Type Here to Get Search Results !

নাগরিকত্ব আইন কি?| CAA কাদের জন্য?| CAA সম্পর্কে সব তথ্য।

নাগরিকত্ব আইন কি?| CAA কাদের জন্য?| CAA সম্পর্কে সব তথ্য।

নাগরিকত্ব আইন কি?| CAA কাদের জন্য?| CAA সম্পর্কে সব তথ্য।

ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব...

Today Gk All Exams: এ সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই ব্লক ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আজকের আমাদের আলোচনার  বিষয় হলো  নাগরিকত্ব আইন কি?| CAA কাদের জন্য?| CAA সম্পর্কে সব তথ্য নিয়ে। আমরা নানা আর্টিকেল এবং প্রায় সকল News থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমরা আমাদের ব্লগ আর্টিকল এর মাধ্যম দিয়ে আপনাদের সামনে তা তুলে ধরেছি।

 

 Read More: 

সংবিধান| GK Questions Indian Constitution.

সংবিধান| Gk in Constitution| MCQ Questions and Answer.  

সংবিধান|| MCQ Questions and Answer| 50+GK.

Job Card কি?| জবকার্ডের উদ্দেশ্য | জবকার্ড কিভাবে পাবে?


CAA এর পুরো নাম কি? 

উত্তর: Citizenship Amendment Act, বা CAA.

নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে সঠিক তথ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি। এমন সময়ে একই CAA-তথ্য এক ক্লিকেই জানার সুযোগ আমাদের। নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সব তথ্য জানুন এখানেইএকপক্ষ বলছে, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের ফলে লাখ-লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। অন্যপক্ষের মতে, নাগরিকত্ব আইনে ভিটেহারা হবেন কোটি-কোটি মানুষ। কিন্তু, নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে সঠিক তথ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি। এমন সময়ে একই CAA-তথ্য এক ক্লিকেই জানার সুযোগ আমাদের। নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সব তথ্য জানুন এখানেই।

প্রশ্ন: নাগরিকত্ব আইন কি? নাগরিকত্ব আইন কবে পাস হয়?

উত্তর: ১৯৫০ সালের কার্যকর হওয়া ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের সংবিধান অনুসারে সে দেশের বাসিন্দারা সবাই ভারতের নাগরিক। স্বাধীন হওয়ার সাত বছর পর ভারত সরকার ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব আইন পাস করে। এই আইন এবং তার পরবর্তী সংশোধনী অনুসারে অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবে না।
প্রশ্ন: নাগরিকত্ব বা নাগরিকতা কি?
উত্তর: নাগরিকত্ব বা নাগরিকতা হল কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র বা জাতির একজন আইনস্বীকৃত সদস্য হিসেবে পাওয়া কোনো ব্যক্তির পদমর্যাদা ও স্বাধীনতা। অন্যভাবে যেকোন অঞ্চলের অধিবাসীর সে অঞ্চলে বসবাস করার স্বীকৃতি ও তা স্বরূপ যেসব সুবিধা ও দায়িত্ব বর্তায় তার সামষ্টিকরূপকে নাগরিকতা বলে। একজন ব্যক্তির একাধিক নাগরিকত্ব থাকতে পারে।

প্রশ্ন: ভারতীয় নাগরিকদের উপর কি প্রভাব ফেলবে CAA?

উত্তর: ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব করতে পারে না। এই সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর CAA-র কোনও প্রভাব পড়বে না।

প্রশ্ন: CAA- আইনটি কাদের জন্য?

উত্তর: ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।

প্রশ্ন: তিনটি  দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের কীভাবে সুবিধা হবে CAA থেকে?

উত্তর: পাসপোর্ট বা ভিসার মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। CAA-র মাধ্য়মে এই শরণার্থীরা এমন সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তাঁদের আবেদনের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। এদেশে বসবাসের ন্যূনতম সময় ১+১১ বছরের পরিবর্তে ১+৫ বছর হবে।

প্রশ্ন: পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মুসলিমরা কখনই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে কি?

উত্তর: না। এমন কোনও লক্ষ্যে CAA গঠন করা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ওই দেশগুলি থেকে শতাধিক মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যোগ্যতার বিচারে নাগরকিত্ব পাবেন তারা। ধর্মের বিচারে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ২০১৪ সালে ইন্দো-বাংলাদেশ ছিটমহল সমস্যার সমাধানের পর ১৪, ৮৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় নাগরকিত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হাজার হাজার মুসলমানও রয়েছেন।

প্রশ্ন: পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে এদেশে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস করা মুসলিমদের কি বিতাড়িত করা হবে?

উত্তর: না। কোনও নাগরিকের বিতাড়নের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। ১৯৪৬-এর বিদেশি আইন ও ১৯২০-র পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। বিদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ এবং প্রস্থান সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত এই দুই আইনের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তির ধর্ম বা দেশের ভিত্তিতে নয়।

তাই, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী যে কোনও বিদেশির জন্যই এই দুই আইন প্রযোজ্য। স্থানীয় থানা বা প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশকারী বা অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ওই নাগরিককে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের তরফে সঠিক নথি-সহ মূল দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

১৯৪৬-এর বিদেশি আইন অনুযায়ী 'বিদেশি'দের চিহ্নিতকরণের পরই অসমে এই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, এই পদ্ধতিতে কোনও বৈষম্য বা ত্রুটির প্রশ্ন নেই। বিদেশি আইনের ৩ ধারা এবং পাসপোর্ট আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকের চিহ্নিতকরণ, আটক এবং ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে রাজ্য সরকার ও তার জেলা প্রশাসনের হয়।

প্রশ্ন: পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান দেশে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হওয়া হিন্দুরা কি CAA-র জন্য আবেদন করতে পারবেন?

উত্তর: না। তাদের অন্য ধর্মের বিদেশি নাগরিকদের মতোই আগের পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। CAA থাকলেও ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, তারা কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন না।


প্রশ্ন: বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য, ভাষা ইত্যাদির বিচারেও কি আবেদন করা যাবে CAA-র মাধ্যমে?

উত্তর: না। CAA-র বিস্তৃতি অত্যন্ত স্পষ্ট। তিন পড়শি দেশের ছয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিদেশি নাগরিকরাই শুধু এই আবেদন করতে পারবেন। অন্য কোনও দেশের বিদেশি নাগরিক নাগরিকত্ব আইন (১৯৫৫) অনুযায়ী ন্যূনতম শর্ত পূরণের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


প্রশ্ন: CAA-র কারণে কি ধীরে ধীরে ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন মুসলিমরা?

উত্তর: CAA কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। সব ভারতীয় নাগরিকরাই তাদের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পাবেন। কোনও ভারতীয় নাগরিককে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করবে না CAA। বরং, তিন পড়শি দেশের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির শিকার বিশেষ বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেবে এই আইন।

প্রশ্ন: CAA-র পর NRC হবে এবং মুসলিম বাদে সব শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এবং মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে?

উত্তর: NRC-র সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকেই ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে আইনত সংযুক্ত NRC। এবং ২০০৩ সালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতেই এই আইন কার্যকরী সম্ভব। ভারতীয় নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে তা জড়িত। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে এই আইন রয়েছে। CAA আলাদা করে এতে কোনও পরিবর্তন আনেনি।

প্রশ্ন: CAA-র অধীনে নাগরিকত্বের নিয়ম কী কী?

উত্তর: CAA-র ভিত্তিতে নিয়মগুলি এখনও গঠন করা হচ্ছে বা তার প্রস্তুতি চলছে। CAA-র বিভিন্ন আইনি দিক দেখেই তা কার্যকরী হবে।

প্রশ্ন: ভারতের কোন কোন রাজ্যে CAA লাগু হতে পারে?

উত্তর: ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী ভারতের প্রায় সকল রাজ্যে CAA লাগু পারে। 

প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে CAA কি লাগু হতে পারে?

উত্তর: ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী ভারতের প্রায় সকল রাজ্যে CAA লাগু পারে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের সকল রাজ্যে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.