Type Here to Get Search Results !

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী| Biography of Shakti Chattopadhyay.

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী| Biography of Shakti Chattopadhyay.

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী| Biography of Shakti Chattopadhyay.

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহড়ু গ্রামে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়।পিতা বামানাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা কমলা দেবী।===============================

নাম (Name) শক্তি চট্টোপাধ্যায়। Shakti Chattopadhyay.
জন্ম (Birthday) দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহড়ু গ্রামে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়।
জন্মস্থান (BirthPlace) ক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহড়ু গ্রামে।
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা (Father and Mother) পিতা বামানাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা কমলা দেবী।
পেশা (Career) কবি, সাহিত্যকার,ঔপন্যাসিক।
বিশিষ্ট রচনাগুলি: ‘হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), 'ধর্মে আছো জিরাফেও আছো' (১৩৭২ বঙ্গাব্দ), 'সোনার মাছি খুন করেছি'(১৩৭৪ বঙ্গাব্দ), ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান'(১৩৭৫ বঙ্গাব্দ),
মৃত্যু (Death) ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে পরলোকগমন করেন।
মৃত্যুস্থান: শান্তিনিকেতন,

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী| Shakti Chattopadhyay Biography.

“যদি পারো দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি দাও দুঃখ, দুঃখ দাও"

—আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি। তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা।” [‘যদি পারো দুঃখ দাও’—শক্তি চট্টোপাধ্যায়]

“আত্মজীবন ছড়িয়ে দেবার এই ভঙ্গিটা শক্তির কবিতায় আদ্যন্ত ছড়িয়ে আছে বলে তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে একজন মানুষের বেড়ে ওঠার গোটা ছবিটাই আমাদের চেনা হয়ে যায়।... কবিতারই থেকে পুরো সেই ছবি বুঝে নিতে আমাদের অসুবিধে হত না যেন।” [‘এই শহরের রাখাল’—শঙ্খ ঘোষ]

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ও শিক্ষা:

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহড়ু গ্রামে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। তাঁর পিতা বামানাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা কমলা দেবী। সাত বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে মাতামহ সুবোধ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত হয়েছিলতাঁর। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রাম্য পাঠশালার পড়া শেষ করে অষ্টম শ্রেণিতে ভরতি হন বাগবাজার মহারাজ কাশিমবাজার পলিটেকনিক স্কুলে। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পাস করে মির্জাপুরের সিটি কলেজে কমার্স পড়বেন বলে ভরতি হন। তিনমাসের   মধ্যেই কমার্স ছেড়ে ভরতি হন প্রেসিডেন্সিতে আইএ ক্লাসে। 

তারপর ইংরেজি ও সর্বশেষে বাংলা স্নাতকের ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা চালাতে থাকেন, কিন্তু তাঁর পরীক্ষায় বসা হয় না অনিয়মিত উপস্থিতির জন্য পরবর্তীকালে বুদ্ধদেব বসুর আগ্রহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে যোগ দিয়েও তা অসমাপ্ত রেখে দেন। কারণ তিনি জেনে গিয়েছিলেন—“পড়াশোনা করে ডিগ্রিতকমা ছিনিয়ে নিয়ে আমার কিছু হবার নয়।”

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কর্মজীবন:

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কর্মজীবনের সূত্রপাত স্যাক্সবি কোম্পানির শিক্ষানবিশরূপে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু তিনি অচিরেই পাট চোকালেন কোম্পানির। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে শক্তি হিন্দুস্থান মোটরস-এর কারখানায়  অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্টস্ ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। কেতাদুরস্ত সাহেবি মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দেন তিন বছরের মাথায়— ‘কারণ তো নেই, কারণ তো নেই তবুও।' ১৯৬২-৬৩ খ্রিস্টাব্দে জীবিকানির্বাহের তাগিদে খুললেন টিউটোরিয়াল হোম, বিজ্ঞাপন সংস্থায় করলেন ফ্রিল্যান্সের কাজ। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে শক্তি চট্টোপাধ্যায় যোগ দিলেন আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীতে। অনেক চাকরি ছেড়ে কখনও আংশিক, কখনও বা পূর্ণ বেকারত্বের দীর্ঘ সময়ের শেষে, প্রায় পঁচিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবন তাঁর। 

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিকৃতি:

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ঢোকার পর থেকেই (১৯৫১-৫২) শক্তির গদ্য ও পদ্য লেখার সূত্রপাত। অবশ্য শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়— “গদ্য ও পদ্যর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। গদ্যকার হল মজুর। কবি হল শিল্পী। ... পদ্য লেখা আমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। ... আমি গদ্য লেখক হতে চাই না।” [‘স্বগত সংলাপ’/‘এই কাব্য, এই হাতছানি'] 

বোহেমিয়ান জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই কবির ষাটের দশক অতিবাহিত। অবশ্য ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘চাঁইবাসা’ পর্বের সূত্রপাত। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমীর রায়চৌধুরি, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়—চতুরঙ্গে ‘চাঁইবাসা’ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার উন্মেষ পর্বের ‘আনন্দ-ভৈরবী গেয়ে ওঠে।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনাঃ 

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল—‘হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), 'ধর্মে আছো জিরাফেও আছো' (১৩৭২ বঙ্গাব্দ), 'সোনার মাছি খুন করেছি'(১৩৭৪ বঙ্গাব্দ), ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান'(১৩৭৫ বঙ্গাব্দ), ‘পাড়ের কাঁথা মাটির বাড়ি’(১৩৭৮ বঙ্গাব্দ), 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৩৭৯ বঙ্গাব্দ), ‘প্রভু-নষ্ট হয়ে যাই’ (১৩৭৯ বঙ্গাব্দ), 'সুখে আছি' (১৩৮১ বঙ্গাব্দ), ‘ঈশ্বর থাকেন। জলে’ (১৩৮২ বঙ্গাব্দ), ‘অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল' (১৩৮৭ বঙ্গাব্দ), ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’ (১৩৮৯ বঙ্গাব্দ), ‘ও চিরপ্রণম্য অগ্নি’ (১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ), ‘আমাকে জাগাও’(১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ), ‘জঙ্গল বিষাদে আছে' (১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ) প্রভৃতি।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য জীবন:

শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর বোহেমিয়ান জীবনচারিতায়, অমার্জিত আভিজাত্যে, ভাষার স্বেচ্ছাচারিতায় কবিতাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে অনুভবের এক ভিন্ন জগতে পাঠককে নিয়ে যান। তাই বোধ করি আধুনিক কবিদের মধ্যে জীবনানন্দ দাশের পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও শক্তিশালী কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। এর কারণ আধুনিক কবিতার দুর্বোধ্যতার যুগে তিনি সুবোধ্য, সুশ্রাব্য কবিতার অনুরণন ঘটিয়েছেন। ছন্দ ও আধুনিক কবিতার অহিনকুল সম্পর্ক দূরীভূত করে, ছন্দকে তিনি এনে বসিয়েছেন কবিতার শুরুতে, মাঝে ও শেষে। এ তো আধুনিকতার মধ্যে অনাধুনিকতা, আবার নতুনের স্বাদে আধুনিকদের মধ্যে আধুনিক। ষাটের দশক থেকে প্রায় তিন দশক ধরে চলেছে সেই আবহ, সেই ঈর্ষণীয় দাপট। কবিতার শব্দেরাও পেল প্রাণ। সহজসরল এমনকিতথাকথিত অশ্লীল শব্দে ছন্দের বৈচিত্র্য, প্রতীকী নির্মাণকৌশল, প্রকৃতির অবরোধ ও মুক্তি, অনুভূতির দুর্ভেয় স্থানে অবাধ অকৃত্রিম বিচরণ, নিষিদ্ধ স্বীকারোক্তি—এসকল নিয়েই তিনি কবিসমাজে হয়ে উঠেছেন অনন্য।

তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু প্রেম, জীবন ও মৃত্যুচেতনা, প্রকৃতি, সমকাল ও মানুষ। প্রেমবোধের সঙ্গে প্রকৃতিও মিলেমিশে একাকার, মৃত্যুচেতনার সঙ্গে আত্মবিদ্রোহের দীপ্তিও কোথাও উজ্জ্বল। আবেগ,  আত্মমগ্নতা, অবচেতন মনের কথা, অভিমান, তিক্ততা সকলই তাঁর কবিতায় ছন্দোবদ্ধ পদে ধরা দিয়েছে। সেখানে প্রেমের উদ্দামতা রয়েছে; নাগরিক জীবনের ক্লেদাক্ততা, বিপন্নতা মূর্ত হয়ে উঠেছে।সত্যিই ‘ছন্দ-ছন্দহীনতায়, মিলে-মিলহীনতায়, কোলাহল-স্বগতোক্তিতে, উপমায়-সরলতায়, শৃঙ্খলায়-উচ্ছৃঙ্খলতায় সমান প্রবল তিনি।' “কিছুকাল সুখ ভোগ করে হলো মানুষের মতো মৃত্যু ওর, কবি ছিল, লোকটা কাঙালও ছিল খুব।”

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পুরস্কার ও সম্মান সম্প্রীতি:

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘আকাদেমি পুরস্কার’ পেয়েছিলেন। ‘ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফ্যালে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি মরণোত্তর ‘আনন্দ পুরস্কার’ ও ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ অর্জন করেছিলেন। 

রলোকগমন: ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে পরলোকগমন করেন।

[আরো পড়ুন ]

আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের` এই “Today GK Quiz, – Current Affairs in Bengali | বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams GK in Bengali)” পােস্টটি ভালো ভাবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই ভাবেই আমাদের –TodayGk-All Exams এর পাশে থাকুন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সমস্ত বিষয়ের যেকোনো প্ৰশ্ন-এর উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ভান্ডারকে বৃদ্ধি করার জন্য অব্যশই ফলাে করতে পারেন, ধন্যবাদ।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.