Type Here to Get Search Results !

জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami.

জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami.

জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami. 

জয় গোস্বামীর (Joy Goswami).১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর কলকাতায় কবি জয় গোস্বামীর জন্ম হয়।তাঁর পিতা মধুসূদন গোস্বামী,মায়ের নাম সবিতা গোস্বামী।... joy goswami| joy Goswami Biography| Biography of Joy Goswami| জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami| Joy Goswami Biography in Bengali.

নাম: জয় গোস্বামী (Joy Goswami).
জন্ম ও শৈশব:

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর কলকাতায় কবি জয় গোস্বামীর জন্ম হয়।

পিতা ও মাতার নাম: তাঁর পিতা মধুসূদন গোস্বামী,মায়ের নাম সবিতা গোস্বামী।
কর্মজীবন:  কবি জীবনের বেশিরভাগ সময় রানাঘাটে বসবাস করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি কলকাতাবাসী; সপরিবারে এখানেই থাকেন। জয় গোস্বামী একসময় আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর দেশ পত্রিকা বিভাগে কাজ করতেন।
উল্লেখযােগ্য রচনা: 'ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ' (১৯৭৬), ‘প্রত্নজীব’ (১৯৭৮), 'আলেয়া হ্রদ' (১৯৮১), ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ (১৯৮৬), ‘ভুতুম ভগবান' (১৯৮৮), ‘ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?’ (১৯৮৯), 'আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো' (১৯৯১), ‘বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা’ (১৯৯৫), 'ওই স্বপ্ন' (১৯৯৬), ‘পাগলী, তোমার সঙ্গে’ (১৯৯৪),
সম্মান ও স্বীকৃতি:  তিনি দু-বার ‘আনন্দ পুরস্কার’ পেয়েছেন।১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’ পুরস্কার লাভ করেন।

জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami. 

কবি জীবনের বেশিরভাগ সময় রানাঘাটে বসবাস করেছেন।তবে বর্তমানে তিনি কলকাতাবাসী;  সপরিবারে এখানেই থাকেন। জয় গোস্বামী একসময় আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর দেশ পত্রিকা বিভাগে কাজ করতেন। তারপর চলে আসেন সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায়। এই সময় তাঁকে নানা ধরনের কাজ করতে হত। কবি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি দু-বার ‘আনন্দ পুরস্কার’ পেয়েছেন। প্রথমবার ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ‘ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?’ কাব্যগ্রন্থের জন্য আর দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল' কাব্যোপন্যাসের জন্য।

জয় গোস্বামীর জন্ম ও বংশকথা: 

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর কলকাতায় কবি জয় গোস্বামীর জন্ম হয়। তাঁর পিতা মধুসূদন গোস্বামী ছিলেন সেই সময়কার খ্যাতনামা রাজনৈতিক কর্মী। তাঁর মায়ের নাম সবিতা গোস্বামী। তিনি ছিলেন রানাঘাটের লালগোপাল স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্ৰী ।

জয় গোস্বামীর শৈশব ও শিক্ষা: 

দারিদ্র্যকে সঙ্গী করে কবি বড়ো হন। কলকাতায় জন্ম হলেও তাঁর শৈশব কাটে রানাঘাটে। সেখানেই কবির প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। মূলত বাবার উৎসাহ ও আগ্রহে তিনি কবিতার জগতে প্রবেশ করেন। কবি শৈশবেই পিতৃহারা হন। এরপর ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি যখন যুবক, তখন তাঁর মা-ও অকালে প্রয়াত হন। এরপর জয় গোস্বামীর প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি এগোয়নি। একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তিনি শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছেন। কবি তারপর থেকে মূলত স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে থাকেন। 

প্রথম লেখা কবি জয় গোস্বামীর প্রথম কবিতা লেখা বাড়ির পুরোনো সিলিং ফ্যান নিয়ে। তখন তাঁর বয়স বছর তেরো। এইসময় থেকেই তাঁর লেখা বহু কবিতা লিট্ল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবির যখন উনিশ বছর বয়স তখন একসঙ্গে তিনটি লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা ছাপা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেশ পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কবিতা সংকলন ‘ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ’ প্রকাশিত হয় এটি ছিল মাত্র আটটি কবিতার সংকলন।

জয় গোস্বামীর কর্মজীবন:

কবি জীবনের বেশিরভাগ সময় রানাঘাটে বসবাস করেছেন।তবে বর্তমানে তিনি কলকাতাবাসী;  সপরিবারে এখানেই থাকেন। জয় গোস্বামী একসময় আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর দেশ পত্রিকা বিভাগে কাজ করতেন। তারপর চলে আসেন সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায়। এই সময় তাঁকে নানা ধরনের কাজ করতে হত। যেমন— প্রচ্ছদনির্ভর লেখা, ধারাবাহিক কলাম, কবিতা সংক্রান্ত নানারকম প্রবন্ধ রচনা ইত্যাদি। কবিতার আলোচনায় তিনি নামি-অনামি, সুপরিচিত-অল্পপরিচিত—সবার কবিতা বেছে নিতেন। জয় গোস্বামী কবিতার জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ কবিতার নিবিড় পাঠ ও তন্নিষ্ঠ আলোচনা তাঁর মতো খুব কম মানুষই করেছেন।

জয় গোস্বামীর সাহিত্যসম্ভার:

জয় গোস্বামীর প্রতিভার প্রথম স্বাক্ষর কবিতা। তবে সবধরনের লেখাতেই তিনি সমান পারদর্শী। তিনি উত্তর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বলিষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ-পরবর্তী বাংলা কাব্য জগতে সুপরিচিত নাম। তাঁর হাতে বাংলা কবিতা ভিন্নতর পর্যায়ে বাঁক নিয়েছে। এই সময়ের কবিতা আলোচনা তাঁকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, নাট্য, উপন্যাস প্রসঙ্গেও অনিবার্যভাবে তাঁর নাম পাঠকের মনে এসে যায়। এককথায় জয় গোস্বামী বাংলা ভাষার আধুনিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি হিসেবে পরিগণিত। তাঁর সৃষ্টিসম্ভার নিম্নরূপ —

জয় গোস্বামীর কাব্যগ্রন্থ: 'ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ' (১৯৭৬), ‘প্রত্নজীব’ (১৯৭৮), 'আলেয়া হ্রদ' (১৯৮১), ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ (১৯৮৬), ‘ভুতুম ভগবান' (১৯৮৮), ‘ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?’ (১৯৮৯), 'আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো' (১৯৯১), ‘বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা’ (১৯৯৫), 'ওই স্বপ্ন' (১৯৯৬), ‘পাগলী, তোমার সঙ্গে’ (১৯৯৪), ‘পাতার পোশাক’ (১৯৯৭), ‘বিষাদ’ (১৯৯৮), ‘মা নিষাদ’ (১৯৯৯), 'সূর্য পোড়া ছাই’ (১৯৯৯), ‘জগৎবাড়ি’ (২০০০), ‘কবিতা সংগ্রহ' (১৯৯৭- ২০০১), 'প্রেতপুরুষ ও অনুপমা কথা' (২০০৪) ইত্যাদি।

জয় গোস্বামীর উপন্যাস: ‘মনোরমা' (১৯৯৪), 'সেইসব শেয়ালেরা' (১৯৯৪), 'সুড়ঙ্গ ও প্রতিরক্ষা' (১৯৯৫), 'রৌদ্র ছায়ার সংকলন' (১৯৯৮), ‘সংশোধন বা কাটাকুটি' (২০০১), ‘সাঁঝবাতির রূপকথারা' (২০০১), 'দাদাভাইদের পড়া’, ‘ব্রহ্মরাক্ষস’, ‘সব অন্ধকার ফুলগাছ’, ‘শয্যাগত’, ‘পিতা’, ‘ষড়যন্ত্রকারী’, ‘ঘড়ির আঁধারে' ইত্যাদি। 

কাব্যোপন্যাস: ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল' (১৯৯৮)।

জয় গোস্বামীর কাব্যনাট্য: ‘যেখানে বিচ্ছেদ। কবি এখনও তাঁর সৃষ্টিতে রত। ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন শ্রেণির লেখা তাঁর থেকে পাওয়া যাবে এ বিষয়ে আমরা গভীর আশাবাদী। লিখন বিশেষত্ব জীবন ও পরিবেশের বাস্তব ঘটনা জয় গোস্বামীর কবিতার অন্যতম বিষয়। প্রত্যহ যে-সমস্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আমরা হই কবি সেখান থেকেই তাঁর কবিতার বিষয় নির্বাচন করে সাধারণ শব্দ প্রয়োগে তাকে অসাধারণ করে তোলেন। 

লালগোলা-বনগাঁর ট্রেনে চাল-তোলা মাসি-পিসিরা কিংবা বিবাহ না-হওয়া অনূঢ়া সেলাই দিদিমণি যেমন তাঁর কবিতার ভিত্তি, তেমনই ঠান্ডা ভাতে নুন না-জোটাতে পারা মানুষরা তাঁর কবিতায় কথা বলে । জয় গোস্বামীর কবিতায় প্রেম, নিঃসঙ্গতা, একাকীত্ব, নির্জনতা অদ্ভুত এক অত্যাশ্চর্য অনুভবে প্রকাশ পায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানবিরোধী জেহাদকে কবি তাঁর হাতিয়ার করে তুলেছেন। সাধারণ শব্দের তীক্ষ্ণ ক্ষুরধার ব্যঞ্জনায় কবির কাব্যভাষা নিজস্বতা অর্জন করেছে। ছন্দের বৈচিত্র্য, প্রতীকের পরিমিত ব্যবহার তাঁর কাব্যকলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

জয় গোস্বামীর সাহিত্যসম্ভার ও সম্মান-স্বীকৃতি:

কবি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি দু-বার ‘আনন্দ পুরস্কার’ পেয়েছেন। প্রথমবার ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ‘ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?’ কাব্যগ্রন্থের জন্য আর দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল' কাব্যোপন্যাসের জন্য। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ‘বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে ‘পাগলী তোমার সঙ্গে' কাব্যগ্রন্থের জন্য পান ‘সাহিত্য আকাদেমি’ পুরস্কার। এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে ‘অনীতা-সুনীল বসু’ পুরস্কার (২০১০), ‘ভারতীয় ভাষা পরিষদ’ থেকে ‘রচনা সমগ্র' পুরস্কার (২০১১) এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।

জয় গোস্বামীর শেষকথা:

কবি জয় গোস্বামী আজও কর্মশীল। সমানভাবে সৃষ্টিকর্মে নিয়োজিত। তবে শরীর অনেক সময় মনের সঙ্গ দেয় না। কবি নিজেকে ‘নেহাত সাধারণ একজন গৃহস্থ মানুষ' বলে দাবি করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, তাঁর কয়েকটি কবিতা সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় গানে রূপান্তরিত হয়েছে। 

জয় গোস্বামীর জীবনী| Biography of Joy Goswami.

[আরো পড়ুন ]


আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের` এই “Today GK Quiz, – Current Affairs in Bengali | বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Like Railway, SSC, PSC, WBPSC, NTPC, Navy, UPSC, School Service all Competitive exams GK in Bengali)” পােস্টটি ভালো ভাবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই ভাবেই আমাদের – Today Gk All Exams এর পাশে থাকুন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সমস্ত বিষয়ের যেকোনো প্ৰশ্ন-এর উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ভান্ডারকে বৃদ্ধি করার জন্য অব্যশই ফলাে করতে পারেন, ধন্যবাদ।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.