়সে তিনি রচনা করেন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য। যদিও তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ‘জননী’ (১৯৩৫)।১৯৪৬-এ আনন্দবাজার পত্রিকা-র শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ‘শহরবাসের ইতিকথা'। গ্রন্থাকারে তাঁর রচনাসমূহ প্রকাশিত হওয়া মাত্রই পাঠক-সমালােচক মহলে স্বীকৃতি পায়। তাঁর বিশ বছরের সাহিত্যজীবনে বহু উপন্যাস, বহু গল্পগ্রন্থ এবং মৃত্যুর পরও তাঁর একাধিক গ্রন্থাবলি প্রকাশিত হয়েছে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবন|Manik Banerjee's career.

সাহিত্য রচনায় সচেতন মানিককে কোনােদিন দশটা-পাঁচটার অফিসের কাজে আটকে রাখা যায়নি। তবুও নিতান্ত ব্যক্তিগত হাতখরচা ও নিজের মানসিক শান্তির জন্য তিনি বঙ্গশ্রী পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের কাজে যােগ দেন। বেতন পঁয়ষট্টি টাকা আর শর্তানুসারে ‘অমৃতস্য পুত্রা’ ধারাবাহিক ভাবে পত্রিকায় প্রকাশের সুযােগ। তবে কিছুদিন পরেই তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারত সরকারের ন্যাশনাল ওয়ার ফ্রন্টের প্রভিন্সিয়াল অর্গানাইজার, বেঙ্গল দপ্তরে প্রচারক সহকারী পদে যােগ দেন। পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া রেডিয়াে-র কলকাতা কেন্দ্র থেকে যুদ্ধ বিষয়ক বক্তৃতা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। এই সময়ে তিনি ক্রমশ রাজনৈতিক সচেতনতার প্রতি আকৃষ্ট হন।

রাজনীতিতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়| Manik Banerjee in politics.

ক্রমে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের র্যাডিক্যাল ডেমােক্র্যাটিক দলের সঙ্গে। মানিকের যােগাযােগ হয়। যােগ দেন ফ্যাসিবাদবিরােধী লেখক। ও শিল্পী সংঘ’-এ। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট। পার্টিতে যােগদান করেন; প্রতিষ্ঠা করেন প্রগতি লেখক সংঘ। কমিউনিস্ট পার্টিতে তাঁর প্রত্যক্ষ যােগাযােগ অনেকে সহ্য করতে পারেননি। কয়েকজন প্রকাশক তাঁকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করতে শুরু করেন। অর্থকষ্ট ও ব্যয়বাহুল্যের চাপে একসময় তিনি অসম্ভব দারিদ্র্যের সম্মুখীন হন।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যসম্ভার| Literary collection of Manik Bandyopadhyay.

স্বল্পায়ু মানিকের লেখকজীবন মাত্র আঠাশ বছরের। এই সময়ের মধ্যে তিনি চল্লিশটি উপন্যাস, প্রায় তিনশােটি ছােটোগল্প, প্রায় একশােটি কবিতা এবং শিশু-কিশােরদের জন্য একটি উপন্যাস, ছত্রিশটি ছােটোগল্প, ‘ভিটেমাটি’ নামে একটি নাটক ও লেখকের কথা’ নামে একটি প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ষােলাে। এ ছাড়াও তাঁর বহু লেখা নানান পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে ছিল, গ্রন্থবদ্ধ হয়নি। পরবর্তীকালে বাংলা আকাদেমি মানিকের সমগ্র রচনা বারােটি খণ্ডে প্রকাশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তাঁর কবিতা ও কিশাের রচনাও আকাদেমি প্রকাশ করেছে।

1) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস: ‘জননী’ (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), ‘পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬), জীবনের জটিলতা (১৯৩৬), ‘অমৃতস্য পুত্রা’ (১৯৩৮), সহরতলী’ (দুটি পর্ব; যথাক্রমে ১৯৪০, ১৯৪১), ‘অহিংসা’ (১৯৪১), চতুষ্কোণ’ (১৯৪১) ‘ধরাবাঁধা জীবন (১৯৪২), ‘প্রতিবিম্ব’ (১৯৪৪), ‘দর্পণ’ (১৯৪৫), শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), ‘চিন্তামণি” (১৯৪৬), “চিহ্ন’ (১৯৪৭) ‘আদায়ের ইতিহাস’ (১৯৪৭), ‘জীয়ন্ত’ (১৯৫০), নাগপাশ’ (১৯৫৩), ‘আরােগ্য’ (১৯৫৩), ‘চালচলন’ (১৯৫৩), ‘তেইশ বছর পরে’ (১৯৫৩), ‘পরাধীন প্রেম’ (১৯৫৫)।

2) তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত উপন্যাসসমূহ: প্রাণেশ্বরের উপাখ্যান’ (১৯৫৬), ‘মাটি-ঘেঁষা মানুষ’ (১৯৫৭), ‘মাঝির ছেলে’ (কিশাের উপন্যাস-১৯৫৯), শান্তিলতা’ (১৯৬০)।

3) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছােটোগল্প: ‘অতসীমামী’, ‘নেকী’, ‘শিপ্রার অপমৃত্যু’, ‘সর্পিল’, ‘চোর’, ‘পােড়াকপালী’, ‘আত্মহত্যার অধিকার, ‘প্রাগৈতিহাসিক’, ‘প্রকৃতি’, ‘টিকটিকি’, ‘বিড়ম্বনা','অবগুণ্ঠিত’, ‘সিঁড়ি’, ‘সরীসৃপ’, ‘মহাজন’, ‘বিষাক্ত প্রেম, ‘পার্থক্য’, ‘কেরানীর বৌ’, ‘কুষ্ঠরােগীর বৌ’, ‘সাহিত্যিকের বৌ, সমুদ্রের স্বাদ’, ‘ট্র্যাজেডির পর’, ‘আততায়ী’, ‘দিশেহারা হরিণী, স্বামী-স্ত্রী’, ‘হলুদপােড়া’, ‘আজ কাল পরশুর গল্প’, ‘যাকে ঘুষ দিতে হয়’, ‘কৃপাময় সামন্ত’, ‘দুঃশাসনীয়’, ‘অমানুষিক শিল্পী’, ‘রিক্সাওয়ালা’, ‘একান্নবর্তী’, ‘মাটির মাশুল’, ‘বাগদী পাড়া দিয়ে’, ‘হারানের নাতজামাই’, ‘ছােটো বকুলপুরের যাত্রী’, ‘মেজাজ’, ‘লেভেল ক্রসিং’, ‘লাজুকলতা’, ‘অসহযােগী', ‘আপদ’, ‘উপদলীয়’, ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে! ইত্যাদি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতাগ্রন্থ ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে যুগান্তর চক্রবর্তীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।

তাঁর বহু গল্প ও উপন্যাস ভারতের একাধিক ভাষায়, এমনকি বিদেশি ভাষাতেও অনুদিত হয়েছে।আপুরস্কৃত মানিক ও পাঠকসমাজ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবিতাবস্থায় এমনকি মৃত্যুর পরেও  কোনােরকম সরকারি-বেসরকারি পুরস্কার পাননি। অবশ্য তাঁর মৃত্যুর পর একাধিক জনসভায় তাঁকে পুরস্কারদানের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সজনীকান্ত দাস লিখেছিলেন “মানিক স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যবরণ করিয়াছিলেন। তাঁহার অবর্তমানে তাঁহার পরিবারকেও এই দারিদ্র্যলানা ভােগ করিতে হইবে কি না, মানিকের জীবিত দাদারা তাহা নির্ধারণ করিবেন, না করিলে কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকার এবং তাঁহার বন্ধুবান্ধব, দেশবাসীর দায়িত্ব গুরুতর। আমরা প্রস্তাব করি আপাতত এই বছরে তাঁহাকে রবীন্দ্র পুরস্কার পাঁচ হাজার টাকা দিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করুন। এখনও পর্যন্ত যাঁহারা এই পুরস্কার পাইয়াছেন মানিক তাঁহাদের কাহারও অপেক্ষা যােগ্যতায় ন্যূন নহেন।” কিন্তু তিনি সেই পুরস্কার লাভ করেননি। তবে পাঠকমহলে আজও তিনি সমানভাবে পুরস্কৃত হয়ে চলেছেন।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ জীবন|Manik Bandopadhyay.

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের শেষ পর্বটি চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে কাটান। একদিকে অনটন, অন্যদিকে অসুস্থতা তাঁকে কাহিল করে তােলে। অবশেষে মৃগী রােগাক্রান্ত মানিকবাবুকে 1956 খ্রিস্টাব্দের 2 ডিসেম্বর নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই 3 ডিসেম্বর ভােরবেলা তাঁর জীবনাবসান হয়।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.